সাটুরিয়ায় ধলেশ্বরী নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় দিনে দুপুরে লুট হচ্ছে ধলেশ্বরী নদীর বালু। এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি,স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের সাথে সমন্বয় করে মাস ধরে রাতে ও দিনে এভাবেই লুট করে নিয়ে যাচ্ছে এই নদীর বালু।
এভাবে প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি অবৈধ ট্রাক্টর ট্রলি দিয়ে অবাধে লুট হচ্ছে এই নদীর বালু। এদিকে অবৈধ ট্রলির কারণে নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের রাস্তাঘাটসহ কৃষি জমি। এদের কারণে বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা। এই বালুবাহী যানবাহনের কারণে দিঘলীয়া ইউনিয়নের প্রায় ২০ কিলোমিটার গ্রামীণ পাকা সড়ক, ৩০ কিলোমিটার আধা পাকা ও কাঁচা সড়ক এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর অভিযোগ,অবৈধ ট্রলির কারণে তাদের চলাচলের রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধুলাবালির কারনে তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। এমন কি তাদের বাড়ির খাবার-দাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ধুলাবালিতে শ্বাসকষ্টসহ নানা রুগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। তাদের অভিযোগ, এবিষয়ে স্থানীয় প্রতিনিধিসহ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাননি তারা। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোকজন আসে, কিন্তু এসে কি বলে সেটা জানিনা। তবে তারা চলে যাওয়ার পর পুনরায় আগের মতই বালু উত্তোলনের কাজ অব্যাহত থাকে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের
তবে প্রশাসনের দাবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু অভিযানে গেলে কাউকে তারা ঘটনাস্থলে পান না। হয়তো অভিযানে যাওয়ার পূর্বেই তারা কোনভাবে জানতে পারে এবং সেখান থেকে সটকে পড়েন। তবে বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে যায়, উপজেলার দিঘলীয়া ইউনিয়নের জালশুকা এবং বরাইদ ইউনিয়নের গোপালপুর, হামজা গ্রামের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে ধলেশ্বরী নদীর বালু লুট চলছে। ২০-২৫ ট্রাক্টর ট্রলি দিয়ে চলছে বালু উত্তোলনের কাজ। মাসখানেক এভাবে নদী থেকে বালু লুট করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। বালু উত্তোলনের মাধ্যমে চক্রটি অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে জড়িত হিসেবে বর্তমান ইউপি সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় নামধারী কিছু নেতার নাম জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এরা এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা সম্ভব নয়।
বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য থানা পুলিশ ও ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়েছে। জানিনা কোন অভিযান হয়েছে কিনা, হলে তো বালু লুট বন্ধ হতো। আমি প্রশাসনের নিকট অনুরোধ কবর, দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে যেন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল করিম বলেন, অবৈধ ভাবে বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ট্রলির কারনে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ট্রাক্টরের চাকার চাপে পৃষ্ট হয়ে উঠে যাচ্ছে রাস্তার কার্পেট। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে সড়ক ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের জোড় দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আরা জানান, নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে
ইতোমধ্যে কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে গেলে তাদেরকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় না। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে এদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এদেরকে জেলা পাঠানোর মাধ্যমেও যদি বালু উত্তোলন বন্ধ করা যায়,সেটাই করা হবে বলে আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।
এমএসএম / এমএসএম

সুবর্ণচরে মাদক বিরোধী শপথ অনুষ্ঠিত

তানোরে সড়ক ও জনপথের কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম?

মাগুরায় রেলওয়ে প্রকল্পে পরিদর্শন করলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম

নেত্রকোণায় মহাকবি সৈয়দ আলাওলের জীবন ও সাহিত্য কর্মের উপর মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

জাকসু নির্বাচন : দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু

কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া নুরুল কবির বাঁচার জন্য আশংকা প্রকাশ করে থানায় অভিযোগও করেছিল

বালু খেকোরা যত বড় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে নাঃ ইউএনও তরিকুল ইসলাম

বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
