ঢাকা-১৪ আসনের আতঙ্ক হাজী জহির
৫ই আগস্টের হত্যা মামলার আসামি হয়েও অধরা
ঢাকা-১৪ আসনের আতঙ্ক কুখ্যাত চাঁদাবাজ কিশোর গ্যাংয়ের মদদ দাতা ৫ই আগস্টের হত্যা মামলার আসামি হয়েও অধরা, অপ্রতিরোধ্য জহিরুল ইসলাম ওরফে হাজী জহির। মিরপুর দিয়াবাড়ি এলাকার জন্ম ও বেড়ে উঠা, পারিবারিক ব্যবসা ছিল লাকড়ি বিক্রি করার, সেখান থেকে জীবন শুরু হলেও এখন তার বিলাসী জীবন যাপন।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, লাকড়ির ব্যবসা করে পরিবার চলতো তাদের, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি, রাজনীতিতে হাতে খড়ি হয় সাবেক প্রয়াত এমপি আসলামুল হক আসলামের ভাই মফিজুল ইসলাম বেবুর হাত ধরে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এমপি আসলামের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিতি পান, যতই পরিচিতি বাড়তে থাকে ততই তার টাকা-পয়সা বাড়তে থাকে । দিয়াবাড়ি ও তার আশপাশে জহিরের নিকট আত্মীয় সেন্টুর সাথে তার একাধিক বালির গদির যৌথ ব্যবসা ছিল, সেন্টুকে ব্যবসা থেকে বাদ দিয়ে নিজের একক নিয়ন্ত্রণে ব্যবসা শুরু করেন, যা কিছু করেছিলেন সাবেক এমপি আসলামের কৃপায়। তুরাগ নদীতে যে বলগেটগুলো যায় সে বল গেটের টাকা আদায়ের ইজারা নিয়েছিলেন জহিরুল ইসলাম ওরফে হাজী জহির। ১-২ বছর সরকারি কোষাগারে টাকা গেলেও পরবর্তীতে আর কোন টাকা দিতে হয়নি তার কাউকে, সরকারিভাবে কোন টেন্ডার না হলেও বলগেটের টাকা দীর্ঘদিন আদায় করেছেন এই জহিরুল ইসলাম ওরফে হাজী জহির। তারপরে সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের বোন মনির সঙ্গে পার্টনারের ব্যবসা গড়ে তোলেন। জহিরুল ইসলাম ওরফে হাজী জহিরের আরো একটি ব্যবসা ছিল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মন্ত্রী এমপিদের নারী সরবরাহ করে দেওয়া, এই নারী সরবরাহ করে দিয়েই তিনি কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সাবেক এমপি আসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন এর ছত্রছায়ায় থেকে জহিরুল ইসলাম হয়ে উঠেন অপ্রতিরোধ্য ও বেপরোয়া। তার ছত্রছায়ায় তার ভাতিজা সোহানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে কিশোর গ্যাং গ্রুপ। দারুসসালাম থানা এলাকার জহুরাবাদ, দিয়াবাড়ি কাউন্দিয়া এলাকায় গড়ে ওঠে হাজী জহিরের একছত্র অধিপত্য। দারুসসালাম থানা ও মিরপুর থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজির মামলা। গত ২৯-৮-২০২৪ ইংরেজি তারিখে মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়, মামলা নম্বর ২৫, ধারা-১৪৭/১৪৮/৩০২/১০৯/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০
আসামি নম্বর ৩০৫, মামলায় উল্লেখ আছে একই উদ্দেশ্য সাধনকল্পে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে দাঙ্গা হাঙ্গামা করত: হত্যা ও নির্দেশ দানের অপরাধ। গত ১৩/১০/২০২৫ ইং তারিখে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ও মাদক ব্যবসায়ী জহির হাজী এর সহযোগী এবং ড্রাইভার জিতু গ্রেফতার হন। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, জহির হাজীকে আটক করার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সিসিটিভি ক্যামেরাতে দেখতে পেয়ে জহির হাজী নিজের অস্ত্রসহ পালিয়ে যান। গাড়িতে থাকা নকল পিস্তল ও অফিসে থাকা বল্লম-সহ জহির হাজী’র ড্রাইভারকে আটক করা হয়। ড্রাইভার জিতু’কে জিজ্ঞেসাবাদ করে অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। গ্রেপ্তারকৃত জিতুর কাছ থেকে ১টি নিশান এক্স-ট্রেইল জিপ গাড়ি। রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৭-৯৫০৪,১টি দেশীয় অস্ত্র (বল্লম), ১ টি ৯ এমএম বেরেট্টা পিস্তল সাদৃশ্য লাইটার পিস্তল, ১ টি পিস্তল রাখার হোলস্টার।স্মার্ট ফোন ১ টি, বাটন মোবাইল ১ টি ও নগদ টাকা-সহ মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে তিনি মালিক হয়েছেন কোটি কোটি টাকার, সাদুল্লাহপুরে তার জমি আছে কয়েক বিঘা, কাউন্দিয়ায় বাড়ি আছে একটি পাঁচতলা-সহ দুইটা আরো কয়েক বিঘা জমি আছে , মিরপুর ১ নম্বর দিয়াবাড়িতে আছে দুইটা বাড়ি, দুইটা প্রাইভেট কার, আটটা দশটা ডাম ট্রাক, একাধিক ভেকু, ড্রেজার আছে তিনটা, জানা যায় সাবেক পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি পরিচালকের সাথে তার পার্টনারের ব্যবসা ছিল এবং একাধিক বালুর জাহাজ আছে তার। নারীঘটিত একাধিক বিষয়ের ছবি ও ভিডিও আছে প্রতিবেদকের কাছে, ছবিতে একজন নারীকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়, পাশাপাশি দুইজন শুয়ে আছেন অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায়। জানা যায় মেয়েটির নাম লিজা। এ বিষয়ে জানতে, জহির হাজীর মোবাইল নম্বরের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেয়েটির নাম লিজা নয় শান্তাও নয়। তিনি বলেন, ঐ মেয়েটা ফয়সালের বউ। তিনি আরো স্বীকার করেন একদিন তার কাছে এসেছিল, ছবিটা কিভাবে প্রতিবেদকের নিকট আসলো তার ব্যাখ্যা তিনি দেন, তিনি বলেন আমার রুমের সিসি ক্যামেরার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ কে বা কারা নিয়ে প্রতিবেদককে দিয়েছে। তিনি বলেন আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি নাই, আরো দাবি করেন যে চাঁদা দিয়েই আওয়ামী লীগের সময় তাকে ব্যবসা করতে হতো। তার প্রোগ্রামের ব্যানার ফেস্টুন-সহ একাধিক ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি চুপ থাকেন। তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি এড়িয়ে যান।
যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া ড্রাইভার জিতুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আসলে তার বদলী ড্রাইভার হিসেবে ঐদিন প্রথম গিয়েছিলাম। খেলনা অস্ত্র-সহ গ্রেফতারের বিষয় তিনি স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, আমি যেহেতু ওই দিনে প্রথম গিয়েছিলাম তাই আমার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ড্রাইভার জিতুক আরও বলেন, জাকির হোসেন নামে একজন তার সার্বক্ষনিক ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন। আরো বিস্তারিত তথ্য ও ছবি নিয়ে আসছি পরবর্তী নিউজে।
Aminur / Aminur
উত্তরায় ফের রাজউকের খালি প্লট দখলের অভিযোগ
মনির ও আবু জাফর চৌধুরী সিন্ডিকেটের শত শত কোটি টাকার জালিয়াতি ফাস
৫ই আগস্টের হত্যা মামলার আসামি হয়েও অধরা
বিএনপির স্বার্থে জনগণ ও জোটসঙ্গীদের ব্যবহার—অভিযোগ জনতার অধিকার পার্টির
তেজগাঁও প্রেস ক্লাবের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
গ্যাস সংকটে ভোগান্তি শেখদীতে
ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ'র কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয়: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
কল্যাণ সমিতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে: সমিতির নির্বাচন কমিশনার
পুরান ঢাকায় রাজউকের নীতিমালা অমান্য করে অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ
বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মোহাম্মদপুরে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত
আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬