ঢাকা বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

ইতিহাসের সাক্ষি হাটহাজারী পুরোনো বিমান বন্দর


সুমন পল­ব,  হাটহাজারী photo সুমন পল­ব, হাটহাজারী
প্রকাশিত: ২৩-১-২০২৩ দুপুর ১:৫১

চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসদর এলাকা থেকে হাসপাতাল সড়ক ও মিরেরহাটের পশ্চিমে সড়ক দিয়ে বিমানবন্দরে যাতায়াত করা যায়। প্রতিষ্ঠার পর শুধু মিরেরহাটের সড়কই বিমানবন্দরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা ছিল। নাজিরহাট শাখা লাইনের ট্রেনে করে হাটহাজারী এবং চারিয়া রেলস্টেশনে নেমে হেঁটেও বিমানবন্দরে যাতায়াত করা যেত। স্বাধীনতার পর হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হলে সেদিকে একটি সড়ক নির্মাণ করা হয়। ১৯৪৩ সালে জাপান ব্রিটিশ যুদ্ধ শুরু হলে মানুষের মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দেয়।

লোকশ্রুতি অনুযায়ী, সেসময় হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান উপজেলাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থান থেকে অসংখ্য লোক বিমানবন্দরে নির্মাণকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। সেখানে কাজ করে পরিবার পরিজনের খাদ্য সংকট দূর করার কথা লোকমুখে প্রচারিত হত। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হলে বিমানবন্দরটি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে। সেইসাথে সেখানকার নির্মিত স্থাপনাগুলো অযতে অবহেলায় পড়ে থাকে। এদিকে, বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণ জমিও ক্রমে ক্রমে বেহাত হতে থাকে। নির্মিত দৃষ্টি নন্দন স্থাপনাগুলো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে শুরু করে। বর্তমানে রানওয়ের জন্য নির্মিত সড়কের কিছু অংশ দৃশ্যমান থাকলেও প্রশাসনিক ভবন ও সিগন্যাল ওয়ারের ঘরটি আগাছায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। দেওয়ালে শেওলা জমে গেছে, খসে গেছে পলেস্তারা। এমনকি দেওয়ালের অনেক স্থানের ইট খসে পড়ে গেছে।

তা ছাড়া বিশাল জায়গা নিয়ে ১৯৯৫ সালে ওই এলাকায় জেলা দুগ্ধ খামার এবং ২০০৬ সালে জেলা ছাগল খামার প্রতিষ্ঠা করা হয়। দুগ্ধ ও ছাগল খামারের পাশে গুচ্ছ গ্রাম, আদর্শ গ্রাম, আশ্রয়ন প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়ের পাশে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা শ্মশান, কালিবাড়ি ও পূজা মন্ডপ।

অনেকে মনে করেন, পাহাড় ও সমতলের অপূর্ব সমন্বয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এলাকাটি আর্কর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে হিসেবে গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি জেলা দুগ্ধ খামার এর পাশে চট্টগ্রামের ভেটেনারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম বেইস ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। তা ছাড়া এখানে কৃষি ইনস্টিটিউট, হর্টিকালচার সেন্টার ও বিমানবন্দরের আশপাশে রয়েছে। পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের জায়গা উদ্ধার করে এখানে পর্যটন কেন্দ্র করা হলে প্রতি বছর সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে পারে। বয়োজ্যেষ্ঠরা এলাকাকে এখানো জাপান-ব্রিটিশ লড়াইয়ের বিমানবন্দর বলে আখ্যায়িত করেন। স্থানীয় জনসাধারণ মনে করেন যে উক্ত এলাকায় শিশুদের মনোভাব বিকাশের জন্য একটি মিনি শিশু পার্ক ও গড়ে উঠতে পারে। এতে করে সরকারও ব্যাপক লাভবান হবে বলে মনে করছেন তারা।

এমএসএম / এমএসএম

পাঁচবিবিতে নবাগত ইউএনও সেলিম আহমেদের যোগদান

দীর্ঘদিন অবহেলার পর রায়গঞ্জে ধর্ষণকাণ্ডের আসামি গ্রেপ্তার

রাণীশংকৈলে কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ

কুমিল্লা-৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী আবুল কালামের নির্বাচনি গণসংযোগ শুরু

জুলাই বিপ্লবের মুখ্য বিষয় ছিল বৈষম্যের বিরোধ, পূর্বধলায় গণসমাবেশে মামুনুল হক

বেড়া'য় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ড।

রায়পুর ভূমি অফিসগুলোতে ঘুষ ছাড়া সেবা মিলছেনা সেবা

৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা

চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের স্মার্ট সিটি গড়ার স্বপ্ন ডা. শাহাদাতের

রাজশাহী-১ আসনে মনোনীত শরিফ, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস!

আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকাদের বিদায়ী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে দুর্বৃত্তের হামায় নিহত গরু ব্যবসায়ী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত