ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

উপকূলে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও ‘এনজিও’


সম্রাট, কয়রা photo সম্রাট, কয়রা
প্রকাশিত: ৩১-১২-২০২২ দুপুর ৩:৪৯

 সুন্দরবন বেষ্টিত বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ খুলনার উপকূলীয়  কয়রা উপজেলার স্বল্প সুদে ঋণ  দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের  প্রায়  ৩০  লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘আলো ফাউন্ডেশন ’ নামের একটি কথিত বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) বিরুদ্ধে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপকসহ চার  কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  কয়রার আদালতে মামলা  ও কয়রা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন একাধিক গ্রাহক। ভুক্তভোগী গ্রাহক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবরে কয়রা বাজার দক্ষিণ মদিনাবাদ আবু মুছা সরদারের বাড়ির দ্বিতীয়  তলার দুটি কক্ষ ভাড়া নেন খলিলুর রহমান নামের  এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে আলো ফাউন্ডেশন এর  ব্যবস্থাপক পরিচয় দেন। সেখানে সংস্থাটির একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। এরপর ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। সেখানে  নাজিম , রাজু ওরফে সুজন আলীকে কর্মকর্তা ও এলাকার সুষমা ও খাদিজাসহ বেশ কয়েকজনকে টাকার বিনিময় মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন খলিলুর রহমান ।কথিত খলিলুর রহমান ও তার সহযোগীদের বাড়ির সন্ধার এখোনো মেলিনি। অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খলিলুর রহমান ও তার দুই সহযোগী মিলে এলাকার মাঠকর্মীদের দিয়ে কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার  ৫ শতাধিক লোককে ১২০ টাকার বিনিময়ে গ্রাহক করেন। তারা সদস্যদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করবেন বলে ঘোষণা দেন। এজন্য ঋণ প্রাপ্তির আগে ঋণ গ্রহীতাদের প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দেন। এতে গ্রামের সহজ-সরল অভাবী মানুষেরা ওই শর্ত পূরণের জন্য ঋণ প্রাপ্তির আশায় লাখ প্রতি ১০ হাজার টাকা কথিত ওই এনজিওতে সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখেন।কিন্তু গত ১০ ডিসেম্বর  কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই তিনজন পালিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে ১২ডিসেম্বর  একাধিক গ্রাহক সংস্থাটির কার্যালয়ে এসে ভিড় করেন। তাঁরা সংস্থাটির কক্ষগুলো তালাবদ্ধ দেখতে পান। ওই তিনজনের মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ পান।এ ব্যাপারে উপজেলা সদরের  জয়নাল বলেন ১ লক্ষ টাকা ঋণ দেবে বলে  আমার ১২০০০ হাজার টাকা নিয়ে এনজিওটি পালিয়ে গেছে। একই গ্রামের সিরাজুল বলেন আমার ৫০ হাজার দেবে বলে ৫০০০ নিয়েছে।উপজেলার উত্তর বেদকাশি  গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, তাঁর কাছ থেকে রসিদের মাধ্যমে ১০ হাজার ৫২০ টাকা আমানত নিয়েছেন সংস্থাটির লোকজন। পরে তিনি জানতে পারেন, প্রতারণা করে তাঁদের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন তাঁরা। ধারকর্জ করে ওই টাকা আমানত রেখেছিলেন। টাকা ফেরত না পেলে সর্বস্বান্ত হতে হবে। এ অবস্থায় তিনি কার কাছে গেলে সাহায্য পাবেন তিনি বুঝতে পারছেন না। আলো ফাউন্ডেশন এর  ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমানের এবং তাঁর ওই দুই সহকর্মীর মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি এম এস দোহা (বিপিএম)  বলেন, গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তাদের খুঁজতে  আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে। তিনি  প্রতারকদের সন্ধান দিতে সকলের সাহায্য কামনা করেন।

 

এমএসএম / এমএসএম

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট

পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা

কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান

আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল

হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা

‎শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি

বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত

গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী

চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ

কটিয়াদীতে পুকুরের পানিতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু