আর্থিক সংকটে প্রতিবন্ধী আলেপের লেখাপড়া বিঘ্নিত মানবিক সহায়তার আবেদন
প্রতিবন্ধী আলেপ তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সহৃদয় ব্যক্তিদের নিকট আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। প্রতিবন্ধী আলেপ উপজেলার পরানপুর ইউপির দাওয়াইল গ্রামের হতদরিদ্র জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে। প্রতিবন্ধী আলেপ পরানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।সে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে লেখাপড়া করছেন।
তার ভবিষ্যত উজ্জল করতে অদম্য শক্তি ও মনোবল নিয়ে লেখাপড়া রীতিমত চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর বাবা-মা গরিব হওয়ার কারণে বই গাইড কিনে দিতে পারছেন না বাবা-মা লেখাপড়া করাতে না চাইলেও সে নিজের উদ্যোগে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে।অন্য দু-চারটা সুস্থ ছেলেদের মত বাঁচতে চায়। সে তাঁর ভবিষ্যত জীবনকে কাজে লাগিয়ে নিজের মত বাঁচার আকুতি জানান।
সে জন্ম গত ভাবে ছোট আকৃতির মানুষ। মাত্র তিন ফিট তাঁর উচ্চতা। ভালভাবে চলাফেরাও করতে পারে না। হাঁটতে অনেক কষ্ট হয়। একটু হাঁটতে গেলে হাঁপিয়ে উঠেন। কাছে থেকে দেখলে অনেক কষ্ট লাগবে।
প্রতিবন্ধী আলেপ জানান, ভাই আমি অনেক কষ্ট করে বেঁচে আছি।ভালভাবে চলাফেরা করতে পারি না। দুই পা সোজা করে দাঁড়াতে পারি না।অনেক কষ্ট করে স্কুলে যাই। অভাবের সংসারে ঠিকমত ভাল মন্দ কিছু খেতে পারি না।নিজের কাছে অনেক কষ্ট লাগে। আগামী ২০২৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিবো।লেখাপড়া করার জন্য নোট-গাইড কিছুই কিনতে পারিনি।
আমার যদি কেউ দায়িত্ব নিত তাহলে লেখাপড়া করার সুযোগ হত। এছাড়াও লেখাপড়া করার জন্য সহৃদয় ব্যক্তিদের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি। আমার বিকাশ নাম্বার ০১৩০১-৯৪৫৯৫১।
এব্যাপারে পরানপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও পরানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজুর রহমান উজ্জল জানান, অনেক কষ্টে চলাফেরা
করেন আলেপ।সে ঠিকমত হাঁটতে পারে না।কিন্তু তার লেখাপড়া করার অনেক সখ। ছাত্র হিসাবেও মোটামুটি ভাল।বিজ্ঞান বিভাগে নিয়ে সে লেখাপড়া করছেন। অর্থিক সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে সে অনেক ভাল করবে।
প্রীতি / প্রীতি