তাড়াশ পৌরসভায় নৌকার হাল ধরতে চায় সালাম বিএসসি

তাড়াশ পৌরসভায় নৌকার হাল ধরতে চায় তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বিএসসি। তিনি তাড়াশ বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত সফল ব্যবসায়ী। শিক্ষকতা ও ব্যবসার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে স্থানীয় ভাবে রাজনীতি করেন । ১৯৯১ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ৩২ বছর যাবত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী বিএনপি'র স্বৈরাচারী নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলায় আব্দুস সালাম মারাত্মকভাবে আহত হোন এবং তাড়াশ হাসপাতালে ভর্তি হলে কর্মরত চিকিৎসকগন মৃত্যু আশংখ্যা প্রকাশ করে দ্রুত সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে সাবেক মন্ত্রী আলহাজ মোহাম্মদ নাসিম এবং বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ হোসেন আলী হাসানের তত্তাবধানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে বাড়ী ফিরেন। শারীরিক-মানষিক ও মামলা-হামলায় আব্দুস সালামের হৃদয় থেকে কেউ বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা কেরে নিতে পারে নাই। বরং পরবর্তী সময়ে তাড়াশ উপজেলার প্রতিটি অংগে তিনি বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরে সৎ, আদর্শ ও নিষ্ঠাবান বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি কি শুধু রাজনীতি করেই খ্যাতি লাভ করেছেন ? না তার সামাজিক সেবাতে অবদান আছে অপরিসীম। তিনি বর্তমান তাড়াশ কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাড়াশ উপজেলা শিক্ষক সমাজেও রয়েছে বিশেষ অবদান। শিক্ষক সমাজে একজন ন্যায় বিচারক হিসেবে সবাই জানেন তাকে। তাই তাকে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি পদে বার বার বহাল রেখেছেন শিক্ষকগন। দেখা গেছে, লোকমুখে খবর শুনেই ছুটে যান অসহায়দের পাশে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রদান করেন আর্থিক সহযোগীতা। বর্তমানে তিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য অসহায় বয়ঃবৃদ্ধ পরিবারকে মাসিক খরচ হিসাবে চাল ডাল সহ প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ টাকা প্রদান করে আসছেন। শীতকালে বাড়ী বাড়ী গিয়ে শত শত কম্বল বিতরণ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজার মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা দেন তিনি। এছাড়াও তিনি করোনাকালীন সময়ে নিজ উদ্যোগে কর্মহীন মানুষদের মধ্যে খাদ্য-সামগ্রী, শিশু খাদ্য, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্লিচিং পাউডার, সাবান, সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণসহ জনসচেতনামূলক হাজার হাজার লিফলেট বিতরণ করেছেন। করোনার প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে প্রথম তিন মাস গরীবের হোটেল খানা খুলে নিয়ে প্রতিদিন প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া ১শত পঞ্চাশ জনকে দুপুরের খাবার প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে প্রতি শুক্রবার ২শ গরীব অসহায় মানুষকে দুপুরের খাবার দিয়েছেন।
তাড়াশ পৌরসভার মেয়র হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সুদীর্ঘ ৩২ বছর রাজনীতি করতে গিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে বিভিন্ন মামলা ও নির্যাতনে স্বীকার হয়েছি। কিন্তু মানুষের ভালবাসার কাছে আমি বার বার পরাজিত হয়েছি। সততার রাজনীতির মুল্যায়ন সর্বদাই মহান রাব্বুল আলামিন প্রদত্ত যাহা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে স্বর্ণ শিখরে ও মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় ঠাই করতে পারে। তিনি আরো জানান, একমাত্র সৎ এবং শিক্ষিত জনপ্রতিনিধিই পারে সমাজের দৃষ্টি নন্দিত উন্নয়ন করতে । তাড়াশ পৌরসভার অবহেলিত জনগোষ্ঠির রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা ব্যবস্থাপনার অগ্রগতিসহ সার্বিক উন্নয়নে আ'লীগের একজন কর্মী ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে চাই। আমি তাড়াশ উপজেলার কৃষককূলের সাথে, সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ এবং শিক্ষিত বেকার সমাজের উন্নয়নে চেষ্টা করবো। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বিএসসি তাড়াশ নিবাসী মৃত কোবাদ হোসেনের ছেলে। কোবাদ হোসেন ছিলেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং আওয়ামীলীগের সক্রিয় সমর্থক। ৩ ভাইয়ের মধ্যে আব্দুস সালাম বিএসসি মেজো। বড় ভাই এস. আলম তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনিও বিভিন্ন সময়ে তাড়াশ উপজেলার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট ভাই মোঃ ফুলজার হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। চাকুরীতে প্রবেশের পূর্বে তিনিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ শাখার একজন কর্মী ছিলেন। আব্দুস সালামের স্ত্রী ও ৩ সন্তান আছে। স্ত্রী ময়না খাতুন একজন আদর্শ গৃহিনী। গৃহকার্য্যের সাথে স্বামীর রাজনৈতিক জীবনে নিবিরভাবে সহায়তা করে থাকেন। স্বামীর রাজনীতিতে বিচরণ এবং সমাজের মানুষের উপকারে সর্বদা অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এই নারী। তিনিও আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য এবং তার বড় ভাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ১ম সন্তান এম. এফ. সিয়াম উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে, ২য় সন্তান সিকাত সাদী মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে অধ্যয়নরত আছে এবং ৩য় সন্তান সাইফ-এর বয়স মাত্র ২ বছর ।
এমএসএম / এমএসএম

কুতুবদিয়ায় পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা

দুমকিতে রাস্তা দখলের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ

মুকসুদপুরে দূর্গাপূজা উপলক্ষে মুকসুদপুর থানার আয়োজনে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

পটুয়াখালীতে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টিপাত

কোনাবাড়িতে ডিভোর্সকৃত স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে সাবেক স্বামীর আত্মহত্যা

বিএনপি সরকার গঠন করলে জনগণের ভোগান্তি লাঘব হবে ও জনস্বার্থে সকল রাস্তার কাজ করা হবেঃ সিরাজুল ইসলাম সরদার

নেত্রকোনার মদনে চেয়ারম্যান-মেম্বারের ভুয়া ওয়ারিশান সনদে সম্পদ বঞ্চিত মা-মেয়ে

পাবিপ্রবিতে ‘প্রমীত ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব’ নিয়ে ভাষা বক্তৃতা অনুষ্ঠিত “সর্বত্র ভাষার অপপ্রয়োগ দূর করতে হবে”

ধামইরহাটে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমূখী করতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

কালকিনিতে দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ করতে বিএনপির মতবিনিময়

চন্দনাইশে শান্তিবাহিনী ৬সদস্য সেনাবাহিনীর হাতে আটক
