শাহজাদপুরে কদর বাড়ছে মাছ শিকারের আদি পন্থা গ্রামীণ ঐতিহ্যের চারোর

শাহজাদপুরের বুক চিড়ে অনবরত বয়ে চলছে যমুনা, করতোয়, বড়াল ও হুরাসাগর নদী। সেইসাথে অসংখ্য নালা ও খাল ধারণ করে আছে এই জনপদ। পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম চলনবিলের মুখ বলা হয়ে থাকে শাহজাদপুরকে। এছাড়া সোনাই বিল, কালাই বিল, কাউয়াক বিল, বাইলাগাড়া বিল, প্যাচিগাইড়া বিল, বগাই বিল, গইল্যাসহ অন্তত অর্ধ শতাধিক বিলের সমষ্টি নিয়ে এই উপজেলা গঠিত।
একদিকে দেশের অন্যতম ৪টি নদী এবং অসংখ্য খাল-বিল, নালা এই জনপদকে কৃষিতে যেমন সমৃদ্ধ করেছে তেমনি বর্ষায় বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় এ অঞ্চলটি মাছের জন্য হয়ে ওঠে স্বর্গরাজ্য। দেশীয় প্রজাতির মাছ কৈ, সিং, টেংরা, পুটি, বেলে, বাইন, বোয়াল, কাতল, মৃগেল, টাকি, গজার, শোলসহ অসংখ্য প্রজাতির সুস্বাদু মাছে ভরপুর এই এলাকা।
বর্ষাকালে বিরাট অঞ্চল জুড়ে ঘুড়ে বেড়ানো এইসব মাছ আহরণের জন্য যেমন এখানে রয়েছে পেশাদার জেলে সম্প্রদায়, তেমনি রয়েছে বর্ষা মাসকে কেন্দ্র করে শৌখিন শিকারিও । আর এসব শিকারিরা মাছ ধরার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহারের পাশাপাশি প্রাচীন পদ্ধতিও ধরে রেখেছেন। বেড়জাল, ফাঁস জাল, বাদাই জাল, মই জাল, চায়না দোয়ার এবং খড়ার পাশাপাশি মাছ শিকারের জন্য এখনও সমান ভাবে জনপ্রিয় গ্রামীণ ঐতিহ্যের চারো বা বাইর।
শাহজাদপুর উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল ও জলাশয়ের পানি কিছুটা কমতে শুরু করায় আবহমান গ্রাম বাংলার বহুল প্রচলিত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মাছ ধরার জন্য ‘চারো’র কদর বেড়েছে। বর্তমানে এ অঞ্চলে গ্রামীণ জনপদের হাটবাজারে মাছ ধরার সস্তা ও সহজলভ্য উপকরণ ওই চারো বিক্রির হারও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এলাকার নিম্ন আয়ের অনেক পরিবার বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে চারো তৈরি, বিক্রি ও চারো দিয়ে মাছ শিকার করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছে। জানা গেছে, বাঁশ ও তালগাছের কান্ডের আঁশ, কান্তি দিয়ে তৈরি চাঁরো বর্ষাকালের শুরুতে ও শেষের দিকে বিভিন্ন জলাশয়ে ছোট মাছ ধরার কাজে বহুল ব্যবহৃত হয়।
এ অঞ্চলের অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বছরের এ মৌসুমে মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরণের ও বিভিন্ন আকারের চারো তৈরি করে থাকেন। প্রাচীন পদ্ধতির মাছ ধরার এই যন্ত্রটি একেক এলাকায় একেক নামে পরিচিত।
স্থানীয় ভাষায় চারোকে ধন্দি, বানা, খাদন, খালই, বিত্তি ও ভাইর বলা হয়ে থাকে। শাহজাদপুরের যমুনা তীরবর্তী সোনাতুনি, ঘোরজান, বারোপাখিয়া, ধীতপুর, শ্রীপুর, পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি, রেশমবাড়ি, চিথুলিয়া, বড়ালবাড়িসহ বিভিন্ন বিলাঞ্চল ও খালে নিম্ন আয়ের অসংখ্য মানুষেরা শখের বশে আবার অনেকে পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে চারো দিয়ে মাছ ধরে তা বাজারে বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছে।
অন্যদিকে, এ অঞ্চলে চারোর কদর বর্তমানে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকায় শৌখিন মৎস্য শিকারীর সংখ্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা।
জামান / জামান

গাজীপুর-৩ আসনে আলোচনায় বিএনপির ৪ প্রার্থী, একক প্রার্থী নিয়ে নিশ্চিন্ত অন্য দল

আদালতের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা হত্যা মামলার আসামির

রায়পুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে এস এম মামুন মিয়া

চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক

জুড়ীতে কৃষ্ণনগর বাছিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপহার প্রদান

গাছে ঝুলন্ত লাশ, পা মাটিতে-শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশমুখে গোলচত্বর ও ফ্লাইওভারের দাবিতে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে নবযোগদানকৃত কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

রাণীশংকৈলে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

হাটহাজারী নাগরিক সেবা নিয়ে বিপাকে পৌরবাসী। তবে কর্তৃপক্ষের দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
