রশ্নিদের জন্যেই পৃথিবী সুন্দর
সকাল দশটায় অফিস। রাস্তার জ্যাম ঠেলে অফিসে যেতেই নাকাল সবাই। এর মাঝেই হাতিরঝিলে স্কুল পালানো দুই কিশোর-কিশোরীর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কিশোরীর গায়ে হাত তোলে কিশোর। ঘটনা দেখে নেমে পরে রশ্নি। গিয়ে মেয়েটিকে টেনে তুলে ছেলেটির কাছে জবাব চায়- কি হয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি উত্তর দেয়- 'আপু আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর মাঝে আপনি আসবেন না?' ছেলেটি উদ্যত হয়ে বলতে থাকে- 'কে আপনি? আমার গার্লফ্রেন্ড যা খুশি করব।'
এক সেকেন্ডের জন্য থেমে যায় রশ্নি। সত্যি তো। কে সে? একজন সাধারণ নাগরিক নাকি একজন সাংবাদিক? কোন পরিচায় তার? মেয়েটিকে কিছু উপদেশ দিয়ে উবার চালকের তাড়ায় আবারো নিজ আসনে ফেরে রশ্নি।
২০০৩ সালে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শুরু সামিনা খাতুন রশ্নির। উচ্চশিক্ষার জন্য যেদিন সাংবাদিকতায় নাম লিখিয়েছিলেন সেদিন থেকেই নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। লেখালিখিতে হাতে খড়ি ভোরের কাগজ পত্রিকায় লিখে। প্রশিক্ষণ নিয়েছন নিউজ নেটওয়ার্কে। ২০০৮ সাল থেকে অভিষেক টেলিভিশন সাংবাদিকতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক হ্যান্ডবল খেলোয়াড় ছিলেন আগে। খেলার প্রতি আগ্রহ ও অভিজ্ঞতা থেকে রিপোর্টিংয়ের ক্যারিয়ারটা গড়েছেন খেলাধুলায়। দেশ টিভি থেকে এটিএন নিউজ। আনন্দের সাথে কাজ করেছেন।
ক্যারিয়ারে হঠাৎ ছন্দপতন হলো জীবনের আনন্দময় অর্জনের জন্য। ২০১৮ সালে আদরের সন্তানকে সময় দিতে গিয়ে সংবাদিকতার সুতো কাটেন তিনি। এরপর পেশা হিসেবে বেছে নেন একটি ব্যাংকের জনসংযোগকে। সাংবাদিকতায় না থাকলেও সংযোগে আছেন। গল্পটি পদ্মা ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সামিনা খাতুন রশ্নির। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, 'আমার নেশা সংবাদিকতা। কিন্তু সেটা পেশা হিসেবে বেশি দিন ধরে রাখতে পারলাম না। অনেকেই পারেন এই দুটোর মেলবন্ধনে সুন্দর জীবন কাটাতে। কিন্তু আমি পারিনি। মনে হল মেয়েক আরো বেশি সময় দিতে হবে। পরিবারের একটা অধিকার থাকে। টাকা দিয়ে নয়, সময় দিয়ে তাদের পাশে থাকার। এই জন্য সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতে হল। তবে এখনও ধারণ করি সাংবাদিকতা পেশা। কোথাও কোন ঝামেলা দেখলে চুপ থাকা দায়। কে, কি, কখন, কোথায় এবং কেনর বেড়াজাল থেকে বের হওয়া এত সহজ নয়।
সাংবাদিকতা চিরসবুজ। বয়সের বাঁধা এখানে থাকে না। তাই তো এখন সাধারণ মানুষকে জানাই নিজের প্রতিষ্ঠানের খবর। কোন তথ্যটি সাধারণ মানুষের জন্য উপকার হবে, সে পসরা নিয়ে গণমাধ্যমের মাধ্যমে সাধারণের কাছে হাজির হন হই।চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এ কাজ করেন ২০১৮ পর্যন্ত। সেই সময় মাঠের আনাচে কানাচের খবর রাখতেন তিনি। লাতিন ফুটবল কিংবা ব্রাজিলের সাম্বা সব সময় থাকতেন আপডেটেড। ইউরোপে কি হল? বুন্দেস লিগায় কোন দল চ্যাম্পিয়ন? দেশের ফুটবল, ক্রিকেট সবধরনের খেলার আপডেট তার ঝুড়িতে। দেশের বাইরেও নারী ফুটবল, ক্রিকেট টিমের সঙ্গে ভ্রমণ করেছেন তিনি। উৎসাহ পেয়েছেন দিলু খন্দকারের কাছ থেকে। ভালো রিপোর্ট মানেই পুরস্কার। অনেক ইদও কাটিয়েছেন সহকর্মীদের সঙ্গে। দ্বিতীয় পরিবার ছিলো চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের টিম স্পোর্টস।
বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক এর সংযোগ বিভাগে কাজের সূত্রে দেশের অর্থনীতির খোঁজ খবর বেশি রাখতে হয়। ব্যাংকিং খাতের মতো কঠিন বিষয়ের সঠিক তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে কত সহজ ভাষায় পৌঁছে দেওয়া যায় সে চেষ্টা করছেন। কাজের কারণেই বেড়েছে যোগাযোগের পরিধি।
সংসার গুছিয়ে অফিসের কাজ সামাল দেওয়ার চ্যালেঞ্জে বিজয়ী সামিনা খাতুন রশ্নি,একালের সাধারণ মেয়েদের একজন। তার মতো যারা ঘর, সংসার, অফিস মাথায় নিয়ে ভাবেন জীবন আনন্দের, তাদের জন্যেই পৃথিবীটা সুন্দর!
এমএসএম / এমএসএম
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার