ঢাকা বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

দোহাজারীর বধ্যভূমি স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও অবহেলিত


আমিনুল ইসলাম রুবেল, চন্দনাইশ  photo আমিনুল ইসলাম রুবেল, চন্দনাইশ
প্রকাশিত: ১৩-১২-২০২২ দুপুর ১:৫
১৯৭১ সালে সাড়া দেশজুড়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্যাতন শুরু হয়। সে নির্যাতনের শিকার হন চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী জামিজুরী এলাকার কয়েকটি হিন্দু পরিবার। সে পরিবার গুলো থেকে ১৪ জন সদস্যদের দিন দুপুরে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। হত্যা করার পরে বড় একটি গর্ত করে একই গর্তে সবাইকে পুঁতে ফেলা হয়। আজ স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও এ দোহাজরী জামিরজুরী বধ্যভূমিতে এখনো সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতায় কোন স্থাপনা বা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়নি। তবে হয়েছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১৪ জনের নাম সম্বলিত একটি স্মৃতিফলক। যা দেখে আজও সে করুণ কাহিনী মনে করে এ এলাকার জনসাধারণ। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর দল ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালী জাতীর উপর। তারা বাঙালী নিধনের অংশ হিসেবে সে সময়ে বেছে নিয়েছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ীভুক্ত এলাকাগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় পাক হানাদার বাহিনীরা সেদিন চন্দনাইশ (তৎকালীন পটিয়া থানার) দোহাজারী জামিজুরী গ্রামে। সারা দেশের মত এ গ্রামটিও রক্তে রঞ্জিত হয় ৭১’র এ দিনে। হানাদার বাহিনীর নিমর্মতায় বলী হয় ১৪ জন হিন্দু পরিবারের সদস্য। সেদিন শাহাদত বরণকারী শহীদদের স্মৃতিকে ধরে রাখার প্রয়াসে সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতায় কোন স্থাপনা বা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত না হলেও
স্থানীয় ক’জন প্রগতিশীল তরুণের অক্লান্ত পরিশ্রমে দোহাজারী জামিজুরীতে গড়ে উঠে এ বধ্যভূমি। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং একান্ত আন্তরিকতার কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলেও এখনো এদেশীয় দোসর-রাজাকার, আলবদরদের বিচার হয়নি। এদের হাতে নির্মমভাবে সেদিন শহীদ হয়েছিল ১৪ জন। এ সকল শহীদদের পরিবার-পরিজনের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখার গরজ কেউ অনুভব করেনি অদ্যবধি। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ রাষ্ট্রীয় কোন আনুকূল্যও তাদের ভাগ্যে জুটেনি। সরকারের সদিচ্ছার আলোকে কয়েক দফা ছবি তুলে তথ্য সরকারিভাবে উপরে মহলে পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বধ্যভূমি রক্ষণাবেক্ষণকারী সুনীল কান্তি ভট্টাচার্য। দোহাজারী জামিজুরীর এ বধ্যভূমিটি সরকারি কোন দপ্তরে নথিভুক্ত হয়েছে কিনা তাও কারো জানা নেই। অথচ পাক হানাদার বাহিনী লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে ১৪ জনকে ঝাঝড়া করে তাদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। তারা তাদের স্বাভাবিক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান থেকেও বঞ্চিত হয় নরপশুদের পাশবিকতার কারণে। ফলে অনেক দেরিতে নিহতদের একটি গর্তে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল। অবশ্যই তার আগে মুখে একটু আগুন লাগিয়ে মুখাগ্নির ব্যবস্থা করে কিছুটা দায় কমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল সেদিন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শহীদ ডা. বগলা প্রসাদ ভট্টাচার্যের স্ত্রী মাধুরী লতা ভট্টাচার্য গত সাত বৎসর আগে জীবিত থাকা অবস্থায় সে স্মৃতি অকপটে বলেছিলেন। তিনি সম্পূর্ণ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেছিলেন,রাজাকারদের সাথে এদেশের কিছু লোকও ছিল। তারা প্রথমে তারাচরণকে গুলি করে হত্যা করে। পরে বৃষ্টির মত গুলি করেছে। অনেকের মাথার খুলি পর্যন্ত উড়ে যায়। অতিথি একজনসহ ১৪ জনকে হত্যা করে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাদের ঘরের পিছনের গর্তে ফেলে মাটি দিয়ে দেয়। ঘটনার দিন ছিল বুধবার ১৪ বৈশাখ,২৮ এপ্রিল ১৯৭১ সাল।শহীদ ডা.বগলা প্রসাদের ছেলে ডা.সুনীল ভট্টাচার্য বলেন,স্বাধীনতার পর পর বঙ্গবন্ধু সরকার থেকে মাত্র ২ হাজার টাকার সাহায্য পাওয়া যায়। আর কোন সাহায্য সহযোগিতা সরকারি বা বেসরকারিভাবে শহীদ পরিবারগুলো পায়নি। তারা কোন সাহায্য না পেলেও নিজস্ব তাগিদে ১৪ জন শহীদের সমাধিস্থলে তাদের নাম র্লিখে একটি বেঁধি নির্মাণ করেছেন। বধ্যভূমিটি সংস্কার করার জন্য সাবেক সাংসদ আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমদ তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। এছাড়া আর কোন নেতা-কর্মী এ বধ্যভূমির জন্য অর্থদান তো দূরের কথা, অনেকে দেখতে পর্যন্ত আসেনি। বর্তমানে তিনি শহীদদের সমাধিস্থলে বেধি নির্মাণ করে মাটি ভরাট ও বাউন্ডারি দিয়ে অনেকটা ঋণ কমানোর চেষ্টা করেছেন।

এমএসএম / এমএসএম

চুরি করে আনা প্রাইভেট কারে ছিল বিপুল পরিমান মাদক

বিগত সরকারের শাসনামলের ১৫ বছর আতঙ্কের ভিতর কাটিয়েছিঃ অভি

ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা খোকন গ্রেফতার

মেডিক্যাল চান্স পাওয়া পাবনার শিক্ষার্থী মেঘলার সব দায়িত্ব নিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক

উলিপুরে নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

গলাচিপায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

মান্দায় ভারতীয় জাল রুপিসহ আ.লীগ নেতা আটক

সিলেটে ২ দিনে ১ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ

চন্দনাইশে আটককৃত পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ভুরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসায় ভোগান্তি বন্ধে মানব বন্ধন

আপনারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে না পারলে, যারা পারবে তাদের পথ সুগম করেন: দুদু

খানসামায় নদীর বালু হরিলুট করছে ইউপি সদস্য