প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও আমাদের দায়
১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে দিবসটি জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবেও পালন করা হয়। পথেঘাটে ভিক্ষা করতে দেখা শারীরিক প্রতিবন্ধীদের কারণে আমাদের ধারণা প্রতিবন্ধীতা মানে শারীরিক অসম্পূর্ণতা।
সম্ভবত এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার কারণে আমাদের প্রজন্মের অনেকেরই ধারণা তাই। তবে প্রতিবন্ধীতার একাধিক ধরন রয়েছে। প্রতিবন্ধীতা হতে পারে শারীরিক, মানসিক বা বুদ্ধিবৃত্তীয়, দৃষ্টিজনিত, বাক ও শ্রবণজনিত কিংবা বহুমাত্রিক। প্রতিবন্ধীতার কোনো প্রতিষেধক না থাকলেও আছে প্রতিরোধের উপায়। সুতরাং প্রতিরোধের জন্য প্রতিবন্ধীতা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা খুবই জরুরি। অপরদিকে দুর্ঘটনাজনিত কারণে মানুষ বয়সের যে কোনো স্তরে প্রতিবন্ধী হতে পারে।
আর তাই প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতার প্রসার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা সমুন্নতকরণ, অধিকার সুরক্ষা এবং উন্নতি সাধন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। একটা সময় আমাদের সমাজে এমন ধারণা ছিল যে, নারীরা শুধু ঘরের কাজই করবে। রান্নাকরা, ঘর গোছানো, ছেলে-মেয়ে লালন-পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে তাদের জগৎ। নারীরা এক সময় উৎপাদনশীল অর্থনীতির মূলধরায় সরাসরি সম্পৃক্ত হবেন-এটা অনেকে কল্পনাও করতে পারতেন না।
তারা ভাবতেই পারতেন না যে, একটি নারী জীবনে অনেক কিছুই করতে পারে। কিন্তু এই নারীরাও পারে তাদের দক্ষতা দিয়ে একজন পুরুষের মত জীবন সাজাতে। পুরুষদের ধারণা ছিল নারীরা বাইরে কাজ করতে পারবে না, তাদের ঘরের কাজই সামলাতে হবে। তাছাড়া অনেক পুরুষই তাদেরকে গোলাম বানিয়ে রাখতে চায়। এমন সব ভ্রান্ত ধারণা যারা মনের মধ্যে পুষে রেখেছিলেন গত দুই দশকে তাদের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন লক্ষ-লক্ষ সাহসী নারী। সবক্ষেত্রে নারীরা যে এগিয়ে-সেটা এখন খুবই দৃশ্যমান।
প্রায় ২৮ বছর ধরে যে দেশের সরকার প্রধানের দায়িত্বে নারী, সেই দেশের নারীরা কী করে অর্থনীতির প্রাণশক্তি ব্যবসায় পিছিয়ে থাকবেন? তাই তো সংসারের পাশাপাশি নারীদের একটি বড় অংশ নিজ হাতে সামলাচ্ছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হাজার হাজার সফল নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। চাকরির জন্য অপেক্ষা না করে ছোট মূলধন নিয়েই শুরু করেছেন ব্যবসা ও সামাজিক উন্নয়স মুলক প্রতিষ্ঠান।
যোগ্যতা আর মেধা দিয়ে সেই ছোট মূলধন আজ রূপ নিয়েছে বড় পুঁজিতে। নিজেদের পাশাপাশি অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তারা। অর্থনৈতিক মুক্তির ফলে নারী শিক্ষার অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে নানা মানুষের নানা কথা ও বাঁধা উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি দেখেছেন, একজন নারীকে ঘর থেকে বের হয়ে যখন বাহিরের জগতে নিজের অবস্থানকে শক্ত ভাবে দাঁড় করতে হয় তখন নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে হয়। বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের দেশ, যার অর্ধেক জনসংখ্যায় নারী। তাই দেশের এই অর্ধেক জন গোষ্টীকে পিছনে রেখে শুধু মাত্র পুরুষরাই দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না।
এজন্য প্রয়োজন একে অপরের সহযোগিতা। পুরুষদেরও উচিত হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিযে সহযোগিতা করা, এতে করে যেমন প্রতিটি গ্রামীন পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে তেমনি নারী পুরুষ একে অপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহযোগিতা করলে দেশ ও জাতিকে অর্থনৈতিক ভাবে আরো শক্ত অবস্থানে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।প্রতিবন্ধী ও অবহেলীত নারীরা এ দেশের বোঝা নয় সম্পদে পরিনত করাই আমার লক্ষ।
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবে এদেশের অবহেলীত নারী সমাজ ও প্রতিন্ধীরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের (ঘ) এ বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত বা বৈধব্য, মাতৃ-পিতৃহীনতা বা বার্ধক্যসহ অন্যান্য আয়ত্বাতীত পরিস্থিতিজনিত কারণে অভাবগ্রস্থতার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্য লাভের ব্যবস্থা রাষ্ট্র করবে।
এমনকি সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের এক এ বলা হয়েছে, সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হবেন।এ যদি হয় রাষ্ট্রের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, তাহলে বাংলাদেশের সব নাগরিকের সকল ক্ষেত্রে সুযোগ লাভের সমান অধিকার রয়েছে। ঠিক যেমনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরও রয়েছে রাষ্ট্র থেকে সব সুযোগ লাভের অধিকার।
এর মানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সব ক্ষেত্রে সুযোগ লাভের বিষয়টি দান বা দয়া নয়। মূলত: তারা অধিকার ও মর্যাদা নিয়েই বেঁচে থাকতে চায়। তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। দক্ষতা অর্জন করে স্বনির্ভর হতে চায়। তাদের এ দক্ষতা অর্জনে ক্ষেত্র বিশেষে কারো কারো সামান্য শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। সেটা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার দায়িত্বও রাষ্ট্রের।
আর এ জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। জন্মগত ত্রুটি বা অন্যান্য কারণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি সাধারণ মানুষ থেকে কিছুটা আলাদা। তবে ভালোবাসা, বিশেষ যত্ন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারলে তারাও দেশের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে প্রতিবন্ধীরা তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন। তাই সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগের ক্ষেত্রে সমন্বয় তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশে এখন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে ৪০টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি আছে।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আইন দ্বারা কমিটি করা আছে। ১০৩টির মতো তথ্য ও সেবাকেন্দ্র আছে ৫০০-এর অধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন আছে। তৃণমূল পর্যায়ে এ সংগঠন ছড়িয়ে আছে। এসব সংগঠনের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং তার বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও চাকরির ক্ষেত্রে যেন আরও সুযোগ তৈরি করা যায়, সে বিষয়গুলো আমাদের সামনে তুলে আনতে হবে। পরিবেশ, পাঠক্রম এবং অবকাঠামোর কারণে তারা সুযোগগুলো গ্রহণ করতে পারছে না। আরও বেশি সমন্বয় প্রয়োজন।
জাতির মূলধারার সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন এবং এর সামগ্রিক দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারিতা নিশ্চিতে আমাদের কিছু সমন্বিত লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করা দরকার; যা একই সঙ্গে আমাদের এসডিজি অর্জনের পথেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতার কারণে পিছিয়ে পড়া দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চল, বয়স ও সামাজিক শ্রেণির সব মানুষকে এ ডাটাবেজের আওতায় এনে একটি সামগ্রিক চিত্র দাঁড় করানো, যার মাধ্যমে এ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং প্রাসঙ্গিক যে কোনো উদ্যোগ বা কার্যক্রম পরিচালনার প্রাথমিক ধারণা, তথ্য-উপাত্ত এবং কার্য গতিবিধি নির্ণয় করা আরও সহজ ও কার্যকরী হয়ে উঠবে।
যার ফলে ঠিক কোন জায়গাগুলোতে আমাদের আরও জোর দেওয়া উচিত, কোন সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো উচিত এবং কীভাবে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত, তা আমরা গভীরভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের মনে রাখতেই হবে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের প্রতি শুধু দয়া-দাক্ষিণ্য নয়, তাদের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। সচেতনতাটা জরুরি।
অটিজম কিংবা মানসিক প্রতিবন্ধীদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া দরকার।ডিজিটাল বাংলাদেশ করার কারণে প্রতিবন্ধীদের সুবিধা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি হয়েছে, অ্যাপস তৈরি হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের পাঠদান বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী সব কিছু মনিটর করছেন। সবাই মিলে যদি কাজ করি প্রতিবন্ধীদের জন্য বাংলাদেশ বাসযোগ্য হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সাফল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও বেশ উচ্ছাসের সাথে প্রকাশ করে বলেছেন, অনেক প্রতিবন্ধী কিন্তু পাহাড়েও উঠে যাচ্ছেন। তাদের সাফল্য আমরা দেখছি। তারা রেস্টুরেন্ট চালাচ্ছেন। সবাই মিলে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। সরকার যতটা সম্ভব করছে। শেখ হাসিনা বলেন,চ্যারিটি ব্যক্তি উদ্যোগেই হয়। সবার সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে।
করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবন সহজ এবং আনন্দদায়ক হবে। বাংলাদেশে সরকারের পাশাপাশি আইএলও, ইউনিসেফ, ইউএন- এফপিএ-সহ বেসরকারি অনেক সংস্থা কাজ করছে। প্রতিবন্ধীদের মূল স্রোতধারায় আনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
সচেতনতা তৈরিতে মিডিয়া বড় ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা জরুরি। প্রতিবন্ধীদের মূল জনগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা যাবে না। তাদের মূল স্রোতে আনতে হবে। তাদের দক্ষতা বাড়ানো জরুরি। প্রতিবন্ধীদের দক্ষতা বাড়লে কর্মসংস্থান হবে। এতে দেশ এগিয়ে যাবে।দেশ এগিয়ে যাক সকলের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করে এটা সকলের প্রত্যাশা। তার জন্য প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে।
নিজের অধিকার বুঝে নিতে হবে। পাশাপাশি অন্যের অধিকার ও মর্যাদাকে মূল্য দিতে হবে। তবেই গড়ে উঠবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। আমাদের দেশের প্রতিবন্ধী মানুষের শতকরা নিরানব্ববই ভাগই সম্ভবত ঠিক এই অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। হাতেগোনা অল্পসংখ্যক সমাজের বিভিন্ন বাধার সঙ্গে অসম্ভব এক প্রতিকূলতার মাঝে লড়াই করে নিজেদের যোগ্য প্রমাণের চেষ্টা করে চলেছেন, অবিরাম।
আর বাকি বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষেরা নিজেদের শারীরিক সীমাবদ্ধতা অক্ষমতা ভেবে ভাগ্যকেই দোষারোপ করেন। বাবা, মা, পরিবার তথা সমাজ যেভাবে যা বলে, তাকেই নিয়তি ধরে চুপচাপ নিজের ভেতর গুটিয়ে নেন নিজেকে। সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন নতুবা পরনির্ভরশীলতায় ভর করে জীবনধারণে অভ্যস্ত বা বাধ্য হন ওরা। এই অবস্থার জন্য আসলে কি তারা নিজেরা দায়ী? নাকি সমাজ ব্যবস্থা? প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে দেশ ও সমাজের জন্য তারা সম্পদে পরিণত হবে।
সে জন্য কর্মপরিবেশ অনুযায়ী প্রতিবন্ধী মানুষদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের কর্মদক্ষতা অনুযায়ী তথ্যভান্ডার, শিল্পমালিকদের প্রণোদনা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতির বাস্তবায়ন যথাযথভাবে করতে হবে। প্রতিবন্ধীদের মানসিক স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, একীভূত শিক্ষা, ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ, প্রবেশগম্যতা ও চলাচল, কর্মক্ষেত্রে ন্যায্যতা, নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ সব ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের সমঅধিকার নিশ্চিত করে উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে সুন্দর এই পৃথিবী গড়ে তোলা হবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
প্রীতি / প্রীতি