রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে এনটিআরসিএ

এমপিও নীতিমালা জারির আগে এনটিআরসিএ সনদধারী পঁয়ত্রিশোর্ধ প্রার্থীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের আবেদনের সুযোগ ও মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগের নির্দেশনা দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এনটিআরসিএ’র পক্ষ থেকে মঙ্গলবার আপিল করা হয়। তবে আপিলের শুনানি এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। আদালত, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জাামান আসাদ বলেন, হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেই রায়ের বিরুদ্ধে এনটিআরসিএ’র পক্ষ থেকে আপিল করা হয়েছে। তবে আপিলের শুনানি না হওয়ায় আদালতের দেওয়া আগের রায় এখনো বহাল রয়েছে। তবে শুনানি কবে হবে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া শুনানিতে আদালত কী রায় দেবেন সেটিও এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এর আগে, গত বছর ২২ মে এমপিও নীতিমালা জারির আগে এনটিআরসিএ সনদধারী পঁয়ত্রিশোর্ধ প্রার্থীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের আবেদনের সুযোগ ও মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ৮ ডিসেম্বর প্রকাশ পায়।
ওইদিন রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেছিলেন, ২০১৮ সালের আগে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরির কোনো বয়সসীমা নির্ধারিত ছিল না, কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ২০১৮ সালের ১২ জুন জারি করা জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা হয়। নীতিমালার ধারাবাহিকতায় এনটিআরসিএ শুধু ৩৫ অনূর্ধ্ব প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নীতিমালা জারির পূর্বে যারা এনটিআরসিএ কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু ৩৫ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়নি। এ রায়ের ফলে যারা ২০১৮ সালে এমপিও নীতিমালা জারির পূর্বে এনটিআরসি সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের এনটিআরসিএ’র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে আর কোনো বাধা থাকলো না। রায়ে বয়সসীমা নীতিমালা হওয়ার আগেই এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট প্রাপ্তদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের বয়সসীমা আরোপ না করে আবেদন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সাথে আবেদনকারীদের মধ্যে যারা সমন্বিত জাতীয় মেধা তালিকা অনুযায়ী যোগ্য তাদের আইন অনুযায়ী নিয়োগ প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মাঝামাঝি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের পৃথক তিনটি এমপিও নীতিমালা জারি করে সরকার। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামা ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮, বেসরকারি কারিগরি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুসারে, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন না। পাশাপাশি শিক্ষকদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর। একই বছরের ১০ জুলাই হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম থেকে ১৩তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সম্মিলিত একটি জাতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশকারী প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। মেধাতালিকা থেকে ৩১ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু নীতিমালায় শর্তের কারণে অনেকের বয়স ৩৫ বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেকেই নিয়োগের আবেদন করতে পারেননি। বঞ্চিতরা হাইকোর্টে পৃথক তিনটি রিট করেন। এসব রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পৃথক রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। পরে এসব রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি করে গত বছর ২২ মে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছিল।
সুজন / সুজন

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের
