উলিপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সুজন মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের দাড়ার পাড় নামক এলাকায়। এ ঘটনায় নিহত যুবকের পিতা বাদী হয়ে বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে আটক করেন। এদিকে হত্যাকান্ডের বিচার ও খুনীদের ফাঁসির দাবীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত সুজনের এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন পৌর শহরে।
নিহতের স্বজন ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ মিয়াজীপাড়া গ্রামের ফয়জার রহমানের ছেলে সুজন মিয়ার সাথে ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের দাড়ারপাড় এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে হাবিবা বেগমের সাথে (২৩) এক বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিয়ের প্রায় আট মাস পর হাবিবা বেগম পরীক্ষা দেয়ার কথা বলে পিতার বাড়িতে চলে আসেন। এসময় স্বামী সুজন ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে যান। গত ৬ মার্চ সুজন ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরলে দাড়ারপারস্থ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ডেকে নেন। এরপর দুইদিন তাকে আটকিয়ে রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্মম ভাবে নির্যাতন করেন। এ ঘটনা সুজনের পরিবারের লোকজন জানতে পেরে ৭ মার্চ তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশি সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় সুজন মিয়া মুমূর্ষু অবস্থায় থাকায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জরুরী বিভাগের কতর্ব্যরত চিকিৎসক ফারিহা হাসান সুজনের অবস্থা সংকটনাপূর্ণ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ মার্চ) সুজন মিয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফয়জার রহমান বাদী হয়ে বুধবার রাতেই নামীয় ৮জন ও অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আবু হাসান মামুদ (১৯) নামের একজনকে আটক করেন। তিনি দাড়ারপাড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
প্রাথমিক ভাবে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত সুজন ও তার স্ত্রী হাবিবা বেগমের মধ্যে একাধিকবার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় সুজন তার স্ত্রীর কুরুচিসম্পূর্ণ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল। এ কারনে সুজনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিষাদ চন্দ্র রায় বলেন, ওই দিন সুজন মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এদিকে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে উমানন্দ থেকে নিহত সুজনের এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন পৌর শহরে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নিহতের ভাই সোহেল রানা, এলাকাবাসী আব্দুর রউফ টিপু, বিশ্বজিৎ কুমার সিংহ বাপ্পা প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুজন মুমূর্র্ষু অবস্থায় থাকলেও গত সাত দিন ক্ষমতাসীন একটি মহলের চাপে উলিপুর থানা মামলা নিতে গড়িমসি করেন। পরে তিনি যখন মারা যান তখন তারা নিহতের পরিবারকে ডেকে মামলা নেন। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, নিহতের পিতা থানায় অভিযোগ করলে মামলা নেয়া হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহতের পরিবার চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় সঠিক অভিভাবক অভিযোগ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে দাড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত হেলপার

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কুষ্টিয়ায় মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত

রায়পুরে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদে ধীরগতি

জমির জন্য বৃদ্ধ দম্পতিকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

শ্রীপুর পৌর শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আত্রাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানকে সংসদীয় ৫ আসনে উপহার দিতে মীর হেলাল উদ্দিনের বিকল্প নাই -গিয়াস উদ্দীন

১৪৫ কোটি টাকার ফেরিঘাটে নেই ফেরি, সরকারের নতুন চিন্তা

জলবায়ু পরিবর্তনের ছোবল: স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সন্দ্বীপে কর্মশালা
