জুড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বপ্নের ঘরের সুফল পাচ্ছে ভূমিহীনরা

স্বামীহারা সুলেখা রানী বিশ্বাসের ছিলনা নিজস্ব থাকার ঘর। স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই সন্তানসহ নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। যেখানে দু'মুঠো ভাত খাওয়াই দুঃসাধ্য সেখানে পাকা ঘর দুঃস্বপ্নই ছিল তার জীবনে। সুলেখার মত উপজেলার অনেকেরই ছিল না মাথা গোঁজার ঠাঁই। জমিই যেখানে ছিল না, সেখানে পাকা ঘর ছিল তাদের কাছে স্বপ্নের মতো।
অবশেষে মুজিববর্ষে আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ১৭৬ জন ভূমিহীন অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য এসব ঘর স্বপ্নের মত। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন পাকা ঘর উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত ও উচ্ছ্বসিত হয়েছেন এসব পরিবারের মানুষেরা। ইটের তৈরি পাকা ঘর ও চালে রঙিন টিন যেন দূর থেকে স্বপ্নের এক নীড়ের প্রতিচ্ছবি। দীর্ঘদিন যাদের থাকার ছিলনা কোন নিজস্ব ঘর, তারা এসব ঘর পেয়ে সত্যিই আনন্দিত।
স্বপ্নের ঘর পাওয়া রিতা রানী বিশ্বাসের স্বামী মানসিক রোগী হওয়ার কারণে ছিল না তেমন কোনো আয় রোজগার। স্বামীর আয় রোজগার না থাকায় রিতা বিশ্বাসের বেতের কুটির শিল্পের কাজেই কোনমতে চলত সংসার। নিজের পরিবারের অসহায়ত্বের এই করুণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়ে রিতা বিশ্বাস দারুণ খুশি। রিতা বিশ্বাস বলেন, তেমন আয় না থাকায় কোনমতে চলছিল সংসার। এখন প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে আমার পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ঘর পাওয়া সুলেখা বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর আমার দুচোখে ছিল শুধুই দুঃস্বপ্নের ছাপ। এখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘর দিয়েছেন। স্বপ্নেও ভাবি নি পাকা ঘর পাবো। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ঘর পেয়ে এখন মরার আগে শান্তিতে বাঁচতে পারব।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় আশ্রায়ন প্রকল্প-২ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬৯টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ব্যয় হয়েছেন ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ২১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। প্রথম পর্যায়ে এ উপজেলায় ৭ টি ভূমিহীন পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর। দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে জায়ফরনগর ৭ টি, পশ্চিমজুড়ী ৫৩ টি, পূর্বজুড়ী ৬৩ টি, গোয়ালবাড়ী ৪৬ টি সহ মোট ১৬৯ টি ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছে এই ঘর।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার প্রতিটি ঘরে দুইটি বেডরুম, একটি বাথরুম, একটি রান্নাঘর সহ পানি ও বিদ্যুতের সুবিধা রয়েছে। উপজেলায় আশ্রায়ন প্রকল্প-২ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬৯টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা বলেন, আশ্রয়নের অধিকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জুড়ী উপজেলার ১৭৬ জন অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ মহৎ উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। জুড়ীতে যোগদানের পর থেকে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত এসব ঘরের টেকশই নির্মাণে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি।
এমএসএম / এমএসএম

জনগণের অধিকারই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি: মঈন খান

ভূমিদস্যু ও জালিয়াতি চক্রের ভয়ে প্রাণে বাঁচতে দুই যুগেরও বেশি পৈতৃক ভিটেমাটি ছাড়া পরিবারসহ দু'ভাই

নেত্রকোনায় সাংবাদিক নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

ভূরুঙ্গামারীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

টেকনাফে একজনকে জবাই করে হত্যা

পাঁচবিবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন এমপি প্রার্থী ফয়সল আলীম

জাতি ৫৩ বছরের দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে চায়- মুহাম্মদ শাহাজাহান

রাজশাহী বাঘায় এ্যারাবিয়ান অর্গানাইজেশনের হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

জুড়ীতে রুম টু রিডের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

পাটের দামে ফুরফুরে মেজাজে বারহাট্টার কৃষকরা

জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবাদতের বাবার ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন

মাইকে ঘোষণা দিয়ে চার মাজার ভাঙচুরের ঘটনায় ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সরবরাহ কম, নাগালের বাইরে ইলিশের দাম
Link Copied