দুমকিতে সিত্রাংয়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আংশিক ও শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুদিনে বিদ্যুৎবিহীন, বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারণে এসব ঘরবাড়ির উপরে বেশিরভাগ রেইন্ট্রি, চাম্বল গাছ উপড়ে পড়ে ঘরগুলো ভেঙেচুরে গেছে।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমান খন্দকার ও খালেক খন্দকার, শহীদ প্যাদা, ইসমাইল হাওলাদার, আবু হানিফ মোল্লা, উত্তর মুরাদিয়ার কামাল হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার, জাহাঙ্গীর মীরা, বাবুল মীরা, জামাল মীরা, আংগারিয়া বাহেরচরের জাকির হোসেনসহ পাংগাশিয়া ও লেবুখালী এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকা বলেন, আমন ধানের ৬ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমির ধান সিত্রাংয়ের কবলে পড়লেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ০.৫ হেক্টর জমির। শাক-সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২৫ হেক্টর জমির।
উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম মোল্লাসহ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারণে পুকুরে মাছ করা চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, অর্ধশতাধিক স্থানের বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে গিয়ে উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। মাঠে বিদ্যুতের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-ইমরান উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমএসএম / জামান