ঢাকা রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

সময়ের ব্যবধানে লোকালয় ছাড়ছে বাবুই পাখি


এম,এম হায়দার আলী, তালা photo এম,এম হায়দার আলী, তালা
প্রকাশিত: ১০-৪-২০২৩ দুপুর ১:৩০

বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই,কুঁড়ে ঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহা সুখে অট্টালিকা পরে,তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টির ঝড়ে। বাবুই হাসিয়া কহে, সন্দেহ কি তাই ? কষ্ট পাই,তবু থাকি নিজের বাসায়। কবি রজনীকান্ত সেনের সেই স্বাধীনতার সুখ নামক কবিতার  মর্মার্থ অবলীলা ক্রমেই হারিয়ে যেতে বসেছে। কারন বাস্তববাদী কবির ওই গল্পের মূল মন্ত্র, বাবুই পাখি আজ আর তেমন চোখে পড়ে না । সময়ের ব্যবধানে ওই শিল্প পাখিদের অতি পছন্দের নিরাপদ আশ্রয় স্থল পুরনো বড় তালগাছ ও যেন  বিলুপ্তির পথে। একই সাথে এক শ্রেণীর মানুষের হীন মনুষ্যত্বের বিরুপ প্রভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্য বাবুই পাখি। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জীবনের ভয়ে লোকালয় ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছে। অন্য কোন অভয়ারণ্যে বলে সরজমিনে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এমনটি জানা যায়। স্থানীয় পরিবেশবিদদের ধারণা মতে, দেশ বরন্যে কবি রজনীকান্ত সেন এই কবিতাটি যখন লিখেছিলেন । তৎকালীন সময়ে আপামর জনগন ছিলেন অতি বড় মনের সাধারণ এবং সাবলীল প্রকৃতির। প্রত্যেকটি গ্রামের প্রায় বাড়িতে ছিল,গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ আর গোয়াল ভরা গরু । তাইতো সুখ-শান্তির এতটুকু অভাব ছিল না তাদের । শুধু কি তাই ? বাগ-বাগিচা ভর্তি বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষের পাশাপাশি এমন কোন পরিবার ছিল না যাদের ১-২ টি তাল গাছ ছিল না । সকল পশু পাখিরা ছিল তাদের কাছে নিরাপদ । ফলে পাখিদের মধ্যে গুণী শিল্প পাখি  বাবুই তালগাছে দৃষ্টি নন্দন বাসা বুনুনের মধ্য দিয়ে মনের সুখে নিশ্চিন্তে বসবাস করার বিষয়টি কাল্পনিক কোন গল্প নয়। ছিল অবাধ বিচারণ ও । গ্রামের প্রায় তালগাছে তাকালেই দেখা যেত মনমুগ্ধকর ঝুলন্ত বাসায় বসে বাবুই পাখিরা মৃদু বাতাসে দুলছে। যা দেখার পর মন জুড়িয়ে যেত পাখি প্রেমী পথচারীদের । গতকাল তথ্য অনুসন্ধান কালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ ফজলে করিম সরদার(৮২)  জানান ,সে সময় মানুষ আর অবলা পশু-পাখিদের মধ্যে এমন ভাব ছিল। মনে হতো যেন তারাই একই পরিবারের সদস্য। তালের মৌসুমে গাছ থেকে কাঁচা পাকা তাল পাড়ার সময়। ওই বাবুই পাখিদের বাসার কোন ক্ষতি করত না। পাখিদের থাকার জায়গা নষ্ট হয়ে যাবে বলে তাল গাছ বয়স হয়ে পেকে রং কালো হয়ে যেত। যে তাল কাঠ ঘর তৈরির কাজে লাগানোর পর যুগ যুগ ধরে ঘরে আর হাত দিতে হতো না। এখন আর তালগাছ পাকা তো দূরের কথা বড় কোন গাছ চোখেও পড়ে না। আর বহু বছর হলো বাবুই পাখির বাসা দেখিনি। এই ধরনের আক্ষেপ এখানকার বহু পাখি প্রেমী শান্তি প্রিয় মানুষের বলে জানা গেছে। বর্তমানে দিন বদলের সাথে সাথে শুধু গ্রাম-পাড়া-মহল্লা নয়। উপজেলা ভিত্তিক দুই একটি গাছে বাবুই পাখি বা বাসা। দেখা মেলাও যেন দুর্লভ ব্যাপার দাঁড়িয়েছে। সবমিলিয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী ও পরিবেশের সৌন্দর্য বর্ধনের প্রতীক এসব পাখিদের সরকারি উদ্যোগে নিরাপদ আবাসস্থল এর ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে। পিছনে ফেলে আসা দিনের চোখ জুড়ানো হৃদয় স্পর্শী এমন দৃশ্য। আগামী প্রজন্মের কাছে যেন শুধু স্মৃতিই, হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এমএসএম / এমএসএম

মেহেরপুরে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবসে আলোচনা সভা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান

বড়লেখায় দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ২, টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার

কুতুবদিয়ায় সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা অর্ধগলিত মরদেহটি সনাক্ত হয়েছে

সিংড়ায় রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা রোধ করলেন সাব রেজিস্ট্রার

দাউদকান্দিতে খাল পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন

হাতিয়ায় নদী ভাঙ্গনের কবলে দুটি বিদ্যালয়, রক্ষার দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

রাণীনগরে চাকু ধরে ব্যবসায়ীর ৫লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

কক্সবাজারে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, প্রাণ গেল চারজনের

মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছধরা উন্মুক্ত

বন রক্ষায় বন বিভাগকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে; পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

সিংড়ায় অজ্ঞাত লাশের রহস্য উদঘাটন, র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ২

হাটহাজারীতে সালিশি বৈঠকে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ ; আটক ২

মনোহরগঞ্জে মডেল মসজিদ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন দুর্ভোগে মুসল্লিরা