নওয়াপাড়া বাজারের পান বিক্রেতা হালিম শেখ বাঁচতে চায়
মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য-একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা ও বন্ধু -নওয়াপাড়া বাজারের পান ব্যবসায়ী হালিম শেখ( ৭০)চিকিৎসার অভাবে মুমুর্স অবস্থায় রেল বস্তির খুপরি ঘরে পড়ে আছে। ৪/৫বছর ধরে অসুস্থ থাকায় এখন হাঁটাচলা ওকরতে পারে না সে।খোজ নিয়ে জানাগেছে হালিম শেখ ১০/১২ বছর ধরে নওয়াপাড়া বাজারের গ্রীন জেনারেল ষ্টোরের পাশে চারাপট্টির সামনে পান,সিগারেট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো,হঠাৎ করে শরীরে অসুস্থতা দেখা দিলে বাড়িতে বসে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে থাকে। কিন্তু আস্তে আস্তে হাত পা গুলো অবস হয়ে যায়।নড়াচড়া করতে পারে না সে,বড় কোন ডাক্তার দেখাবে সে সমর্থ ও নেই তার,যার কারণে চিকিৎসাবিহীন ভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরতে বসেছ হালিম শেখ ওতার পরিবার।হালিম শেখের স্ত্রী হালিমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমার হয়েছে যত জ্বালা,আমি এই বয়সে স্বামীর সেবাযত্ন করে আবার স্বামীর রেখে আসা পানের দোকানে বসি,কিন্তু দোকানে জিনিসপত্র না থাকায় বেচাকেনাও নেই দোকানে, মনে মানে না তাই যেয়ে বসে থাকি।কোন দিন ১শ কোনদিন ২শ টাকা পান বিক্রি হয় তা দিয়ে ঔষধ কিনবো না সংসার চালাবো, কোনমতে ঔষধ কিনে নিয়ে তাকে খাওয়ায়।আর এ বাড়িও বাড়ি কাজ করে ভাতের যোগাড় করি,বয়সের ভারে আমিও আর পারি না। মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাদের। নিজেদের কোন বসতভিটা না থাকায় রেলবস্তিতে জীবন কাটাতে হচ্ছে,সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমার দাবি যদি কোন সহযোগিতার হাত আপনারা বাড়াতে চান তাহলে নওয়াপাড়া জারের গ্রীন জেনারেল ষ্টোর এ যোগাযোগের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইলো।
এমএসএম / এমএসএম