৬৪ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক পদে তৃণমূলে আলোচনার শীর্ষে আসফাকুর রহমান (ভুট্ট)

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ.আওয়ামী লীগের ডেমরা থানার সম্মেলন ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এবারের সম্মেলনে তৃণমূল তাদের পছন্দের নেতা হিসেবে ৬৪ নং ওয়ার্ডে আসফাকুর রহমান( ভুট্ট )কে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করতে তৃণমূলের ব্যাপক তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেছে।গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার ডেমরা কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃত্ব নির্ধারনে অনুষ্ঠিত হয় ডেমরা থানা ৬৪ নং ওয়ার্ড সহ ছয়টি ওয়ার্ডের সম্মেলন। সর্ব শীর্ষ আসফাকুর রহমান( ভুট্ট) ইস্যু কে ঘিরে আলোচনা এখন তুঙ্গে কারণ তিনি ২০০১সাল হতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় নেতা হিসেবে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

আওয়ামীলীগ নেতা সমাজ সেবক আসফাকুর রহমান (ভুট্ট) কে এবারের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখতে চায় তৃনমুলের নেতাকর্মীরা।পাড়া ডগার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ম্যানেজিং কমিটির (সাবেক) সভাপতি ও মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (সাবেক) মেম্বার, পাড়াডগার দরবার শরীফ রোড এলাকার বৃহত্তম ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ও সবুজবাগ কৃষক লীগের (সাবেক) সাধারণ সম্পাদক সালাম উল্লাহ খানের পুত্র মোঃ আসফাকুর রহমান (ভুট্ট)।

একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাতুয়াইল ইউনিয়নে তিনি ৯০০ ভোটের ব্যবধানে মেম্বার নির্বাচিত হন। এবং ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। নবগঠিত ৬৪ নং ওয়ার্ড ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রথম নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অংশ গ্রহণ করে ১২০০ এর অধিক ভোট পান। তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের ডেমরা থানার (সাবেক) সভাপতি হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।ডেমরা থানার ৬৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আসফাকুর রহমান (ভুট্ট)কে পেতে চায় দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী।তিনি দলের এবং নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন প্রিয়মুখ হিসেবে পরিচিত।

আসফাকুর রহমান (ভুট্ট) দৈনিক সকালের সময় কে বলেন,(২০০১-২০০৬ইং) সাল পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত হরতাল অবরোধ সহ সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করি, সেই সময়ে জোট সরকার আমার বিরুদ্ধে ছয়টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দেয় এবং আমার পিতা সালাম উল্লাহ খানকে সেই সময়ে বিএনপি দলীয় এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ  বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্থ ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে কোনাপাড়া মান্নান উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে চাকরি ছেড়ে যেতে বাধ্য করে।১/১১ পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি‌।

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় নেত্রীর উপর হামলা হয়েছিল সেই সময়  আমি উপস্থিত ছিলাম এবং অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই।২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে বাধা গ্রস্থ করার জন্য সারাদেশে বিএনপি জামায়াতের তাণ্ডব নৈরাজ্য হামলা করে তা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য সব সময় রাজপথে ছিলাম।২০১৫ সালে ৫ই জানুয়ারি বিএনপি'র গণতন্ত্র হত্যা দিবস নাম দিয়ে যে নৈরাজ্য তাণ্ডব অগ্নিসংযোগ গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ সারাদেশকে অচল করার জন্য নিরীহ কয়েক শতাধিক সাধারণ যাত্রীদের গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল এবং প্রায় ৯২ দিন হরতাল অবরোধে নাশকতা  করেছিল তার প্রতিবাদে আমি আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত রাজপথে ছিলাম।

২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সহ ২০১৯ এর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও সদ্য সমাপ্ত ঢাকা ৫ আসনের উপনির্বাচনে বর্তমান ৬৪ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলাম। তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকার উন্নয়নের রোল মডেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই কাতারে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমাকে যে কোন দায়িত্ব অর্পণ করলে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করার অঙ্গীকার করছি।

তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। খোঁজ রক্তদান সংস্থায় একজন সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ৬৪ নং ওয়ার্ড উন্নয়ন সালিশ কমিটিতে তিনি  ১নং সদস্য সচিব হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা ৫ আসনের গত উপ নির্বাচনে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ৬৪ নং ওয়ার্ড মান্নান হাই স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । এছারাও তিনি পাড়াডগার সমাজ কল্যাণ ও মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সবদিক বিবেচনায় মোঃ আসফাকুর রহমান (ভুট্ট) কে  ডেমরা থানার ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের বেশ তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। তাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ ফেসবুকেও সরব রয়েছে নেতা কর্মীরা। সম্মেলনে এ ওয়ার্ডের বেশির ভাগ নেতাকর্মীই আসফাকুর রহমান (ভুট্টু)কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়।৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আসফাকুর রহমান (ভুট্ট)  জানান,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করবো।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও রুপকল্প ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করবো আমৃত্যু।

দলের দূঃসময়ে নেতা কর্মীদের পাশে ছিলাম। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার সময় উপস্থিত ছিলাম এবং গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের সেবায় স্বেচ্ছাসেবক এর ভূমিকা পালন করেছি।ঐতিহাসিক ১/১১ লগি বৈঠা আন্দোলন কর্মসূচিতে তৎকালীন বৃহত্তর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শ্বশরীরে অংশগ্রহণ করি এবং পুলিশের নির্যাতনের স্বীকার হই।১৯৯৬,২০০১,২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলেও জানান তিনি।

গত করোনা মহামারীর সময়ে ৬৪নং ওয়ার্ডের  ঘরে ঘরে ত্রান বিতরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজে সর্বদা নিয়োজিত ছিলেন বলে জানান। ঢাকা- ৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী মনিরুল ইসলাম (মনু)দৈনিক সকালের সময় কে জানান, আসরাফুর রহমান একজন আওয়ামী লীগ কর্মী তিনি আওয়ামী লীগ করেন, এটাই তার আসল পরিচয়।

৬৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক,পাড়াডগাইর মান্নান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকর্ম বিভাগের এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি এসএম সোহেল 

 বলেন, আসফাকুর রহমান (ভুট্ট) একজন কর্মী বান্ধব নেতা, দক্ষ সংগঠক, আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ একজন মাঠ পর্যায়ের কর্মী, তার মতো লোক ৬৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে। তার মত কর্মী বান্ধব লোক এলাকায় বিরল।

৬৪নং ওয়ার্ডের কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে  কথা বলে জানা গেছে,দলের দুঃসময়ে যখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখন আমরা নির্যাতিত নেতাকর্মীরা আসফাকুর রহমান (ভুট্ট) র  কাছে আশ্রয় পেয়েছিলাম। তিনি আমাদের অভিভাবক হিসেবে আশ্রয় দিয়ে আঁকড়ে ধরে দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছিলেন।

তারা আরো জানান, আসফাকুর রহমান (ভুট্ট) বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক,জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী,স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মীবান্ধব নেতা তাকে এবারের  সম্মেলনে ডেমরা থানার ৬৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক করা হলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের দুর্গ আরও শক্তিশালী হবে।