তীব্র যানজটে আটকা ঘরমুখী মানুষের ঈদের স্বপ্ন

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজটে আটকে আছে ঈদে ঘরমুখী মানুষের স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারুটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজটে আটকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় যানজটে আটকে পড়া মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। কিন্তু কয়েক দিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করছে। গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৪২৩টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করায় গভীর রাত থেকেই যানজট শুরু হতে থাকে। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে (সিরাজগঞ্জের দিকে) যানজট শুরু হয়। পরে ওই জট দীর্ঘ হতে হতে সেতু অতিক্রম করে পূর্ব প্রান্তে (টাঙ্গাইলের দিকে) চলে আসে। সকাল পর্যন্ত ওই জট সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারুটিয়া পর্যন্ত চলে আসে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজটের মধ্যে বৃষ্টি ঘরমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দেয়। সকালে মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৩৩ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে উত্তরবঙ্গগামী লেন যানবাহনে পূর্ণ হয়ে রয়েছে। এক জায়গায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটু একটু করে এগোতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার তারুটিয়া এলাকায় এক ট্রাকচালক আলী জানান, তিনি আধাঘণ্টার বেশি এক স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ৪০ মিনিট সময় লেগেছে।
বাস, মিনিবাস, ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপভ্যানে নিম্নআয়ের ও শ্রমজীবী মানুষকে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। সকালে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তাদের দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
গাজীপুর থেকে বগুড়াগামী ট্রাকের যাত্রী সোবহান শেখ জানান, তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। কম ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছার জন্য ট্রাকে উঠেছেন। এখন যানজট ও বৃষ্টিতে খুব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মহাসড়কের সদর উপজেলার রসুলপুর, রাবনা, কালিহাতী উপজেলার পৌলী ও এলেঙ্গা এলাকায় যানজটে আটকে পড়া যাত্রীদের, বিশেষ করে নারী যাত্রীদের দুর্ভোগ বেশি ছিল। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তাদের মহাসড়কের আশপাশের বাড়িঘরে যেতে দেখা যায়।
এলেঙ্গা সিএনজি স্টেশনে কথা হয় ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী মাইক্রোবাসের যাত্রী রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিবার ঈদে ঘরে ফিরতে তাদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। টাঙ্গাইল বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে সময় লেগেছে দুই ঘণ্টারও বেশি।
একই স্থানে বগুড়াগামী বাসের যাত্রী রশীদ বলেন, এই যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। এ কারণে ঈদের আনন্দই মাটি হয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, যানজট নিরসনে জেলা পুলিশের ছয় শতাধিক এবং হাইওয়ে পুলিশের দুই শতাধিক সদস্য মাঠে রয়েছেন।
এমএসএম / জামান

রাণীশংকৈলে ৩ ইটভাটার মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

গণতন্ত্রের অর্ডার ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন শক্তিশালী গণমাধ্যম : আমির খসরু

নওগাঁয় অবৈধ ইট ভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দিল প্রশাসন

নবীনগরে ১১ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

গাজীপুরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করে আলোচনায় দুই বন্ধু, কেজি ২৫০ টাকা

নেত্রকোনা দুর্গাপুরে খামারের পাহাড়াদারকে হত্যা করে গরু লুট, যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

জামালপুরে আইনজীবী ও শিক্ষার্থীদের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি

অটোরিকশা চোর চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

তানোরে দাদন ব্যবসায়ীর লাঞ্ছনা সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা

ধামইরহাটে ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মনিরা'কে ছাত্রদলের সম্মাননা প্রদান

পটুয়াখালীতে যাকাতের চেক বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ
Link Copied