ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

উলিপুরে খাদ্য গুদামে আমন মৌসুমে এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি


আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর photo আবুল কালাম আজাদ, উলিপুর
প্রকাশিত: ৪-৩-২০২৩ বিকাল ৫:৮
কুড়িগ্রামের উলিপুরে আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর দুই মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বাজারে ধানের ধাম বেশি হওয়ায় গুদামে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা। 
খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছ, উপজেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩শ ৪৪ মেঃ টন। একজন কৃষক প্রতিকেজি ধান ২৮ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবেন। নিয়ম অনুযায়ী কৃষকেরা অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদনও করেছেন। লটারীর মাধ্যমে কৃষকদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের মোবাইলে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে ধান ক্রয়ের বিষয়টি জানানো হয়। গত ১৭ নভেম্বর ধান ক্রয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়, যার মেয়াদ শেষ হয় ২৮ ফেব্রুয়ারী। এরপর আরো ৭দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রয়ের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। 
কৃষকদের অভিযোগ, আগের বছরগুলোয় ধানের সরকারি দর বাজারের চেয়ে বেশি থাকায় প্রকৃত কৃষকরা সুযোগ পাননি। ফলে এবার অনেকে খোঁজ রাখেননি। যাঁরা গুদামে ধান বিক্রি করেছেন, তাঁদের রয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতা। পদে পদে বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে। 
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৌসুমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২৪ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছিল। ফলনও ভালো হয়েছে। মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২শ হেক্টর জমিতে ধান বেশি চাষ করা হয়েছে। 
পৌরসভার কৃষক আলম মিয়া জানান, ২শ শতক জমিতে ধানের আবাদ করেন তিনি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশ ধান বিক্রি করেন। আগে দু-একবার খাদ্যগুদামে ধান বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। তবে কর্মকর্তাদের অসহযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। থেতরাই ইউনিয়নের কৃষক আশরাফ আলী খন্দকার ও মোজাফফর রহমান অভিযোগ করে বলেন, অন্যান্য বছরে গুদামে কৃষকের নাম ব্যবহার করে কমিশনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে বেশি আগ্রহী ছিল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ মৌসুমে বাজার মূল্যে বেশি থাকায় গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ নেই কারো। 
ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মহসিন আলী (অতিরক্তি দায়িত্ব) দাবি করেন, সরকার নির্ধারত মুল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি থাকায় কৃষকরা গুদামে ধান দিচ্ছেন না। কৃষকরা ধান না দিলেও আমরা চাল ক্রয় করে চাহিদা পূরন করতে পারবো। তবে তিনি কৃষকদের হয়রানী ও কমিশনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। 
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিসবাহুল হুসাইন বলেন, সরকারের মূল্য উদ্দেশ্য কৃষকরা যেনো ধানের ন্যায্য মূল্য পায়। বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ নেই। তবে এতে তেমন কোন ক্ষতি হবে না।

এমএসএম / এমএসএম

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভবন থাকলেও পর্যাপ্ত জনবল নেই,ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা

নবীনগরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম. এ. মান্নানের নির্বাচনী জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত

কুমিল্লায় ইমাম–খতীব সম্মেলন রোববার,প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা

নন্দীগ্রামে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রতিহতের আহ্বান সাংবাদিকদের

লাকসামে জামায়াত প্রার্থী সরওয়ারের বিশাল হোন্ডা র‌্যালী

মনপুরায় সফরকালে সুধীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক

দুমকীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি-নেত্রকোনায়-জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ

ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেপ্তার

বাস-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ৪

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিকিৎসাধীন সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু

কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, এমডি রাব্বিক হাসানের বিরুদ্ধে শ্রমিক নেতাদের সরব অভিযোগ