তিস্তার চরে আগাম জাতের আলুর বম্পার ফলন
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তায় ভেসে উঠা চরে আগাম জাতের আলু চাষে বম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি দেখা যায়। দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন আলু চাষিরা।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়ে তা ভেসে ওঠে চরে পরিণত হয়েছে। সে চড়ে একর ময় একর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন আলু চাষিরা। আলুর বম্পার ফলন ও বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি। তারা এখন আগাম জাতের আলু উঠাতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। তারা বলেন আগাম জাতের আলু উঠিয়ে আবার আলু চাষ করবেন। একই জমিতে দু'বার আলু চাষ হবে বলে তারা জানান। তারা বলেন দ্বিতীয় বারের আলুর ফলন এর থেকেও বেশি হবে। সে গুলো কোল্ডস্টোরেজে রাখা হবে। আবার বাজার জাতও করা হবে। তাতে অনেক লাভবান হতে পারব। তবে এখন আগাম জাতের আলু চাষে বেশি ঝুকছেন তিস্তার চরের আলু চাষিরা। কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,এবারে উপজেলায় আগাম জাত সহ আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৭'শ ২০ হেক্টর।
আগাম জাতের আলু চাষি আব্দুল মতিন বলেন, আমি ভেসে উঠা তিস্তার চরে প্রায় ৮ একর জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। বাম্পার ফলন হওয়ায় আমি অনেক খুশি। আমি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আলুর বীজ ও সার বিনামূল্যে পেয়েছি। তাদের বিভিন্নধরনের সহযোগিতাও পেয়েছি। তিনি বলেন, আমার ৮ একর জমিতে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। আলু হবে প্রায় ১১'শ ২০ বস্তা। ১ বস্তায় আলু থাকে ৬০ কেজি। মোট আলু হবে ৬৭ হাজার ২'শ কেজি। বর্তমান বাজারে আলুর প্রতি কেজি ২৫ টাকা। যার মুল্য প্রায় ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা প্রায়।
এছাড়াও তিস্তার চরে আগাম জাতের আলু চাষিদের মধ্যে মান্নান, আব্দুস ছবুর, নুর মোহাম্মদ, কুদ্দুছ, মজিবর ও আবুল পাগলা সহ আরও অনেকে বলেন, তিস্তায় ভেসে উঠা চরে আগাম জাতের আলুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বর্তমান বাজার দর ভালো থাকায় আমরা অনেক লাভবান হতে পারব। তারা বলেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ও রোগ বালাই দমন সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করেছেন। আশা করি খরচের থেকে দ্বিগুণ টাকা আয় করতে পারব বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, আমি আগাম জাতের আলু চাষের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। তারা আগাম জাতের আলু চাষে অনেক আগ্রহী হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমন সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগাম জাতের আলুর বম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি তারা অনেক লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন বলেন, উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৭'শ ২০ হেক্টর। উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠে আলু চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই পোকামাকড় দমন সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এবারে আগাম জাতের আলুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে আলুর দর ভালো থাকায় আলু চাষিরা অনেক লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।
এমএসএম / এমএসএম
নবীনগরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম. এ. মান্নানের নির্বাচনী জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত
কুমিল্লায় ইমাম–খতীব সম্মেলন রোববার,প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা
নন্দীগ্রামে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রতিহতের আহ্বান সাংবাদিকদের
লাকসামে জামায়াত প্রার্থী সরওয়ারের বিশাল হোন্ডা র্যালী
মনপুরায় সফরকালে সুধীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক
দুমকীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি-নেত্রকোনায়-জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ
ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেপ্তার
বাস-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ৪
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিকিৎসাধীন সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু
কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, এমডি রাব্বিক হাসানের বিরুদ্ধে শ্রমিক নেতাদের সরব অভিযোগ