শিবচরে সবুজ মাঠে হলুদের হাতছানি

পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদী বিধৌত মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলসহ ফসলের মাঠে এখন হলুদের সমারোহ। যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ
ভোজ্য তেলের দামে নাভিশ্বাস হওয়ায় কদর বেড়ে সরিষা আবাদে।সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় মাঠজুড়ে চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য ফুটে আছে। ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সামান্য পরিচর্যা আর অল্প সার ব্যবহার করে সরিষা চাষে বেশি লাভের আশা করছেন চাষিরা।
রবিবার (৮ জানুয়ারি ) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে,যেন হলুদের চাদর বিছানো ক্ষেতজুড়ে। এলাকার বিস্তীর্ণ ক্ষেতজুড়ে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা ক্ষেতে ভালো ফুল এসেছে। বেশির ভাগ ক্ষেতে ইতোমধ্যেই এসেছে ফুল।কৃষকেরা ক্ষেতের আগাছা পরিস্কারসহ নানা কাজে ব্যস্ত।
শিবচর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা গেছে, উপজেলায় মৌসুমী ফসলের মধ্যে প্রতি বছরই সরিষার আবাদ হয়। শীত মৌসুমে উপজেলার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের ছড়াছড়ি থাকে। চলতি বছর উপজেলায় ৪ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। গত বছর যেখানে আবাদ হয়েছিল ৩ হাজার ৭৯৪ হেক্টর। ফলন ভালো হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকেরা সরিষা চাষের দিকে বেশ আগ্রহী।
এসময় উপজেলার মাদবরেরচর উমেদপুর বহেরাতলা, শিরুয়াইল, কুতুবপুর, নিলখী, দত্তপাড়া, বাঁশকান্দিসহ পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী চরের কয়েটি এলাকার কৃষকেরা জানান,কুয়াশা উপেক্ষা করে তারা (চাষিরা) সরিষা ক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে এবং সার, বীজ সঙ্কট না থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন। পাশাপাশি পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন তারা। এবার সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। কয়েক দিন পরই সরিষা উঠবে ঘরে।
শিবচর উপজেলার বহেরাতলা এলাকার কৃষক আবুল হোসেন মল্লিক বলেন, শীত মৌসুমে আমাদের এই এলাকায় সরিষা, কলাই, পেঁয়াজ, রসুনের আবাদ বেশি হয়। সরিষা আবাদে বেশ ভালো ফলন হওয়ায় প্রতি বছরই কৃষকেরা অধিক পরিমাণে সরিষার আবাদ করে।তাছাড়া সয়াবিন তেলের চাপ কমাতে এবার আমাদের এই গ্রামে অনেক জমির মালিক সরিষা আবাদ করেছেন।
একই উপজেলার বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের সরকারের গ্রামের কৃষক কাজল ফকির বলেন,আমাদের এলাকায় নিয়মিত সরিষা চাষ করা হয়।আমি ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। সরিষার পাশাপাশি একই ক্ষেতে কালাই চাষও করা হয় একত্রে।তাতে আমাদের পরিবারের তেলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, সরিষা চাষাবাদে তুলনামূলক খরচ ও পরিশ্রম কম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার ভালো ফলন আসে।আগের বছর তুলনায় আমাগো এই এলাকায় অনেক সরিষা আবাদ হয়েছে।
উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কৃষক মস্তাকিম মিরবহর জানান, সরিষা চাষে বিঘা প্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়। সরিষা ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এ বছর ২২ কাঠা সরিষা লাগিয়েছি। গত বছর ভালো দাম পাওয়া গেছে। আশা করছি এ বছরও ভালো দাম পাওয়া যাবে।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে। বাজারে সরিষার ভালো দাম পাওয়া রয়েছে। নতুন উন্নত জাতের উদ্ভাবনের ফলে ফলন বৃদ্ধি এবং পতিত জমিতে মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে সরিষা চাষের মাধ্যমে লাভজনক হওয়ার কারণে কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা সয়াবিনের চাপ কমাতে কৃষকদের সরিষা চাষের আহবান করেছি।তাছাড়া কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষনও দিয়েছি।গতবারের তুলনায় জেলায় প্রায় ২ হাজার ২ শত ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।আশা করছি তার ন্যায্য মূল্য পাবে।
এমএসএম / এমএসএম

কেশবপুরে সাংবাদিক সোহেল পারভেজ কে সন্ত্রাসী কতৃক হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান

ধামইরহাট পৌরসভার আয়োজনে জলবায়ু কঠিন বর্জ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উন্মুক্ত আলোচনা সভা

মামলা তদন্তকারী শ্রেষ্ঠ অফিসার হলেন এসআই আতাউল মাহমুদ

সিংগাইরে উত্তর বকচরে ডা: জামাল সুপার মার্কেটের যাত্রা শুরু

বড়লেখায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে: বাউবি উপাচার্য

ঘোড়াঘাটে ১৯২৫হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেঃটন

শেকৃবিতে আরও ৯ শিক্ষকের একাডেমিক দায়িত্ব সাময়িক স্থগিত

চিলমারীতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ১০ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক কারবারি গ্রেফতার

রায়গঞ্জে ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধার

মানিকগঞ্জে নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের দেয়ালের মাটি ধসে শ্রমিকের মৃত্যু

রৌমারীতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই, তবুও সরকারি বই বিতরণ
Link Copied