সুনামগঞ্জে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মাদকদ্রব্য ধ্বংসের মুখে যুব সমাজ

সুনামগঞ্জ জেলায় মাদকের নীল ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। দিন দিন এর প্রভাব ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিতে-গলিতে। প্রতিনিয়ত আনাচে -কানাচে বিক্রি হচ্ছে মাদক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ সমস্ত মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, বাংলা মদ, গাঁজা,ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ ভারতীয় নামিদামী ব্রান্ডের আরো অনেক নাম- নাজানা মাদক। রকমারী মাদকের প্রতি তরুণদের আসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বিধ্বংসকারী মাদকের বিস্তার সমাজে যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সচেতন অভিভাবক মহল উদ্ধিগ্ন। মাদকাসক্ত সন্তানের কারনে এক একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মাদকাসক্ত সন্তানকে নিয়ে পরিবার গুলো দিশেহারা হয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণামতে দেখা যায়, স্কুল -কলেজের শিক্ষার্থীরা ও মাদকাসক্ত হচ্ছে। যত্রতত্র চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। প্রতিনিয়ত রয়েছে নেশার আড্ডা, এর চাহিদা মেটাতে মাদকসেবীরা ক্রমেই নেমে পড়েছে অপরাধ জগতে। অনেক শিক্ষার্থী নেশার মোহে পড়ে সম্ভাবনাময় জীবনকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম মাদকের ছড়াছড়ি রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে। এর মধ্যে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের প্রাপ্তিস্থানের মধ্যে অন্যতম। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে মাদকের ছড়াছড়ি রয়েছে। এর মধ্যে সলুকাবাদ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ও বাজারে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। বিশেষ করে সলুকাবাদ ইউনিয়নের মথুরকান্দি, কাপনা, আদাং ভাদেরটেক, রতারগাও, বাঘবেড়, রামপুর, চালবন্দ, জিনারপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে রয়েছে বড় বড় মাদক কারবারি। মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেটের আসক্ত রয়েছে অধিকাংশ মানুষ। বিশেষ করে সলুকাবাদ ইউনিয়নের মধ্যে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জরিত রয়েছে ভাদেরটেক ও মথুরকান্দি গ্রামের বেশ কয়েকজন। এই গ্রাম গুলোতে যেমন রয়েছে মাদকদ্রব্য মদ ও ইয়াবা ব্যবসায়ী তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে সেবনকারী।
ধনপুর ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে ধনপুর বাজার,চিনাকান্দি বাজার,আনন্দ বাজার,ঝিগাতলা,গামাইরতলা,শিলডো য়ার,মাছিমপুর,সরুপগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায়।
পলাশ ইউনিয়নের পলাশ বাজার,জনতার বাজার,মাঝাইর সহ বিভিন্ন জায়গায় মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন জায়গার গ্রামের বাজার ও পয়েন্ট গুলোতে গেলে যেমন চোখে পড়ে বেশি বেশি ঔষধের দোকান। উপরে উল্লেখিত গ্রাম ও বাজার গুলোতে গেলে শুনতে পাওয়া যায় ইয়াবা,গাজা ও ভারতীয় মদের ব্যবসায়ীদের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার গল্প।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সব গুলো ইউনিয়নে পাওয়া যায় সকল ধরনের ক্ষতিকারক মাদক দ্রব্য। সুনামগঞ্জ সদর শহরের পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে বিক্রয় হয় মাদকদ্রব্য। সদরের সুরমা ইউনিয়নের কয়েকটি বাজারে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অবৈধ ভাবে চালাচ্ছে মাদকের ব্যবসা। বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের মঙ্গলকাটা,নারায়ণতলা (চৌমুহনী) সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর, কৃষ্ণনগর, হালুয়াঘাটের কয়েকজন বড়মাপের ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। কয়েক বছর আগে যারা দিন আনে দিন খেয়ে জীবন যাপন করতো তারা এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেছে।
থানা পুলিশ মাঝে মধ্যেই খুচরা ব্যবসায়ীদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থিত করলে আদালত তাকে ৭ দিন থেকে ৩মাস কারাদণ্ড প্রদান করেন। কারাভোগের পর তারা এসে আবারও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা চলছে উপজেলার সচেতন মহল জানায় থানা পুলিশ মাঝে মধ্যে খুচরা মাদক বিক্রেতাদের আটক করে নিয়মিত মামলাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতে লঘু শাস্থির ব্যবস্থা করলেও মহাজনী মাদক ব্যবসায়ীরা বরাবরই থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ফলে মাদকের মরন ছোবলে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উপজেলার অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিতায় দিনাতিপাত করছে বলে অভিমত প্রকাশ করে।
মাদকাসক্তি স্থায়ী রূপ ধারণ করেছে মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিচারহীনতার কারণে। দেশের অসংখ্য স্থানে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য কেনাবেচা চলে। বিভিন্ন বাহিনীর একটাই শ্লোগান শোনা যায় আসুন মাদক নির্মূল করি, এখন দেখা যাচ্ছে নির্মূল করা দূরে থাক, নিয়ন্ত্রণও করতে পারছে না।বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা যায়, পুলিশের সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশেই মাদকের ব্যবসা অবাধে চলছে।
অধিকাংশ মাদকদ্রব্য আসে বিদেশ থেকে অবৈধ পথে। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্য সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এত অনায়াসে এত বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাচার হয়ে আসা সম্ভব নয়। সীমান্তপথে মাদক চোরাচালান ও দেশের ভেতরে মাদকদ্রব্যের কেনাবেচা অত্যন্ত কঠোর হাতে বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে বিজিবি, পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জবাবদিহি নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি। কারণ, তাদের একাংশের সহযোগিতা ছাড়া এই মাত্রায় মাদকের ব্যবসা চলা সম্ভব নয়।
এমএসএম / এমএসএম

জুলাই আন্দোলনে মোজো সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে : শহীদুল হক

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৯ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

কুমিল্লা-৯ আসন পূর্নবহাল রাখাতে মানববন্ধন

নতুন বাংলাদেশ গড়ার বীর সন্তানদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানালেন শেখ সাদী

জুলাই শহিদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন -খোরশেদ আলম

কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি

বিদ্যালয়ের জমি দখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চিতলমারীতে মানববন্ধন

মাদারীপুরে কুকুরের উপদ্রব: জনভোগান্তি চরমে, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

সাভারে সাবেক ইউপি সদস্যের নির্মানাধীন বাড়ি অবরুদ্ধ করে চাঁদা দাবি

বড়লেখায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে নাগেশ্বরীতে মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহসচিবের সাথে ইরানী প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত

বরগুনায় চেক প্রতারণার মামলায় পলাতক প্রতারক জসিম কারাগারে
Link Copied