ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

চট্টগ্রামে জমিয়াতুল ফালাহ-জুবলী রোড এক কিলোমিটার লম্বা বিএনপির গণমিছিল


নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ব্যুরো photo নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ২৪-১২-২০২২ রাত ৮:১৮

চট্টগ্রামে মহানগর, উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে বিএনপির গণমিছিল নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের সামনে থেকে জুবলী রোর্ড তিন পুলের মাথা পর্যন্ত এক কিলোমিটার লম্বা মিছিল করেন। বিগত প্রায় ২৫/৩০ বছরে চট্টগ্রামে কোন রাজনৈতিক দলের এত বড় মিছিল এত মানুষের অংশগ্রহণ আর দেখেনি বলে নগররীর বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষেরা জানান।

গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের সামনে মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড, খন্দকার মোশারফ হোসেন।

 বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষের রায় হচ্ছে এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই ১০ দফা আমারে যে দাবী তা পূরণ করতে হবে । এই স্বৈরাচারী সরকার আপোষে তা মেনে
নিবে না তাই আমারে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন ফয়সালা হবে রাজপথে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা কি
রাজপথে ফয়াসালা করার জন্য প্রস্তুত। বীর চট্টলার মানুষ ফয়সালা রাজপথে করার জন্য প্রস্তুত। এই কর্মসূচীকে অনুসরন করে সারা বাংলাদেশ রাস্তায় নেমে পড়বে এবং এই সরকারকে বিদায় করে দিয়ে রাস্তা থেকে ফিরে যাবে। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই । তারেক রহমানের দেশে ফিরে রাজনীতি করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। নেতাদের মুক্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই । এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের দাবীবি শুনবে না । তাই তারেকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে , সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের গঠনে বাধ্য করতে হবে। এই বাধ্য করার আন্দোলনের সূচনা হচ্ছে গণমিছিল। এই সরকারের খাত থেকে দেশেকে রক্ষা করতে না পারলে দেশের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে । তাই দেশ ও জনগনকে রক্ষা করতে হলে , এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

তিনি বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়োর লক্ষে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ সংলগ্ন ওয়াসা মোড় মিছিল পূর্বে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপাসেনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম, এ এম নাজিম উদ্দীন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দীন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, আবু সুফিয়ান, আলহাজ্ব এমএ আজিজ,এম এ হালিম, এরশাদ উল্লাহ, এনামুল হক এনাম, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মন্নান, কাজী সালাউদ্দীন, মোশারফ হোসেন দিপ্তী, মোহাম্মদ সাহেদ, বলায়েত হোসেন বুলু, সাইফুল আলম, শরিফুল ইসলাম তুহিন সহ নেতা বক্তব্য রাখেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই সরকার জনগনের সরকার নয়, জনগনের ভোট দিয়ে নির্বাচিত নয়। তাই এই সরকারের দেশের জনগনের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। সেই জন্য আজকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে, গণতন্ত্র,
অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা দিয়েছে। বিভাগীয় সমাবেশ থেকে জনগন আমাদেরকে রায় দিয়েছে। যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, অর্থনীতি ধ্বংস করেছে , বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে তারা এদেশে গণতন্ত্র আসতে দিবে না । অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না , তারা বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না । অতএব আমারা
এদেশের মানুষের ১০ দফা দাবি উথাপন করেছি। এই দাবী উথাপন করার পর , যারা সরকারকে পছন্দ করে না, যারা গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক, সকল গোষ্টী, ব্যক্তি এই ১০ ফার পক্ষ নিয়ে সেগুলোকে সমর্থন করেছে। আজকে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আমরা এই যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবী আদায়ের জন্য প্রথম কর্মসূচী পালন করছি গণমিছিল।

এর আগে দুপুর একটা থেকে চট্টগ্রাম মহানগর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও ক্ষিণ জেলা বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা থেকে মিছিলে যোগ দেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগনের নেতারা।

বিএনপির গণমিছিলটি সমাবেশের শেষে চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়, আলম্ধসঢ়;স,কাজির দেউড়ী,নুর আহম্মদ সড়ক,লাভলেইন ,এনায়েত বাজার হয়ে তিনপুলের মাতায় গিয়ে মিছিল শেষ হয়। দীর্ঘ এক যুগ পর এত লোকের মিছিল দেখলো চট্টগ্রামের জনগন। রাস্তার দুই পাশে সাধারণ মানুষ তালি দিয়ে মিছিলকে উৎসাহিত করতে দেখা যায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের মাধ্যমে এই দেশে নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতাদের মুক্তির দাবীতে আমরা ১০ দফা প্রদান করেছি। এই ১০ দফা দাবী আদায়ের জন্য সারাদেশে প্রথম কর্মসূচী গণমিছিল। আপনারা যেভাবে বিভাগীয় গণসমাবেশ চট্টগ্রাম থেকে সফলভাবে শুরু করেছিলেন, তেমনিভাবে এই গণমিছিল গণসমুদ্রে রূপান্তর করেছেন চট্টগ্রাম বাসী।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ১০ টি গণসমাবেশ নানা বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগন সফল করেছিলো । সমাবেশগুলো থেকে জনগন আওয়াত তুলেছিলো, যারা গায়ের জোরে সরকারে আছে , সেই স্বৈরাচার, ভোট ডাকাত , দূর্নীতি বাজা সরকারকে আর এই দেশের মানুষ দেখতে চায় না । এই গায়ের জোরের ফ্যাসিবাদি সরকার, ক্ষমতায় টিকে
থাকার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার তারা ছিনতাই করেছে।

তিনি বলেন, এই সরকার লুটেরা সরকার, চাঁদাবাজি, দূর্নীতি , টেন্ডারবাজি এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার কারনে আজকে অর্থনীতির এমন অবস্থা হয়েছে যে, আমানিকরাকরা এলসি খুলতে পারছেনা । তার জন্য আজকে বাংলাদেশে দূর্ভিক্ষ অবস্থা । দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতির কারনে গরবী মানুষ না খেয়ে থাকছে, মধ্যবিত্ত মানুষ আরো গরীব হয়ে গেছে। আগে যেখানে দারিদ্রের সীমা ২০ শতাংশের নিচে ছিলো , এই সরকারের দূর্নীীতি ও অর্থনীতি ধ্বংস করার কারনে সেই দারিদ্রের সীমা ৪০ শতাংশে উঠে গেছে। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিচার বিভাগকে দলীয় করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেছেন, কিছু দিনের মধ্যে একটা হুইসেল দিবে। সেই হুইসেল মানে সরকার পতনের হুইসেল। তখন লাখ লাখ জনতার রাজপথ দখল করতে হবে। মীর নাসির আরো বলেন, ওবায়দুল কাদের বলে নির্বাচন নাকি করতে দিবে না। আমরা নির্বাচন করবো , সেই নির্বাচনে জয়ী হবো । সেই ভয়ে আজকে সরকারের হৃদকম্পদ শুরু হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বিএনপির চট্টগ্রাম। আগামী হুইসেলের জন্য অপেক্ষা করেন, দেখবেন সকালে উঠে তারা সবাই পালিয়ে গেছে। আবার জনতা ক্ষমতায় আসবে।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম বলেন, একটি স্বাধীন দেশে রাজনীতিকদের রাজনীতি করার স্বাধীনতা নেই। কোনো অনুষ্ঠান সফল হতে গেলে সেটিকে ব্যর্থ করার জন্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ এই অবস্থায় এসে পৌঁছাবে, সেটা মুক্তিযোদ্ধারা কোনোদিন আশা করেননি।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকাকে সরাতে হবে।সরকার জনগণকে ভয় পাচ্ছে। ভয় পাচ্ছে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে। নিজেদের অপকর্মের জন্য তারা ভয়ে ভীত। তা না হলে একটি গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এত কান্ডকারখানা, এত বর্বোরোচিত আচরণ কেন করতে হবে? বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচন আর কেউ বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না।

সুজন / সুজন

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন

লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে বিএনপি নেতাদের সাক্ষাৎ