ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: পুলিশের ৫ মামলায় ৮১ আসামী, অজ্ঞাত সহস্রাধিক


সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড় photo সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ২৬-১২-২০২২ দুপুর ১২:৫৮
পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় মোট ৮১ জনের নাম উল্লেখসহ এক হাজারেরও অধিক অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। রোববার দুপুরে এ তথ্য জানান পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা।
 
পুলিশ জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের ওপর বল প্রয়োগ, ককটেল বিস্ফোরন, সড়ক অবরোধ এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে পঞ্চগড় সদর থানায় করা এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পঞ্চগড় সদরের একজন, দেবীগঞ্জ উপজেলার দুইজন, বোদা উপজেলার একজন, আটোয়ারীর দুইজন এবং তেঁতুলিয়ার দুইজন। এদের মধ্যে তেঁতুলিয়া উপজেলার দুইজন জামায়াতের সঙ্গে জড়িত এবং বাকীরা বিএনপির।
পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা বলেন, গতকাল বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত গণমিছিলের কর্মসূচি ছিলো। আমরা বিএনপির লোকজনকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে অনুরোধ করি। আমরা নিরাপত্তার কারণে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করি। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি না করে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে মিছিল করে এবং পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে তারা ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে কোন প্রকার উস্কানি ছাড়াই তারা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
 
পুলিশ সুপার আরো বলেন, যেহেতু পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং রাস্তায় ভাঙচুরের চেষ্টা হচ্ছিল তাই স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ টিয়ারশেল এবং শর্টগানের গুলি করে। নিরাপত্তা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এ ঘটনায় যারা মিছিল করেছেন তাদের ২০-২৫ জন এবং পুলিশের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশি কাজে বাধা দেয়া এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করায় আমরা মামলা করেছি। এই মামলায় কোন সাধারণ মানুষকে হয়রানী করা হবেনা বলেও জানান তিনি।
 
এর আগে, গতকাল শনিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিলের প্রস্তুতি নেয় পঞ্চগড় জেলা বিএনপি। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে জেলা বিএনপির অফিসে। পরে দলটি গণ মিছিল বের করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এঘটনায় গণমিছিলে আসা আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫১) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হন বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
 
বিএনপির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা বলেন, বিএনপির কর্মসূচীতে পুলিশের মারপিটে কোন প্রাণহানি হয়নি। আব্দুর রশিদ আরেফিন হৃদ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে তাকে ইসিজি করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জেনেছি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়া আমরা তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেও জেনেছি তিনি আগে থেকেই বাইপাসের রোগী ছিলেন, উনার তিনটা বাইপাস অপারেশন করা ছিলো। মূলত এই ধরণের কর্মসূচিতে তার আসা উচিত হয়নি।
আব্দুর রশিদ আরেফিনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেল ৪টায় তার নিজ এলাকা ময়দানদীঘিতে জানাজা শেষে দাফন করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

এমএসএম / এমএসএম

মধুখালী বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

নড়াইলের লোহাগড়ায় শ্রমিক অধিকার পরিষদের পরিচিতি সভা

চৌগাছায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক ব্যক্তির আত্মহত্যা

নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ সাইবারস্পেস নিশ্চিত করতে কর্মশালা

বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচনে সভাপতি সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক মিলন

নাঙ্গলকোটে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

মেহেরপুরে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

পাবিপ্রবিতে ‘ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস’ শীর্ষক কর্মশালা

বেনাপোল চেকপোষ্টে কুলি শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসকের উদ্যোগে ধলাই নদী পরিষ্কার পরিছন্নতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

সিনেমা হলের শেষ গল্প: তাজ সিনেমা হল থেকে স্মৃতি হারাচ্ছে দর্শক

হাটহাজারীতে শারদীয় দূর্গা পূজার ১১৮টি মন্ডপে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি

মাদারীপুরে মানব কল্যাণ সংগঠনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প