বিএনপির নেতাদের বতর্মান সরকারের আমলে উন্নয়নে হিংসা হয়,প্রধান অতিথিঃ মির্জা আজম এমপি।
বিএনপির নেতৃত্বে যারা আছেন তারা সকলেই রাজাকার ও আল-বদরের সন্তান তাই তারা সবসময় দেশের অমঙ্গল কামনা করে এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সাভারের পার্বতিনগর এলাকায় এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মির্জা আজম বলেন, প্রতিদিন পত্রিকা এবং টেলিভিশন মাধ্যমে মিথ্যাচার করে । আসলে তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিনিয়ত এই মিথ্যাচারগুলো করে। এরমধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলংকার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় খবরে তারা আরো আনন্দিত এবং উৎসাহিত হয়ে উঠেছে তাদের ধারণা এই বুঝি বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলংকার মত হচ্ছে। একটি দেশের খারাপ অবস্হা নিয়ে নিজের দেশের মানুষের ভূল বোঝানোর চেষ্টায় প্রমান করে যে তারা দেশের উন্নয়নে খুশি না। কিন্তু এরাও তো বাংলাদেশের নাগরিক তাহলে এরা কিভাবে নিজের দেশের এমন অমঙ্গল কামনা করে?? কারন তারা তো চায়নি বাংলাদেশের জন্ম হোক। ১৯৭১ সালের সেই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর যারা নেতা ছিলো তাদের পরবর্তী প্রজন্মই এখন এই দলটাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৭১ সালে ভারত গিয়ে নাম ফাটিয়েছিলো সে মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা তার এই কথা বিশ্বাস করেনি এবং তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি কারন তার বাবা মীর্জা রুহুল আমীন ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলার পিচ কমিটির বিশাল নেতা এবং সে যদি জীবিত থাকতো তাহলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী বিচার ট্রাইবুনালে মামলা হতো এবং যুদ্ধাপরাধীর দায়ে তার ফাঁসির রায় হতো। সেই যুদ্ধাপরাধীর ছেলে আজকে বিএনপির মহাসচিব।আজকে বিএনপির নেতৃত্বে যারা আছেন তারা সকলেই রাজাকার আল-বদরের সন্তান তাই তারা বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল আর এটিই তাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসময় সভার প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপি চাচ্ছে আবারো দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে কিন্তু তাদের এই আশা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবেনা। সেই লক্ষ্যে আগামী ১০ই ডিসেম্বর সাভারে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হবে বলে। যা বিএনপির মহাসমাবেশকেও ছাড়িয়ে যাবে। বিএনপিকে কোনভাবেই রাজপথ দখল করতে দেয়া যাবেনা। আর সেই জন্য ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিট এবং এর অঙ্গসংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জান তরুণ, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা, সাভার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মালেক, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লা, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আলমসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অন্তর্গত সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা কর্মী।
এমএসএম / এমএসএম