তালায় ব্লাস্ট'র আক্রমণে ধান চাষীদের স্বপ্ন ভঙ্গ

এবছরও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ইরি-বোরো ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমন দেখা দিয়েছে। যা এখানকার শত শত কৃষকের কাঙ্খিত স্বপ্ন ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে আতঙ্কিত প্রান্তিক চাষিরা ইতিমধ্যেই তাদের আধা পাঁকা ধান কাটার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ধানে ব্লাস্ট রোগের লক্ষন দেখা দেওয়ায় কিছুটা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা আগেভাগেই ধান কাটার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কৃষকেরা বলছেন, এখন ধান না কাটলে কিছুদিন পর সব ধান শুকিয়ে বিচালি হয়ে যাবে। অথচ জন গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের নেই তেমন কোনো মাথা ব্যথা। রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে বলে অভিযোগ উঠেছে। তালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৯ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় আশানুরূপ ফসল পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বহু ধান ক্ষেতে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে বলে জানা যায়। ব্লাস্টা রোগে শেষ করে দিয়েছে কৃষকের স্বপ্ন। উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ জাতের ধান ব্লাস্ট রোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ব্রি-৬৭ মিনিকেট জাতের ধানের শীষ কাটা রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের গনডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হারিস সরদার, কাজীডাঙ্গা গ্রামের দেবব্রত হালদারের জমিতে ব্লাস্টের আক্রমনে জমির আংশিক ধান সাদা সাদা হয়ে চিটাই পরিণত হয়েছে । তিনি বলেন,দুই বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের বোরো চাষ করেছি। ধান পাকার মুহূর্তেই ব্লাস্ট রোগে আক্রমণ করেছে। কৃষি অফিসের লোকজন আসেও না দেখেও না। নানা ধরনের ঔষধ স্প্রে করেও কোন ফল হয়নি। এদিকে চোমরখালী গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি কিন্তু কি যে আছে কপালে। ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে ধানগাছ সাদা হয়ে কুঁকড়ে গেছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো লাভ পাচ্ছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধান তো নয়ই, বিচালিও পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাতে দোকানে সার কীটনাশকের বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, ‘দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা পড়ার কারণেই বোরো ধানে বিশেষ করে ব্রি-২৮ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ ঘটছে। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের এ জাতের ধান রোপণ করতে নিষেধ করি। তবু কৃষকেরা ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপণ করেন।’ধানের জন্য ব্লাস্ট একটি ছত্রাক জনিত মারাত্মক ক্ষতিকারক রোগ। দপাইরি কুলারিয়া ওরাইজি’ নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ায় রোগটি দ্রুত বিস্তার লাভ করে এবং ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। রোগপ্রবণ জাতের ধানে রোগ সংক্রমণ হলে ফলন শতভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। সর্বোপরি, দীর্ঘ বছর ধরে এখানকার সাধারন কৃষক কুলের ঘাড়ের উপরে জেঁকে বসা। ধানের ব্লাস্ট রোগ নামক মারাত্মক সমস্যাটি সমাধানের জন্য। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এমএসএম / এমএসএম

ইলিশ পাচার সিন্ডিকেট বিলুপ্ত চান ভোলার উপকূলের জেলেরা

ঝিনাইদহে রেলপথের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

কোটালীপাড়ায় পোনা মাছ অবমুক্তকরণ

ত্রিশালে বাগান মাদরাসা পরিদর্শনে আইএমইডির মহাপরিচালক

কুড়িগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মশালা

সার নীতিমালা বহালের দাবিতে কুড়িগ্রামে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজ তিন মাদ্রাসাছাত্রী, ২১ দিনেও সন্ধান মিলেনি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনাধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে মানষিক ও শারিরীক নিযাতনেই গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা

চৌগাছায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

নাটোরের সিংড়ায় পাওনা টাকার দাবিতে মানববন্ধন
Link Copied