ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

তালায় বিলুপ্তি প্রায় মৃৎ শিল্পে জড়িতরা পথহারা


এম,এম হায়দার আলী, তালা photo এম,এম হায়দার আলী, তালা
প্রকাশিত: ৬-৪-২০২৩ দুপুর ৩:১১

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক সময় সাংসারিক প্রয়োজনে মাটির জিনিস পত্রের বেশ প্রচলন বা জনপ্রিয়তা ছিল। অথচ সময়ের ব্যবধানে আধুনিক শিল্পের ভীড়ে মৃৎ শিল্প আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাহী সেই মৃৎশিল্প। ধীরে ধীরে স্মৃতির খাতায় নাম লেখতে শুরু করেছে বললেও এতোটুকু ভুল হবে না। সূত্রমতে, এই উপজেলার হাট-বাজারে প্লাস্টিক, স্টীল, মেলামাইন, এ্যালুমিনিয়ামের মত বিভিন্নপত্রে  বাজার ছেয়ে গেছে। প্রতিযোগিতার এই বাজারে মাটির জিনিসপত্র কম টেকসই, সামাজিকতা, সব মিলিয়ে গ্রাহকরা মৃৎ শিল্পে ব্যবহারে অনুৎসাহিত হচ্ছে। আর পৃষ্ঠ-পোষকতার অভাব তো আছেই। সব মিলিয়ে এখানকার মৃৎ শিল্প আজ সংকটের মুখে। মাটি দিয়ে গঠন-কাঠামো অনুযায়ী শৈল্পিক কারু কার্যময় ও বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র তৈরী কাজে জড়িত কারিগরা কুমার সাম্প্রদায় হিসেবে সমাজে পরিচিত। আর তাদের সেই সৃষ্টি কর্মকে শিল্পের ভাষায় মৃৎ শিল্প বলে। এক সময় দৈনন্দিন জীবনে মাটির তৈরী বিভিন্ন তৈজসপত্রের ব্যাপক চাহিদা বা কদর  ছিল। এখনও কম বেশি গ্রাম-অঞ্চলে মাটির তৈরী কারু-কার্যময় তৈজসপত্রের চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে শীত মৌসুমী খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করার জন্য ভাঁড় ও দই তৈরির ক্ষেত্রে খূলির ব্যবহার আজও বিদ্যমান। কিন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে। এই মাটির জিনিস পত্রের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন আধুনিক সমাজের মানুষেরা। তবে সাতক্ষীরা জেলা শহরে বছরে একবার অনুষ্ঠিত। গুড় পুকুর মেলাতে মাটির তৈরী এসব জিনিসের উপস্থিতি দেখা মিললেও অন্য সময়ে  থেকে যায় অদেখা। তালার নগরঘাটা গ্রামের দুলাল চন্দ্র পাল বলেন, পূর্ব পুরুষের দেখানো ব্যবসা আজও আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে বর্তমান সময়ে ব্যবসায় টিকে থাকাই এখন কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়েছে। সবকিছুর সাথে সাথে তৈরি কাজে ব্যবহৃত মাটি ও অন্যান্য   মালামালের দামও বাড়ছে। তাই বেশি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে হচ্ছে। লাভও হচ্ছে সীমিত। মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার স্বাস্থ্য সম্মত এবং প্রাচীন কাল থেকে এর ব্যবহার চলে আসছে। কিন্তু আজ আমরা বিভিন্ন কারণে এই শিল্প থেকে সরে এসেছি। সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় এই শিল্প  আজ বিলুপ্ত হতে চলেছে বলে তিনি মনে করেন। একই সাথে এই শিল্পে জড়িত অনেকেই পথহারা হয়ে তাদের গতিপথ পাল্টিয়েছেন। তবে এখনো অনেকেই আছে যারা মাটির জিনিসপত্র কিনছেন পুরানো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে। একই পাড়ার উত্তম কুমার পাল বলেন, বাংলার ঐতিহ্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে অধুনিকতার ছোয়ায়। এই শিল্পকে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আগে ফ্রিতে মাটি পাওয়া যেত। আর আজ সেই মাটি অনেক দাম দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। পণ্য তৈরীতে যে পরিমাণ খরচ বেড়েছে, সেই তুলনায় বিক্রয় মূল্য  বাড়েনি। মৃৎ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এর বাজার সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা খুবই জরুরি। একই সাথে সরকারী ভাবে সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হলে এই শিল্পকে  টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।

এমএসএম / এমএসএম

ইলিশ পাচার সিন্ডিকেট বিলুপ্ত চান ভোলার উপকূলের জেলেরা

‎ঝিনাইদহে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন