সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষা নিচ্ছে উত্তরা বিসিআই কলেজ
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানী উত্তরার ৯নং সেক্টরে অবস্থিত বিসিআিই কলেজের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, রমজান মাসে যেখানে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে সেখানে শুধুমাত্র অগ্রিম সেমিস্টার ফি গ্রহণের উদ্দেশ্যে কৌশল করে বিসিআই কলেজ কর্তৃপক্ষ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা নিচ্ছে। এছাড়াও সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন- ফরম ফিলাপের নামে সাইন্সল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব ও লাইব্রেরি ফি সহ বিভিন্নখাতে দেখিয়ে গভমেন্টের নির্ধারিত ফি বাইরেও আদায় করা হয় ১০-১২ হাজার টাকা। যার কোন রশিদ দেওয়া হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন পূর্বে কক্সবাজারে কলেজটির পিকনিক ও নবীনবরণে অনেক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যার কারণে যেতে অনীহা প্রকাশ করলে তাদেরকে টেস্ট পরীক্ষায় ফেইল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রিন্সিপাল সুশান্ত চন্দ্র ভৌমিক।
এছাড়া কলেজের সাবেক একাধিক প্রভাষকের বেতন আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এদিকে সাংবাদিকরা এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল মো. আসাদুজ্জামানের সাথে কথা বলতে সরজমিনে কলেজে গেলে ওই প্রিন্সিপাল সাংবাদিদের সাথে আলাপরত একটি ছবি প্রকাশ করে ক্যাপশনে ‘বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন’ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের নজর আসলে পোস্টটি হাইড করে দেন।
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষা ও অন্যান্য অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রিন্সিপাল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে অনেক অর্থের যোগান দিতে হয়। তাই সরকারি নিয়মে সবকিছু করা সম্ভব নয়। তিনি জানান, শিক্ষকদের বেতন-বোনাস দিতে মূলত বন্ধের মধ্যেও রমজানে পরীক্ষা নিচ্ছেন।
এমএসএম / এমএসএম