পাঠদান যেন শিক্ষার্থীদের ভাবনার দুয়ার খুলে দেয় : অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষ করে সিলেট ক্যাডেট কলেজে ভূগোল বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রায় সব কয়টি ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। সর্বশেষ মীর্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে শিক্ষা ও কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মাইলস্টোন কলেজ এর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ তিন যুগের অধিক সময় শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতার খণ্ডাংশ প্রকাশ করেছেন সকালের সময় এর সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- ফয়েজ রেজা।
সকালের সময় : দীর্ঘ ৪৩ বছরের শিক্ষাজীবনের অভিজ্ঞতা আছে আপনার। এর মধ্যে শিক্ষা পদ্ধতিতে দৃশ্যমান বহু পরিবর্তন এসেছে। আপনার দৃষ্টিতে কোন পরিবর্তনগুলো উল্লেখযোগ্য?
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে যা দেখেছি, তারমধ্যে ৪টি বড় পরিবর্তনের কথা বলা যায়। পরিবর্তন এসেছে শিক্ষার্থীদের মানসিকতায়, শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন এসেছে, শিক্ষকদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে এবং অভিভাবকদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে।
আগে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরের জগতের সাথে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক ছিল কম। এখন পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বিষয়ের দিকে শিক্ষার্থীরা বেশি ঝুঁকে পড়েছে। পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বিষয়ের জ্ঞান অর্জন প্রয়োজন আছে। তবে মূল যে শিক্ষা, তা থেকে সরে যাওয়া ঠিক নয়। এতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষাক্রমে পরিবর্তনের মধ্যে বড় পরিবর্তন এসেছে সিলেবাস ও প্রশ্নের ধরনে। আগে যে কোনো প্রশ্নের বড় বড় উত্তর লিখতে হতো। মুখস্ত করে বা গোটা বিষয়টি বুঝে উত্তর লিখতে হতো। বর্তমান সময়ে কাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে প্রশ্নে। সৃজনশীল পদ্ধতি যুক্ত হয়েছে। এমসিকিউ পদ্ধতি এসেছে। এসব পবির্তনের উদ্দেশ্য ভালো ছিল। সরকারের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এমসিকিউ ও সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষকরা যদি সঠিক ধারণা অর্জন করতে না পারেন, তাহলে তারা পড়াবেন কীভাবে?
সকালের সময় : শিক্ষকরা পাঠ্যবই ও শিক্ষা বিষয়ে সঠিক ধারণা অর্জন করতে না পারার কী কারণ?
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ সত্ত্বেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে তার সুফল পাওয়া যায়নি। পাঠ্যবই ও পাঠদান বিষয়ে শিক্ষকদের যে ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার ছিল, তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষকদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তা খুব সীমিত পরিসরে। সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় না। দীর্ঘ সময় ধরে এটি চলছে।
আমাদের দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক। শিক্ষক অনেক। শিক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান কম। যে প্রতিষ্ঠান আছে সেখানেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সীমিত। সেখানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো বড় জায়গা নেই। বর্তমানে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিষয়ভিত্তিক এক বা একাধিক করে শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষিত সেই শিক্ষক গিয়ে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এতে তেমন ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে নোট বই, গাইড বইয়ের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করছে। পাঠ্যবইয়ের বাইরে গাইড বইয়ের দিকে বেশি আগ্রহী হচ্ছে। ক্লাসে পড়ার বাইরে কোচিংয়ে পড়ার দিকে বেশি আগ্রহী কিংবা বাধ্য হচ্ছে।
সকালের সময় : শিক্ষা ব্যবস্থায় গ্রেডিং পদ্ধতি কতটুকু উপকারে এসেছে?
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : গ্রেডিং পদ্ধতি শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভালো। শিক্ষানীতিতে বলা আছে-শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে এক অনুপাত ত্রিশ। অর্থাৎ ৩০ জন্য শিক্ষার্থীর জন্য থাকবে ১ জন শিক্ষক। কিছু প্রতিষ্ঠান বাদে নানা কারণে শিক্ষানীতির এই ধারা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। দেশের বহু প্রতিষ্ঠান তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। এর কারণ প্রয়োজনীয় শিক্ষকের সংকট। মাইলস্টোন কলেজ তা বাস্তবায়ন করেছে। শুরু থেকেই আমাদের প্রতিষ্ঠানে ১ অনুপাত ৩০ এর মধ্যেই আছে। এই গ্রেডিং পদ্ধতির আরেকটি সমস্যা হচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে এ প্লাস পাওয়ার প্রতিযোগিতা। এ প্লাস না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে তারা শিক্ষার্থীদের হাতে গাইড বই তুলে দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে পাঠাচ্ছেন। বর্তমানে আমরা যা দেখছি, প্রতিষ্ঠানে এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে শিক্ষার গুণগত মান বেড়েছে তা বলা যাবে না। অভিভাবকদের এই প্রতিযোগিতা উদ্বেগজনক। সীমিত আকারে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে, নোট বই পড়ে, গাইড বই পড়ে, কোচিং এ পড়ে এ প্লাস পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করা যায় না। ফলে দেখা যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে এ প্লাস প্রাপ্ত অনেক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রতিষ্ঠিত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করা হয় পাঠ্যবই থেকে।
সকালের সময় : এই সময়ের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন। এটি জ্ঞান অর্জনের জন্য কতটুকু ভালো?
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : করোনাকালীন প্রায় ৩ বছর শিক্ষার্থীরা ক্লাসের বাইরে ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম তখন পরিচালনা করা যায়নি। সে সময়ে অনলাইনে ক্লাস করার কারণে পাঠ্যবইয়ের সঠিক ধারণা শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারেনি। অনলাইনে ক্লাস করার কারণে মোবাইল, কম্পিউটারসহ নানান রকম ইকেট্রনিক্স গ্যাজেট এ অভ্যস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনলাইনে তারা ক্লাসের পরে দেখা গেছে ইন্টারনেটে সার্চ করে নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করছে। সমস্যা হলো- অনেকের কাছে তা আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখি করতে সমস্যা হচ্ছে। মূল বই থেকে তারা দূরে সরে গেছে। মূল বইয়ে ফেরানোর জন্য এখন চেষ্টা করতে হচ্ছে।
সকালের সময় : আপনি বলছিলেন, অভিভাবকদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে।
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : অভিভাবকদের মধ্যে আরেকটি পরিবর্তন হলো, আগে বাবা মা সন্তানের অধিক যত্ন এবং পড়ার খোঁজ-খবর নিতে পারতেন। এখন শহরে অনেক পরিবারে বাবা মা দুজনেই কর্মজীবী হওয়ার কারণে সারাদিন তারা কর্মস্থলে থাকছেন। সন্তানের পড়ার খোঁজ তেমন রাখতে পারছেন না। এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
সকালের সময় : শিক্ষকদের মধ্যে পরিবর্তন আসার কথা বলছিলেন। এই পরিবর্তন শিক্ষাব্যবস্থার জন্য কতটুকু ভালো হয়েছে?
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : যারা বিসিএস দিয়ে শিক্ষা পেশায় আসেন, তাদের কথা ভিন্ন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যায় থেকে যারা শিক্ষকতা পেশায় আসেন, তাদের মধ্যে দেখা যায় পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষকরা এই পেশায় কিছুটা ভালো করছেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা অধিকাংশ শিক্ষকরা পেশায় ভালো করতে পারছেন না তাঁদের মান ভালো নয়। শিক্ষকদের মধ্যে বড় যে পরিবর্তন এসেছে তা হলো-বর্তমান শিক্ষকদের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রবণতা ও প্রতিযোগিতা অনেক বেড়েছে। একজনকে দেখে অন্যজন, অনেক সময় নিজে নিজেই বাণিজ্যিক মানসিকতার হয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। ফলে দেখা যাচ্ছে প্রয়োজন ছাড়াই তারা শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছেন। এতে শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শিক্ষার মান কমছে।
সকালের সময় : আমরা অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলাম, এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ কী?
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : শিক্ষার্থীর মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। জ্ঞান অর্জনে করতে হবে। শুধুমাত্র ভালো ফলাফলের আশা না করে, জ্ঞান অর্জনের মানসিকতা বাড়াতে হবে। তাহলে উচ্চ শিক্ষাসহ চাকরির বাজারে সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের চেষ্টা করতে হবে মোবাইল, কম্পিউটর ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের প্রতি সন্তানদের আসক্তি কমানোর জন্য। শিক্ষকদের জন্য বলবো- শিক্ষা পেশায় আসার পর শিক্ষকদের পড়াশোনার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বা একাডেমিক সার্টিফিকেটে ফলাফল যত ভালোই হোক, নতুন করে পাঠ্যবই বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করতে হবে এবং বাণিজ্যিক মানসিকতা ছাড়তে হবে। আগে জ্ঞান অর্জন তারপর বিতরণ। পাঠ্যক্রমে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে বা আনা হবে তা বাস্তবায়নযোগ্য করতে হবে।
সকালের সময় : বাংলাদেশের প্রায় সব কয়টি ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা আছে আপনার। মাইলস্টোন কলেজে যুক্ত হওয়ার পর পাঠদান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পদ্ধতিতে কী পরিবর্তন এনেছেন?
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : আমি ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা ও অধ্যাপনা পেশার অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে ক্যাডেট কলেজের আঙ্গিকে পাঠদান এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চেষ্টা করেছি। ক্যাডেট কলেজে ক্লাসের পড়া ক্লাসেই পড়ানো হয়। ক্লাসরুমে পাঠদান, পাঠগ্রহণ ও পড়া আদায় যাতে যথাযথ হয় সেদিকে গুরুত্ব দিয়েছি। সারাদেশে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীরা যে ভালো ফলাফল করে এবং উচ্চ শিক্ষাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সফল হয় তার প্রধান কারণ ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেখা। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের যা শেখানো হবে তা পরিপূর্ণ রূপে শেখানো হবে। এর বাইরে আছে কিছু নিয়মকানুন যা শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখার চোখ তৈরি করে। অর্থাৎ পাঠদান যেন শিক্ষার্থীদের ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। শিক্ষার্থীদের চিন্তার জগতকে প্রসারিত করে।
মাইলস্টোন কলেজে আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের পড়াই না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেই। শিক্ষকরা যে প্রতিষ্ঠান থেকেই পড়াশোনা করে আসুক কিংবা যে প্রতিষ্ঠান থেকেই পাঠদানের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসুক, এই কলেজ যুক্ত হওয়ার পর তাঁকে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। পড়ানোর পদ্ধতিসহ আচরণ ও অন্যান্য বহু বিষয় থাকে সেই প্রশিক্ষণে। যা একজন শিক্ষককে পরিপূর্ণ শিক্ষক হতে সহযোগিতা করে। শিক্ষককে তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে এবং ভালো শিক্ষক হওয়ার জন্য যতরকম গুণ থাকা দরকার, সেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক এখানে যোগ দেওয়ার পরে দেখা গেছে মাইলস্টোন কলেজে যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে সেসব বিষয় তার কাছে নতুন। এর ফলাফল সরাসরি উপভোগ করে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসব কিছু করাই হয় শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা মাইলস্টোন কলেজ থেকে পড়াশোনা করে আগামী দিনের উজ্জ্বল বাংলাদেশের কারিগর হতে চায়।
সকালের সময় : সময় দিয়ে কথা বলার জন্য সকালের সময়ের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : শিক্ষক দিবস পালনের এই মাসে আমাকে স্মরণ করে সম্মানিত করার জন্য আপনাকে এবং সকালের সময়কে আমার এবং মাইলস্টোন পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
এমএসএম / এমএসএম