ঢাকা বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছীরা


সাইদুল ইসলাম আবির, রায়গঞ্জ photo সাইদুল ইসলাম আবির, রায়গঞ্জ
প্রকাশিত: ২৩-১২-২০২২ দুপুর ২:৫৮

বৈচিত্র্যপূর্ণ ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এক একটি ঋতুর রয়েছে এক এক রকম বৈশিষ্ট্য বাংলার প্রকৃতির ঋতুবৈচিত্র্যে এখন হেমন্তের মাঝামাঝি।দিনে মিষ্টি রোদ, ভোরে পাতায় শিশির বিন্দু, হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।একই সঙ্গে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা।তারা আশ্বিনে খেজুর গাছ চাঁছতে (স্থানীয় শব্দ- ঝাড়া) শুরু করেছেন।কাজ শেষে ভাদ্রে গাছ শুকানো নল লাগানো শেষে রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করা হয়।তবে আরও দুইসপ্তাহ পর খেজুর গাছ থেকে পুরোদমে বেশি রস সংগ্রহ করতে পারবে গাছিরা। খেজুর গাছ একবার চাঁছলে তিন-চার দিন রস সংগ্রহ করা যায়। তারপর তিনদিন গাছ শুকাতে হয়। শুকনো গাছের রস সুমিষ্ট হয়। শীত বাড়বে, তত খেজুরের রস সংগ্রহ হবে। খেজুরের রস সংগ্রহ করে রস থেকে পাটালি গুড় তৈরি শুরু হয়ে চলবে মাঘ মাস জুড়ে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে গাছিরা খেজুরের গাছগুলো পরিচর্যা করছেন। ঝুঁকি নিয়ে মাজায় রাবারের বেল্ট ব্যবহার করছেন। রোদ্রে খেজুর গাছ শুকানোর পর কেউ প্লাস্টিকের, কেউ মাটির হাঁড়ি গাছে বাঁধছেন। এখনকার রস তেমন মিষ্টি না। কেউবা অল্প কাঁচা রস সংগ্রহ করে হাট-বাজারে বিক্রি করেন। কেউ কেউ আবার ঝোলা গুড় বানানোর চেষ্টা করছেন।

গ্রামাঞ্চলে পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গরু, বাড়ির আঙিনায় খেজুরের গাছ যেন প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য ছিল। ঝোপঝাড়ে, ক্ষেতের আইলে, গ্রামের মেঠোপথের দুই ধারে অসংখ্য খেজুরের গাছ কোন পরিচর্যা ছাড়া বড় হতো। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হতো সুস্বাদু খেজুরের পাটালী গুড়।

অগ্রহায়ণ মাসে গ্রামাঞ্চলে গাছি পুরোদমে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা নিয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। একদিকে নতুন ধানের চাল,আর খেজুরের রসে তৈরি হতো নানা প্রকার পিঠা-পায়েস। বাড়িতে বাড়িতে নবান্নের উৎসব দেখা যেতো। যা এখন বিলুপ্ত। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্য।জনপদের সাধারণ মানুষ সচেতন না হওয়ার কারণে পরিবেশবান্ধব এ খেজুরের গাছ ইট ভাটায় জ্বালানি হিসাবে বেশি ব্যবহার করার কারণে খেজুর গাছ চোখে পড়ে না। কমছে শুধুই খেজুর গাছের সংখ্যা। সময়ের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন-যাপনের হারিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রচলিত সংস্কৃতি।

একসময় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বড় আকৃতির খেজুর গাছ ছিল।

বর্তমানে রায়গঞ্জ উপজেলা সদর  থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ধামাইনগর ইউনিয়নে বাঁকাই গ্রামে চোখে পড়ে সারি সারি খেজুর গাছ।সেখানে দেখা যায় খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছেন গাছীরা। 

বার্তমানে রায়গঞ্জ উপজেলা শহরের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কোথাও খেজুরের গাছ তেমন একটা চোখে পড়ে না।রায়গঞ্জের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য তথা জীবনধারায় মিশে আছে। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

এমএসএম / এমএসএম

চট্টগ্রাম ৯ আসনে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কেশবপুরে আবুবকর আবু'র মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

মনিরামপু্ের পাকিস্তানি জমিয়ত নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান

ফতেয়াবাদ স্কুলকে সরকারিকরণের উদ্যোগ নিব ব্যারিস্টার মীর হেলাল

মাধবপুরে প্রতিহিংসা ভুলে এক মঞ্চে আ.লীগ–বিএনপি : এলাকায় শান্তির বার্তা

আমরা দীর্ঘদিন আপন লোকদের জানাজায় যেতে পারিনি - আবুল কালাম

বাঘা পৌর প্রকল্পের রাস্তা ও ড্রেন উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

লাকসামে ৪নং ওয়ার্ডে বিএনপি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়

মাগুরা-২ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন বিএনপির সাবেক এমপি কাজী কামাল

কালকিনির‘কুমার ডুবি’ খাল দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত

রাজশাহীর বাগমারায় ৯৫ কোটি টাকার সমিতি কেলেঙ্কারি: ২৩০০ গ্রাহক নিঃস্ব।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ১০০ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক কারবারি গ্রেফতার

তানোরে অনিরাপদ পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কৃষকরা