শ্রমিক দিবস কি জানেনা ইটভাটার শ্রমিকেরা
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ইটভাটা শ্রমিকেরা জানেনা শ্রমিক দিবস কি!! গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝরছে শ্রমিকদের। সারা শরীরে চিকচিক করছে লাল ধুলো ও ইটের গুড়োতে। তবুও ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করেই চলেছেন তারা। আজ মে দিবস, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দিন হলেও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের দুটি ইটভাটায় গিয়ে কথা হয় শ্রমিকদের সঙ্গে। তারা বেশিরভাগই জানেন না মে দিবস কী। কেন পালন করা হয় এ দিবসটি!
সরেজমিনে গেলে সোমবার দুপুরের দিকে ময়না বেগম নামের নারী শ্রমিক বলেন, ‘কাজ করলে টাকা আছে, না করলে নাই। আমাগো আবার কিসের দিবস। সংসার চালাতে কাজ করতে হয় ।’
ময়না বেগমের মতো হরিরামপুরের দুইটি ইটভাটায় কাজ করা বেশিরভাগ শ্রমিকই মে দিবস আর শ্রম দিবস কি তা তারা বোঝে না। তারা বোঝে একদিন কাজ না করলেই সংসার চালানো যাবেনা। তাদের সবার লক্ষ্য একটাই সারা দিন রোদে পুড়ে হাড়ভাঙা খাটুনির পর সংসার চালানোর খরচ তোলা। এদের কাছে মে দিবস আসে-যায়, কিন্তু তাদের কাজের বিরাম নেই, মুক্তি মিলছে না মজুরি বৈষম্য থেকেও।
হরিরামপুর উপজেলার পিপুলিয়া গ্রামের মেসার্স সততা ব্রিকস এ শ্রমিকের কাজ করেন খুশি (২৬) ও মারুফা (২৪)। তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলায়। তারা জানান, ভোর বেলা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বামী স্ত্রী মিলে ভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। সর্দারের মাধ্যমে ভাটায় কাজ করেন। এক হাজার ইট নেয়া হলে ১৪৫ টাকা মজুরি পাওয়া যায়। স্বামী স্ত্রী মিলে ৬০০-৮০০ টাকা পাওয়া যায়। কোনরকমভাবে সংসার চালাই।
মেসার্স স্বাধীন ব্রিকস এ কয়লা আনা নেয়া করতে দেখা যায় খুশি ও কমলা নামের দুজন শ্রমিককে। উপজেলার কান্ঠাপাড়া এলাকায় তাদের বাড়ি।
তারা জানান, সকাল থেকে ভাটায় কাজ শুরু করেন। ৩০০ - ৩৫০ মজুরিতে কয়লা নেয়া ও ভাঙানোর কাজ করেন তারা । শ্রমিক দিবস কি বা কবে তা তারা জানেননা।
পান্না বেগম (৩০), বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায়। তিনি জানান, ১৩০ টাকায় ১ হাজার ইট নেয়ার কাজ করেন তিনি। শ্রমিক দিবস দিয়া কি করবাম। পেট চালানোই আসল কাজ।
শেরপুরের নকলা উপজেলা থেকে এসে ইটভাটায় কাজ করেন জরিনা বেগম (৩৮)। তিনি জানান, স্বামী স্ত্রী মিলে কাজ করি। যত বেশি ইট নিবো ততো বেশি টেকা দিবো। সব দিন ই একই দিন।
ভাটার ইট ট্রলিতে করে ক্রেতার বাড়ি পৌঁছে দেয় সজিব মিয়া (১৫)। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার হামিদপুর এলাকায় বাড়ি তার। সে জানায়, ১ বছর ধরে এই এলাকার গৌতম বাবুর ট্রলিতে ইট উঠানো ও নামানোর কাজ করি। শ্রমিক দিবস কি জানিনা মাসে ১০-১২" হাজার টাকা কামাই। রোজ ২০০- ৬০০ টাকাও আয় হয়। কাজ থাকলে সকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ও কাজ করি। তখন বেশি টাকা পাই।
মেসার্স সততা ব্রিকস এর মালিক মোসলেম উদ্দিন খান কুন্নু বলেন, মালিকেরা ইট সরানোসহ কাজের জন্য সর্দারের সঙ্গে চুক্তি করে থাকে। সর্দার প্রয়োজন অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগ করে৷ শ্রমিকদের নিয়োগ, মুজুরি, ছুটি সব সর্দারই দেখেন।’
এমএসএম / এমএসএম
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা
কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি
বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত
গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী
চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ
কটিয়াদীতে পুকুরের পানিতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু
Link Copied