চন্দনাইশে শীতার্তদের পাশে (ইউএনও) নাছরীন আক্তার
সমাজের সচ্ছল মানুষের ঘরে বছর পরিক্রমায় শীত ঋতু হিসাবে আনন্দ ও খুশির বার্তা নিয়ে এলেও দেশের বৃহত্তর জনজীবনে শীত,নৈরাশ্য ও বেদনার ধূসর বার্তাবাহক মাত্র। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবনে শৈত্যপ্রবাহ থেকে বাঁচার জন্য অসহায় দরিদ্র মানুষের প্রয়োজন অনেক শীতবস্ত্রের। এই শীতবস্ত্র নিয়ে চন্দনাইশের বিভিন্ন ইউনিয়ন,হাশিমপুর গুচ্ছ,বৈলতলী গুচ্ছ গ্রাম,কাঞ্চননগর গুচ্ছ গ্রামের গরীব,অসহায় মানুষের পাশে রাতের অন্ধকারে ছুটে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাছরীন আক্তার। এসময় সাথে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জিমরান মোহাম্মদ সায়েক,হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ বিন ইছাহাক,কাঞ্চননগর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল শুক্কুর। জানা যায় চন্দনাইশ উপজেলায় যে সকল এলাকায় শীতবস্ত্র ও গরম কাপড়ের অভাবে যে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে শীতার্ত ব্যক্তিদের দিন কাটছে সে সকল এলাকায় ছুটে চলছেন ইউএনও নাছরীন আক্তার। কম্বল বিতরণের সময় তিনি বলেন,যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাদের দুরবস্থা যে সর্বাধিক, সে কথা বলাইবাহুল্য। বিত্তবান মানুষ শীতবস্ত্র ব্যবহার করে পরিত্রাণ পেলেও দরিদ্র লোকেরা শীতবস্ত্রের অভাবে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। হাড় কাঁপানো শীতে যে সকল মানুষ দুঃখ-কষ্টে-অনাহারে ও অর্ধাহারে দিন যাপন করছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো ধর্মপ্রাণ মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন,ক্রয়ক্ষমতার বাইরে শীতার্ত ব্যক্তিরা না পারে পেট ভরে খাবার খেতে,না পারে কোনো অসুখ হলে চিকিৎসা করাতে। রাতের বেলায় দেখা যায় কীভাবে,কেমন করে শীতবস্ত্রবিহীন মানুষ কষ্টে রাত যাপন করছে। তাদের নেই কোনো শীত নিবারণ করার সম্বল। তাই সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিরা যদি ইচ্ছা করেন,তাদের নিজ নিজ উপজেলায় শীতার্ত অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পারেন।
এমএসএম / এমএসএম