পূর্ব শত্রুতার জেরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘরে বসবাস করলেও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ভয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মর্মে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়, উপজেলার ১ নং পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা ছিদ্দিক আহমেদ নামে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসহাব উদ্দিন এর ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মর্মে অভিযোগ তুলে নানা ধরনের অপপ্রচার করছে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল।এমন অভিযোগ করেন স্থানীয় সচেতন মহল ও ভুক্তভোগী পরিবার। পুকুরিয়া ইউনিয়ন থেকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে দুই দুই বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের সুনামক্ষুন্ন করতে স্বার্থান্বেষী মহলের মিথ্যা অপপ্রচারে বিব্রত স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত অত্যন্ত সততার সাথে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা ও সুনাম অর্জন করেন,এরই প্রেক্ষিতে পুকুরিয়া ইউপি থেকে দুই দুই বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আসহাব উদ্দিন।তারই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দূস্থ,গরীব,অসহায় পরিবারকে অর্থ সহায়তাসহ সার্বিক সেবাদানে ন্যায় নিষ্ঠার সাথে জনস্বার্থে নিরলস ভাবে নিজেকে উৎসর্গ করায় চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিনের ব্যাপক সুনাম অর্জনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জনতার হৃদয়ে স্থান পেয়েছে আসহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান।এরই মধ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চেয়ারম্যানের ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মর্মে অভিযোগ তুলে ওই চেয়ারম্যানের সুনামক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে,এমন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসহাব উদ্দিন বলেন,আমার ভয়ে নাকি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে,এই ধরনের অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল।কিন্তু সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা একটু দেখে আসেন ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা কি ঘরে আছে নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছে,সেটা আপনারা সরাসরি দেখে আসেন।এসময় আসহাব উদ্দিন আরো বলেন,আমি জনগণের ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত একটানা মেম্বার হিসেবে জনগণের সেবা করেছি,এরপর জনগণের ভালোবাসা ও প্রত্যক্ষ ভোটে দুই দুই বারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
আমার ইউনিয়নের প্রত্যকটা ঘরে ঘরে গিয়ে আপনারা জিজ্ঞেস করে দেখেন,আমি কোন দিন কোনো বিষয়ে একটা টাকা কারো কাছ থেকে মেরে খেয়েছি কিনা?কাউকে আত্মসাৎ করেছি কিনা বা কোন দূর্নীতি করেছি কিনা তা আপনারা গভীর ভাবে তদন্ত করে দেখেন।আমার দায়িত্ব পালনে মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম,এবং আছি, আগামীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।ইউনিয়নের মানুষের জন্ম, মৃত্যু ওয়ারিশ সনদ ও প্রত্যায়ন এবং চারিত্রিক সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে নিরলস ভাবে সেবা দিয়ে গেলেও এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল এলাকার জনগণের অন্তর থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার কূমানসে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে।তিনি আরো বলেন, অপপ্রচারের বিষয়টিকে পূজি করে গণমাধ্যম কর্মী পরিচয় দিয়ে কিছু লোক আমাকে ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করিলে আমি এই বিষয়ে এক টাকাও চাঁদা দিতে পারবোনা বলাতে তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারকে ছড়িয়ে দিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।আমি এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়,ওই মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আহমেদ এর পরিবারের সদস্যরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘরে বসবাস করছে।এবিষয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আহমেদের বোন ফাতেমা বেগম বলেন,আমরা ঘরে আছি,কোন প্রয়োজন হলে বাহিরে যাই।কিন্তু আপনারা কারা? তাঁর এমন প্রশ্নের জবাবে আমরা সাংবাদিক পরিচয় দিলে ফাতেমা বলেন,গত রমজান মাসে আমাদের বাড়ি এলাকায় চেয়ারম্যান যাকাতের কাপড় বিতরণ করতে আসছিল,আমার ছেলে মোঃ বশির তখন আমাদের যাকাতের কাপড় লাগবেনা বলাতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের গালি দেয়,এই বিষয়ে ঝামেলা হয়েছে।এসময় কিছু লোকজন আমাদেরকে মারধর করেছে এসব কথা বললেও তারা সবসময় বসতঘরে শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না বলে স্বীকার করেন ফাতেমা।
এসময় পার্শ্ববর্তী পরিবারের আব্দুর রশিদের স্ত্রী মমতাজ বেগম এবং আব্দুল খালেকের স্ত্রী ছেমন আরা বেগম,মোঃ শাকিলসহ বেশ কয়েকজন লোক বলেন,তাদেরকেতো সময় ঘরে থাকে দেখেছি এবং এখনো আছে।চেয়ারম্যানের ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এমন কথাতো আমরা শুনিনাই।তারাওতো কখনো এলাকার কাউকে এধরণের কোন কথা বলেনাই।ঘর ছেড়ে তারা পালিয়ে বেড়াবে কেন?তাতো আমরা বুঝতে পারছিনা। ফাতেমা বেগম এবং তার ছেলে বশির আহমদসহ সবাইকেত আমরা ঘরে থাকতে দেখতেছি।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ
