প্রসঙ্গ জলবায়ু সম্মেলন : জাগ্রত হোক বিবেক জয় হোক মানবতার
ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ২০০৯ সালে বসেছিল কপ-১৫ জলবায়ু সম্মেলন। ওই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতির শিকার দেশগুলোকে ১০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলো সেই প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি। তাই এবারের কপ-২৭ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে সোচ্চার হওয়ার দাবি উঠেছে।জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে দেশে দেশে সবুজ অর্থনীতি (গ্রিন ইকোনমি) চালু, জ্বালানি-শিল্পনীতিতে পরিবর্তনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে এবারের সম্মেলনের অর্থায়নবিষয়ক কমিটির কো-চেয়ার জাহের ফকির বলেন, আগামী ১০ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিতে হবে।
এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ১০ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতির শিকার দেশগুলোর জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত সহায়তা দেওয়ার জন্য কপ-২৭ সম্মেলন থেকে একটি বিশেষ স্কিম বা তহবিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গ্লোবাল শিল্ড অ্যাগেইনস্ট ক্লাইমেট রিস্কস নামের এই তহবিলের আওতায় ২০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ সরবরাহ করা হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলো জোট জি-৭-এর সদস্যসহ কয়েকটি দেশে এই উদ্যোগে অর্থ দেবে। এ বিষয়ে ঘানার অর্থমন্ত্রী কেন ওফোরি-আত্তা সম্মেলনে বলেন, এটা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি উদ্যোগ ছিল। তা মাথায় রেখেই এবারের জলবায়ু সম্মেলনেও ক্ষতিপূরণ বিষয়টি নিয়ে অগ্রগতি থাকার কথা থাকলেও তেমন কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে যে জরুরি পরিস্থিতি চলছে, তার পেছনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দায় সামান্যই।
তবে ধনী দেশগুলোর তহবিল বরাদ্দের মাধ্যমে বৈশ্বিক এ সংকট মোকাবিলায় সব দেশের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে একটা আস্থার সম্পর্ক তৈরি হবে। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর টিকে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার বিষয়টি ধনী দেশগুলো মেনে নিয়েছে। সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম অর্থসহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ করছে না তারা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আবহাওয়া বিরূপ আচরণ করছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রাও বাড়ছে। কার্বন নিঃসরণ কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধনী দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও এ অঙ্ক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ করছে না। এতে এ সংকট মোকাবিলার বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিবছর প্রায় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার করে প্রয়োজন পড়বে। মিসরের শার্ম আল-শেখে শুরু হওয়া জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সরকার যৌথভাবে এ গবেষণা করেছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে দরিদ্র দেশগুলোকে দূরে রাখার পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণকারী প্রযুক্তি বিনিয়োগ ও চরম আবহাওয়ার প্রভাব থেকে সুরক্ষায় এই অর্থ প্রয়োজন পড়বে। সম্মেলনে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন আরও কমানো, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে ইতিমধ্যে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের মতো দাবি তুলে ধরা হচ্ছে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, মানবজাতির সামনে দুটি কঠিন বিকল্প রয়েছে-বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে কাজ করা।
মানবজাতির সামনে বিকল্প হলো পারস্পরিক সহযোগিতা না হয় বিনাশ। তাপমাত্রা বাড়ানো গ্যাস নির্গমনের জন্য সবচেয়ে কম দায়ী দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় এগিয়ে আসতে দূষণকারী ধনী দেশগুলোকে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ক্রমবর্ধমান তীব্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করছে। বন্যা, খরা,দাবদাহসহ নানা দুর্যোগে চলতি বছরেই হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শত শত কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধনী নির্গমনকারী ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন আন্তোনিও গুতেরেস। যে চুক্তিতে নির্গমন থামানোর বিষয়ে দেশগুলোর জোরালো অঙ্গীকার থাকবে। বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে চলতি দশকের শেষ নাগাদ কার্বনদূষণ ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ কার্বন নিঃসরণ। যেসব দেশে কার্বন নিঃসরণ বেশি হয়, সেসব দেশ কম কার্বন নিঃসরণ করেও ক্ষতির মুখে পড়া দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণের এ অর্থ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এসব দেশ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবারের কপ-২৭ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত এসব দেশের পক্ষ থেকে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে সোচ্চার হওয়ার দাবি উঠেছে। প্রতিবছর প্রায় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেলে তা দিয়ে চীন ছাড়া অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর চাহিদা পূরণ করা যাবে। জলবায়ু অর্থনীতিবিদ নিকোলাস স্টার্ন বলেন, ধনী দেশগুলোকে স্বীকার করতে হবে যে বিষয়টি তাদের স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তাদের বর্তমান এবং অতীতে কার্বন নিঃসরণের ফলে সৃষ্ট গুরুতর প্রভাবের জন্য ন্যায়বিচার।আগামী দশকে জ্বালানি অবকাঠামো এবং খরচের বেশির ভাগ উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে হবে। দেশগুলো যদি কার্বন নিঃসরণ ও জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর থাকে।
তবে বিশ্ব বিপজ্জনক জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি এড়াতে পারবে না। এতে ধনী বা গরিব সব দেশেই কোটি কোটি মানুষের জীবনের ক্ষতি করবে।দরিদ্র দেশগুলোতে কম কার্বন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অর্থায়ন করা গেলে কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্য দূর করা যাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এ গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমবে। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে লাভ-ক্ষতির বিষয়টি নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষতিপূরণ তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের, বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০২০ সালে দেশটি মাত্র ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। গত বছরের এ হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা তাদের প্রতিশ্রুত অর্থের মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাজ্যও এখনো এক-তৃতীয়াংশ অর্থ ছাড় করেনি। তবে এই বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি তথ্য-উপাত্তসমৃদ্ধ সর্বশেষ প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের রূপরেখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের আন্তসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) গঠিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিত প্রথম আর্থ সামিট ও ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আর্থ সামিটের (জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলন) সিদ্ধান্তের ফলে। তাই বলা যায়, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের মূল কাজ বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলা করার ব্যাপারে ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা। প্রতিটি জলবায়ু সম্মেলনেই কিছু না কিছু নতুন বিষয় সামনে আসে। এযাবৎ প্রায় দুই ডজন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে।
তবে মোটাদাগে বলা যায়, প্রথম দশকে সমঝোতার মূল বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের ধারাকে থামিয়ে বা কমিয়ে দেওয়া বা প্রশমন (মিটিগেশন)। কিন্তু দ্বিতীয় দশকে এসে আইপিসিসি চতুর্থ মূল্যায়ন রিপোর্ট পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিল যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় শুধু মিটিগেশন যথেষ্ট নয়। এর পর থেকে আলোচনায় মিটিগেশনের পাশাপাশি গুরুত্ব পেল জলবায়ু অ্যাডাপটেশন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে উন্নত বা সম্পদশালী দেশগুলো এ ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। আবার উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনেকেই অ্যাডাপটেশন করতে পারে না সম্পদের অপর্যাপ্ততার কারণে। কখনোবা
অ্যাডাপটেশন করার পরও ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার দেশগুলোর অ্যাডাপটেশনের জন্য এর আগে অ্যাডাপটেশন ফান্ড, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড ইত্যাদি নামে তহবিল দিতে চেয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত সম্পদশালী দেশগুলোর জোট। ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুত অর্থের খুব সামান্যই দিয়েছে বিভিন্ন জলবায়ু তহবিলে। ফলে প্রান্তিক জাতি বা দেশ সমূহ ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড নামক আলাদা তহবিল চেয়ে আসছে উন্নত দেশগুলোর কাছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগ থেকে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিকে লস অ্যান্ড ড্যামেজ বলা হয়। যেমন ঘূর্ণিঝড়, খরা, তাপপ্রবাহ, মরুকরণ, লবণাক্ততা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদির ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি। সরাসরি অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও অর্থনীতি বহির্ভূত ক্ষয়ক্ষতি, যেমন পরিবেশ বা প্রতিবেশের ক্ষতি, স্বাস্থ্য বা জীবনহানি, বাস্তুচ্যুতির কারণে সামাজিক ও মানসিক ক্ষতি-এসবই লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের মধ্যে পড়ে।বাংলাদেশের জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফাইন্যান্সিং। ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ প্রকাশিত আইপিসিসির ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা ক্রমেই বেড়েছে।
ফলে ধীরগতির দুর্যোগ, যেমন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, মরুকরণ ইত্যাদিও বাড়বে। কৃষি, বনায়ন, মৎস্য, পর্যটনসহ বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, সম্পদ ও সরবরাহব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অর্থনৈতিক ও অর্থনীতিবহির্ভূত ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে।উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন, জীবিকা ও খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বাস্তুচ্যুতি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতিকে গুরুত্বসহকারে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো থেকে সাড়ে তিন কোটি পর্যন্ত মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটতে পারে। লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফাইন্যান্সিংয়ের আওতায় প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীর মতামতের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করলে জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতিকে মোকাবিলা করা সহজ হবে।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রীতি / প্রীতি