কৃষি অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ধানের বীজে ভেজালের অভিযোগ

যশোরের অভয়নগরে কৃষি অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ধানের বীজ ভেজালের অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে হতাশার মধ্যে রয়েছে উপজেলার কৃষকরা। ক্ষতি পোষাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। এ অভিযাগটি গত রবিবার ৭মে ১২ জন কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়ার্ডের মধ্যপুর গ্রামের কৃষকদের মাঝে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ধানের বীজ ও সার প্রদান করা হয়। উক্ত বীজ পুরাতন ও তিন ধরণের ভেজাল মিশ্রিত ধান। যে ধান কৃষকরা চারা রোপনের পর যথাযথ পরির্চযা করে। পরে উক্ত ধান থেকে ধানের মুকুল বের হওয়ার সময় প্রথম ধাপে ধান পেকক গেছে। আবার দ্বিতীয় ধাপর ধান কিছু বের হয়েছে। এবং ৩য় ধাপের ধান গর্ভাস্থায় আছে। ধানের এ অবস্থা দেখে উপজেলার কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পরে কৃষি মাঠ কর্মকর্তার সাথ কথা বল্লে এ ব্যাপারে কোন স্বু - উত্তর পাননি। এরপর কৃষককরা মুঠোফানে আবার কৃষি মাঠ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধান কেটে ফেলার কথা বলেন। ওই কৃষি মাঠ কর্মকর্তা তারা দেখেনি বলেও অভিযোগ উল্লেখ করেন। ওই ১২ জন কৃষক ধান না পেয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। যে কারণে তারা উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কৃষক গোলাম সরোয়ার বলেন,৮৪শতক বীজ বোনার তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ভালো ফলন হওয়ার কথা, কিন্তুু এত দিনও তাঁর ক্ষত কানা ফলনও আসেনি। জমির ইজারা খরচ,শ্রমিকর মজুরি,খত রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্তত ৬০ হাজার খরচ হয়েছে। ভেজাল বীজের কারণে এই টাকা তুলে আনার আর কোনা সম্ভাবনা নেই। মধ্যপুর গ্রামর কৃষক মোঃ সামছুর মল্লিক জানান,সরবরাহ করা বীজ থেকে চারা করে ক্ষত লাগানোর কিছুদিন পরই মিশ্রণ দখতে পান। এখন ধান গাছগুলা থেকে ছেড়া বের হওয়ার সময়। কি জমিতে ছোটবড় নানা জাতের ধান গাছ দেখা যাচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক জাহিদুল সরদার বলেন,ফলন বেশি হওয়ার আশায় মাঠর পর মাঠ কষি অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ধান চাষ করছি,ফলন ভাল হয়নি। ধার দেনা করে চাষ করে ক্ষতি হয়েছে ৩০ হাজার টাকা । ক্ষতি পোষাতে সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক ধান বীজ নিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। ক্ষেতে লাগানো ধানগাছ কানাটি ছোট,কানাটি লম্বা আকার ধারণ করেছে।ওই সব গাছ থেকে আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ছেড়া বের হওয়া শুরু হবে। এ অবস্থায় কৃষকের চাখে জল ছলছল করছে। কৃষকরা ওই ধানের বীজ নিয়ে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফিল্ড সুপার ভাইজার সুবাংকর মিত্র বলেন,আমি ৫ টি গ্রামের ফিল্ডের সুপার ভাইজার হিসাবে কাজ করি। মধ্যপুর গ্রামের কিছু কৃষক অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ধানের বীজ দেওয়া হয়,তাদের ধানের ভাল ফলন হয়নি। তবে তার আসেপাশের অঞ্চলের ধানের ফলন ভাল হয়েছে। কুটি কয়েকজন কৃষক হতবা অভিযোগ দিতে পারে। যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ছেন তাদের ব্যাপারে ক্ষতি পুসিয়ে দওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার পরির্দশণে আসছেন। এ ব্যাপার উপজলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান,অভিযাগ পাওয়ার পরপরি আমি ওই অঞ্চলে আসছি। কৃষকদের সাথে কথা বলছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়টি নিয়ে উপজলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দিন বলেন,কৃষকরা অভিযোগ দেওয়ার পর আমি ও চেয়ারম্যান মহাদয় এক জায়গায় বসে পরামর্শ করে কৃষি অফিসারকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন,কৃষি অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ধানের বীজ ভেজালের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ দ্বায়ভার আমি ও নির্বাহী অফিসার নিব না। এ দ্বায়ভার নিতে হবে কৃষি অফিসারকে।
এমএসএম / এমএসএম

রাণীশংকৈলে পুলিশের ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

সবুজে ঢেকে যাক কালকিনি: পরিবেশ রক্ষায় আনসার-ভিডিপি’র অঙ্গীকার

অভয়নগরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -১

তানোরে ব্যাক ডেট ও জালিয়াতি নিয়োগের তদন্তে হাজির হননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন

চট্টগ্রামে নেক্সাস ফেস্ট-২০২৫ সম্পন্ন

পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে: জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান

শ্রীপুরে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

অনার্সের খাতা দেখেন কলেজ হোস্টেলের গার্ড !

মানিকগঞ্জে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারী আটক

কাপাসিয়া 'ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় হাইলজোরে' অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
