মুল হোতারা থাকে ধোরা ছোয়ার বাইরে
উৎকোচ দিয়ে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে চলছে মাছ শিকার
সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় অসাধু জেলেরা মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের মাছের প্রজননক্ষেত্র গুলো। তবে বন বিভাগের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় মাছ ধারার অপরাধে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন জেলেকে আটক করা হয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের নীলকমল, পাথকষ্টা, গেওয়াখালির অংশ বিশেষ, নোটাবেকি, মান্দারবাড়ি, পুস্পকাটিসহ বনের অন্য সকল অভয়ারণ্য এলাকায় মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাদনভুক্ত শত শত জেলে মাছ শিকার করে অবৈধ ভাবে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে।মাঝে মাঝে কিছু অবৈধ মাছ শিকার কালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও মুল হোতারা থাকে সব সময় ধরা ছোয়ার বাইরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়রা এলাকার কয়েকজন জেলে ও দাদন ব্যবসায়ীরা জানায়, সুন্দরবন দক্ষিণ অভয়ারণ্যের নীলকমলের ছিচখালী,কেঁড়ড়া সুতি,ভোমর খালি ও বালি নদীর আশপাশের এলাকা, চান্দাবুনি ও বুন্দো নদী সহ আশপাশের খালে মৎস্য বাবসায়ি আব্দুল মাজেল, মফিজুল, জহির মেম্বর, এছাক ও মালেকের জেলেদের সাথে কিছু কথিত সাংবাদিক, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধি মিলে বছরের প্রায় সময়জুড়ে মাছ শিকার করে থাকে। নোটাবেকি, পুস্পকাটি অভয়ারণ্যের নান্দী ও জলঘাটা বন এলাকার নদী-খালে মৎস্য ব্যবসায়ি রজব আলী, কামরুল গাজী, মহিদুল সহ কয়রা ও শ্যমনগরের শতাধিক জেলে মাছ শিকার করছেন।তথ্য অনুসন্ধানে ও স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়,সুন্দরবনে আবু সালেহ এর ২২ টি নৌকা, তন্ময় কোম্পানির ১৭ টি, শরীফ ডাক্তারের ৪০ টি, বুলবুলির ২২ টি,নূরুজ্জামানের ১০টি, রহিমের ১০টি, ইসমাইলের ৪০ টি, মফিজুলের ২২ টি, আব্দুল মাজেদ এর ৩০ টি, জহিরের ৪০ টি, এছহাকের ৩০ টি, রজব আলীর ২৫ টি, মহিদুল এর ২০ টি, কামরুল গাজি এর ২৩ টি, জামাল মোল্লার ৩০ টি, শহীদুল্লাহ্ মোল্লার ৩৫ টি, শহীদের ৩৫ টি, মিন্টু গং দের ৩০টি, বাবুর ৫ টি, লৎফর মোল্লার ১৫ টি, আলামিনের ১০ টি, শাহেব আলীর ৮টি, মাজেদ ১৫টি,বাক্কার ২৩টি, বারিক ৫টি,মহিদুল সরদার ১৫টি সহ বিভিন্ন জেলে কোম্পানির কয়েক'শ নৌকা অবৈধভাবে অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরছে। এসব মাছ ট্রলার যোগে এনে দাদন ব্যবসায়ীর কাটায় কয়রা, কলবাড়ি, সোনার মোড়,নঁওয়াবেকী,নূরনগরসহ বিভিন্ন মৎস্য আড়তে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।একাধিক জেলেরা জানায়, অভয়ারণ্যে মাছ শিকারের সুযোগ করে দেওয়ায় অভয়ারণ্য এলাকার বনরক্ষী বাবদ প্রতি গোনে জেলে নৌকা প্রতি ১ হাজার টাকা করে মৎস্য কোম্পানিগুলো জেলেদের কাছ থেকে কর্তন করে নেয়। এই সুযোগ তৈরী করতে কাজ করে কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধি ও কিছু কথিত সাংবাদিক।জেলেরা আরো জানায়, গহীন সুন্দরবন থেকে টাপুরে নৌকাযোগে মাছ নিয়ে লোকালয়ে পৌঁছাতে পথে ঘাটে সবখানে ম্যানেজ করে চলতে হয়। তবে কোস্টগার্ড ও স্মার্ট পেট্রোলিং এর স্পিড বোটের সামনে পড়লে রেহাই পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন,অভয়ারণ্য এলাকায় প্রবেশ একে বারে নিষিদ্ধ। বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোলিং টিম নিয়মিত টহল করছে। অভয়ারণ্যের নদী-খালে মাছ শিকারের অসাধু জেলেদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি সুনিদিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা
কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি
বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত
গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী
চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ