তালায় কদর বেড়েছে পোঁকার

সম্প্রতি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় রোড শিরিস গাছের ডাল ভাঙার হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিন নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের গাছে উঠে ডাল ভাঙতে দেখা যাচ্ছে।এই গাছের এক ধরনের পোঁকাকে ছাতরা পোঁকা হিসেবে অভিহিত করার বিষয়টি জানা গেছে। যে পোঁকার আক্রমণে শিশু গাছ মরে যায় দাবি করে একটি চক্র এই ডাল সংগ্রহ করছে। পরে তা ২শত ৫০ থেকে ৩ শত টাকা কেজি দরে বিক্রি করার ঘটনা এখন নিত্যদিনের ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায,একশ্রেণীর প্রতারক চক্রের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে খেঁটে খাওয়া মানুষেরা অল্প সময়ে বেশি মুনাফার আশায় ।প্রতিদিন সকাল হলেই একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত বেরিয়ে পড়ছে। বর্তমানে এই এলাকায় ব্যাপক কদর বেঁড়ে যাওয়া রোড শিরিস গাছের কথিত এই ভাইরাস পোঁকার সন্ধানে। যা শ্রমজীবী মানুষের এখন অনিশ্চিত উপার্জনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। তবে লাভবান হচ্ছেন কিছু প্রতারক চক্র। যা হাত বদলের মাধ্যমে প্রতি কেজি পোঁকা ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি অধিক মূল্যে পাচার করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এর মূল ক্রেতা কারা আর কেনই বা কিনছে তারা বিকৃত আকৃতির এই পোঁকা ? এবিষয়ে স্থানীয়দের কৌতূহল থাকলেও রীতিমত চাহিদার ভীঁড়ে চাপা পড়ে রয়েছে নানান প্রশ্ন। এবিষয়ে লাক্ষা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা,মোঃ মোখলেছুর রহমান মুঠোফোনে জানান, রোড শিরিস গাছের যে পোঁকাকে ছাতরা পোকা হিসেবে বলা হচ্ছে সেটা আসলে ছাতরা পোঁকা না। এই পোকাকে লাক্ষা বলে। যেটার চাষাবাদ বাংলাদেশে হয়ে থাকে। আর এই পোঁকার আক্রমণে কোন গাছ মারা যায়না বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। লবণাক্ত পানি থেকে জাহাজের তলদেশ রক্ষা বা লবণাক্ততায় নষ্ট হওয়া লৌহ ঠিক করার কাজে, অস্ত্র ও রেল কারখানার কাজে, কাঠের আসবাবপত্র ও পিতল বার্নিশ করা, স্বর্ণালংকারের ফাঁপা অংশ পূরণ, ঔষধের ক্যাপসুলের কোটিং, চকলেট ও চুইংগামের কোটিং, ডাকঘরের চিঠি বা পার্সেল সিল মোহর, পুতুল, খেলনা, টিস্যু পেপার তৈরি সহ অন্যান্য কাজে লাক্ষা পোঁকার আঠা ব্যবহার হয়ে থাকে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবাংলা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও আসাম প্রদেশেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাক্ষা উৎপাদন হয়। তবে এই পোকা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, বগুড়া, ও ফেনি জেলায় পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পোকা ব্যবসায়ী জানান। এবিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্টি ও উড টেকনোলজি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান দৈনিক সকালের সময়কে জানান, খুলনা সাতক্ষীরার কয়েকটি উপজেলায় রেইনট্রি গাছের উপর গবেষণা করে এবং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে জানা গেছে । ডাইব্যাগ বা আগামরা রোগ থেকে গাছের ডাল মারা যাচ্ছে এমনকি গাছও মারা যাচ্ছে। এই সমস্যা খুলনা সহ সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রথম দেখা দেয় ২০১৬-১৭ সালে। পানিতে লবণ বেশি থাকায় বা গাছের নিচে পানি জমে থাকায় এই রোগ দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, আম, বরই, বাবলা ও কড়ই গাছে সাধারণত লাক্ষা দেখা যায়। লাক্ষা সম্পর্কে জন সচেতনতার অভাবে কৃষকরা গাছে নানাবিধ কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। ফলে লাক্ষা তাদের আবাস স্থল হারাচ্ছে। আর একারনে হয়তোবা এ পোকাটি রোড শিরিস গাছে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্পজাত পণ্য লাক্ষা পোকার চাষ সম্প্রসারণের বিরাট সুযোগ রয়েছে বলে তিনি এমনটি জানিয়েছেন।
এমএসএম / এমএসএম

হাইস্পিড গ্রুপ অফ কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান

বোদায় মহিলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল বিতরণ

হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য কবর জেয়ারত ও পরিচালক'র সাথে সৌজন্য সাক্ষাত

ভবদাহ অঞ্চলে পানিবন্দি শত শত পরিবার

বারহাট্টার প্রকৃতিতে ফুটন্ত শাপলা যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে

কুড়িগ্রামে দূর্গম চরাঞ্চলের দরিদ্র মহিলাদের মাঝে সেলাই/হস্তশিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষনের উদ্বোধন

মানিকগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী মুন্নুর মৃত্যুবার্ষিকীতে চিকিৎসা সেবা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

বিয়ে হয়নি তবুও নিচ্ছেন মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা

মির্জাগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলায় রাসেল মৃধা গ্রেপ্তার

কর্ণফুলী পেপার মিলসের তামার তার পাচারের সময় ১ জন গ্রেফতার

নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগ নেতা বিস্ফোরক মামলার আসামি ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার

তানোরে বিএনপির স্থবিরতা কাটাতে মিজানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের!

মেহেরপুর জেলা বিএনপি'র উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
Link Copied