ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মানিকগঞ্জ থেকে বিলুপ্তির পথে বেতরাঙ্গা বাতাসী চেলাসহ দেশি প্রজাতির মাছ


আবিদ হাসান, হরিরামপুর photo আবিদ হাসান, হরিরামপুর
প্রকাশিত: ৬-৪-২০২৩ দুপুর ১:৭
মাছে ভাতে বাঙ্গালি, এই কথাগুলো একটা সময় প্রচলিত ছিলো সবার মুখে মুখে।  আজ থেকে প্রায় ২৫/৩০ বছর পূর্বে বেশ কয়েক প্রজাতির দেশি জাতের মাছ যেমন বেতরাঙ্গা,বাতাসী,চেলা,পাবদা,রয়না,কই,চান্দা,জিওল,ডাইনকিন্যা,কাইকল্যা ইত্যাদি (অঞ্চল ভেদে আঞ্চলিক নাম) নদীনালা,খালবিল,বাওর,পুকুর, জলাশয়ে প্রচুর পরিমান পাওয়া যেত।
 
জেলে অথবা শখের বশে গ্রামের অনেকেই এই সকল মাছ দলবেধে বিভিন্ন নদীনালা,খালবিল,পুকুর,বিলবাওর থেকে শিকার করতো। আর বর্তমান সময়ে বেতরাঙ্গা,বাতাসী,চেলা,পাবদা,রয়না,কই,চান্দা,জিওল,ডাইনকিন্যা,কাইকল্যা,নারকেলের পোনা ইত্যাদি (অঞ্চল ভেদে আঞ্চলিক নাম) দেশি প্রজাতির মাছগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। নদীনালা, খালবিলে কারেন্ট জাল এবং চায়না দোয়ারী দিয়ে অবাধে মাছ শিকারের জন্যও দায়ী করছে অনেকেই। সরেজমিনে, মানিকগঞ্জসহ হরিরামপুরে বিভিন্ন হাটবাজার,পুকুর,নদী,জলাশয় ঘুরে জানা যায়, দু একটা এসব প্রজাতির মাছ পাওয়া  গেলেও সংখ্যায় অনেক কম। চাষ করা কই,রয়না,পাবদা,জিওল ইত্যাদি ছারা বেশির ভাগ দেশীয় প্রজাতির মাছ ই আর দেখা যায় না বাজার অথবা নদীনালা,খালবিল,পুকুরে। অনেকেই এসব মাছের নাম ই ভুলতে বসেছে।
 
হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য আন্ধারমানিক পদ্মাপাড়ের আড়ৎদার রাধু রাজবংশী বলেন,বেতরাঙ্গা,বাতাসী,চেলা,পাবদা,রয়না,কই,জিওল,ডাইনকিন্যা,কাইকল্যা,নারকেলের পোনা ইত্যাদি এসব দেশি প্রজাতির মাছ এখন আর তেমনটা দেখা যায় না। এর কারণ হলো- পানি প্রবাহে বাধা আর বিভিন্ন জায়গায় বাধ দিয়ে পানির প্রবাহ রোধ করায় নদীনালা,খালবিলে সঠিক সময়ে পানি যাতায়াত না করায় এসব দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত প্রায়। সরকার এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানাই- এসব দেশি প্রজাতির মাছ যেন আবার নদীনালা,খালবিল,পুকুরে ফিরে আসে, সেজন্য সঠিক পদক্ষেপ যেন নেয় তারা।
 
উপজেলার দিয়াপাড় গ্রামের আমিনুর সিদ্দিকি জানান, কারেন্ট জাল এবং চায়না দোয়ারী দিয়ে অবাধে এসব দেশি প্রজাতির মাছ শিকার করাকে দায়ী করেন তিনি।
বয়ড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য, জেলে কালিপদ দাস জানান, এসব দেশি প্রজাতির মাছগুলোর জন্ম হতো বিল বাওরে। এখন সেই সব বিল বাওরে এখন পানি থাকে না, প্রায় বেশিরভাগ সময়ই শুকিয়ে থাকে।  আবার ইছামতি নদী খালের বিভিন্ন পয়েন্টে অপরিকল্পিত বাধ দেয়ায় পানি চলাচলে বিঘ্ন ঘটাকেও দায়ী করেন তিনি।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দড়িকান্দি গ্রামের এক জেলে জানান, আমরা নিজেরাই এর জন্য দায়ী, আমরা পেটের দায়ে চায়না দোয়ারী এবং কারেন্ট জাল দিয়ে দেশি প্রজাতির এই মাছগুলো নির্বিচারে ধ্বংস করেছি। এখনতো এর মাশুল আমাদেরই তো দিতেই হবে।পরিবেশবাদী সংগঠন হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গের সাধারণ সম্পাদক প্রণব পাল বলেন, আমাদের নদীনালা,খালবিল,জলাধার দখল,দূষন এর প্রধান কারণ। এই দেশি মাছগুলোর আশ্রয়ের জায়গা নষ্ট হয়ে গেছে, এছারা চায়না দোয়ারী আর কারেন্ট জালে নির্বিচারে দেশি প্রজাতির পোনা শিকার হচ্ছে প্রকাশ্যেই। এসব জলাধার উদ্ধারসহ কৃত্রিম জলাধার তৈরী করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করে দেশি প্রজাতির এই মাছগুলো ফিরিয়ে আনার আহবান জানাই।
 
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, দেশিয় ৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৫০ প্রজাতিই এখন বিলুপ্তপ্রায়। এছারাও বিল বাওর খাল শুকিয়ে গেছে এটাও সত্য, তাছারা বিভিন্ন জলাধারে দেশি প্রজাতির মাছ আশ্রয় নিলেও স্থানীয় জেলে অথবা শখের বশে অনেকেই তা সেচ দিয়ে শুকিয়ে ফেলে মাছ শিকার করে। এছারা চায়না দোয়ারী,কারেন্ট জাল নিধনে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। জেলা উপজেলায় মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরী করে এসব দেশি প্রজাতির মাছগুলো টিকিয়ে রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে দাড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত হেলপার

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কুষ্টিয়ায় মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত

রায়পুরে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদে ধীরগতি

জমির জন্য বৃদ্ধ দম্পতিকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

শ্রীপুর পৌর শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আত্রাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানকে সংসদীয় ৫ আসনে উপহার দিতে মীর হেলাল উদ্দিনের বিকল্প নাই -গিয়াস উদ্দীন

১৪৫ কোটি টাকার ফেরিঘাটে নেই ফেরি, সরকারের নতুন চিন্তা

জলবায়ু পরিবর্তনের ছোবল: স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সন্দ্বীপে কর্মশালা

টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি সংযোগ খাল কচুরিপানায় বন্ধ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী