খুলনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাটি গিলে খাচ্ছে ইট ভাটাগুলো

খুলনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাটি গিলে খাচ্ছে ইট ভাটাগুলো। কেউ ট্রাকে, কেউ শ্রমিক দিয়ে ,কেউবা ভ্যেকুতে পাউবো’র মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মাটি নিয়ে হচ্ছে লুটতরাজ। দেখার কেউ নেই। সরেজমিন যেয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বয়ারসিং সালতা নদীর পাশে গড়ে উঠেছে রঞ্জন সরদারের ভাই ভাই ব্রিক্সস। এ নদী থেকে রাত-দিন মাটি কেটে ট্রাকে করে ইট ভাটায় মাটি নেয়া হচ্ছে। নদীর মাটির স্তুপ বড় হতে হতে বিশাল টিলায় পরিনত হচ্ছে। ভাটাটির আশ-পাশে বিশাল আকৃতির গর্ত। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের চোখে এসব পড়ছে না। তারা খুজঁতে যেয়ে কিছুই পাচ্ছে না। তেলিখালী গ্রামে ষোলমারী নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে খুলনাস্থ এসকেএস ইট ভাটা। বর্তমানে এ ভাটার মালিক খুলনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াদুল হাসান টিটো। এই ভাটার সাথে ওয়াপদার রাস্তা ও নদীর মাঝখানে প্রায় কমপক্ষে ১০ একর পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বিশাল দিঘি কেটে সমুদয় মাটি ইট ভাটায় নেয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এ দিঘি খনন করে মাটি লুটপাট করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরে আসেনি। শুধু ভাই ভাই বা এসকেএস ইট ভাটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গার মাটি কেটে সাবাড় করছে না। খুলনার কমপক্ষে ৩০ টি ভাটায় এভাবে মাটি নিচ্ছে। অনেক ভাটা কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন সকালেই শ’শ শ্রমিক দিয়ে পাউবো’র জায়গার মাটি কাটছে। আবার কেউবা ভ্যেকু দিয়ে নদীর মাটি কেটে নিচ্ছে। জামাল হাওলাদার একজন মাটির ব্যবসায়ী। তিনি কৈয়া বাজারের অদুরে ষোলমারী খেয়াঘাট সংলগ্ন নদীর চর কেটে আলহাজ্ব ফজলুর রহমানের মালিকানাধিন এসবি ভাটায় মাটি দিচ্ছে। সরেজমিন যেয়ে দেখা যায় দুটো ভ্যেকু দিয়ে তিনি মাটি কেটে ট্রাকে করে মাটি বহন করছেন। মজার ব্যাপার সকলেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গার মাটি কেটে সাবার করছেন। জামাল হাওলাদার বলেন, মাটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি থেকে কাটা হচ্ছে। এসবি ভাটার ম্যানেজার বলেন, আমরা মাঝে মাঝে জামালের কাছ থেকে মাটি কিনি। তবে কোথা থেকে মাটি আসছে সে সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। তেলিখালীতে এসকেএস ভাটার বর্তমান মালিক জিয়াদুল হাসান টিটো বলেন, দিঘি’র মত মাটি কেটে নেওয়া জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন। একপাশে নদী ও অন্যপাশে ওয়াপদার রাস্তার মাঝে কিভাবে ব্যক্তিমালিনাধীন জায়গা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি তেমন কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। ভাই ভাই ভাটার মালিক বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। তাঁর ম্যানেজার বলেন, কিভাবে মাটি পাউবো’র জায়গা থেকে নেওয়া হচ্ছে সেটি তার জানা নেই। এদিকে একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পাউবো কর্তৃপক্ষের সাথে গোপন চুক্তিতে অধিকাংশ ভাটা নদী থেকে এবং পাউবো’র জায়গা থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসেম আলী বলেন, পাউবো’র কোন জায়গা থেকে মাটি কাটা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেককে নোটিশ করা হয়েছে। দিঘি টাকা হয়েছে এবং দেদারছে মাটি কাটছে ভাটা মালিকেরা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু দিন ট্রেনিং এ ছিলাম যে কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান গতানুগতিক উত্তর দেন প্রভাবশালীদের কারণে অনেক ব্যাপারে জানা থাকলেও ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।
এমএসএম / এমএসএম

৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ জন্ম হবে না: শওকত হোসেন সরকার

পাটগ্রামে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন

টাঙ্গাইলে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম কালভীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

বাউফলে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে বাজারের ইজারা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সন্ত্রাসী হামলায় ৫ পুলিশসহ আহত ৬, গ্রেপ্তার ৩

নওগাঁয় মামলা তদন্তে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

টিএইচই র্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

আনোয়ারায় মোবাইল কোর্ট অভিযান,তিন মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইন ও সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন

রাজশাহী সড়ক-জনপথে কর্মচারীদের জনসংযোগ
