চন্দনাইশে শিম চাষে ভাগ্য বদল কৃষকদের
দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিম চাষের এলাকাখ্যাত হিসেবে সু-পরিচিতি লাভ করেন চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী এলাকা। শঙ্খ তীরবর্তী দোহাজারী,জামিজুরী,রায় জোয়ারা,চাগাচর,বরমা,বৈলতলী,হাশিমপুর পাহাড়ী এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রচুর শীম চাষ হয়েছে। উপজেলায় শিমের ফলনও এবার ভালো হয়েছে।
শিম চাষের ভাল ফলনে ভাগ্য বদল হচ্ছে এইসব এলাকার কৃষকদের। এদিকে কৃষকরা বাজারে ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কয়েক হেক্টর জমিতে শিম চাষের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, প্রতি হেক্টরে ২৫ থেকে ৩০ টন করে শিম উৎপাদন হবে। এখানে ল্যাইটা,বাইট্যা,পুঁটি ও ছুরি- এ চার জাতের শিম উৎপাদন হয়। তবে এদের মধ্যে ল্যাইটা শিম এখানে বেশি ফলন হয়ে থাকে। সর্বাধিক শিম উৎপাদন হয় উপজেলার শঙ্খ তীরবর্তী চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া এলাকায়।
এছাড়াও উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সড়কের দুইপাশে শিম চাষ করেছেন কৃষকেরা। উপজেলার দোহাজারী রেলওয়ে মাঠে শিম বিক্রির জন্য আনার পর পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে কম মূল্যে কিনে ট্রাকে করে চট্টগ্রাম মহা-নগরসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। দোহাজারী এলাকার কৃষক মুফিজ মিয়া বলেন, শিম চাষ করে তারা প্রচুর লাভবান হচ্ছেন। শিম চাষে মাত্র তিন মাস সময় দিয়ে ভালো আয় করা যায়।
শিম চাষ করে সংসার চালান শঙ্খ নদীর তীরবর্তী এলাকার অনেক কৃষক। চন্দনাইশে একটি লাল,অন্যটি সবুজ-সাদা লম্বাটে জাতের শিম উৎপাদন হয়। চন্দনাইশের শিম দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। এব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন,উপজেলায় ৪শত হেক্টর জমিতে কৃষকরা শিমের চাষাবাদ করেছেন। ফলনও ভাল হয়েছে। তবে কৃষকরা জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে শিমের গুণাগুণ হ্রাস পাচ্ছে। শিমচাষিদের এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্রীতি / প্রীতি