বাঁশখালীতে শঙ্খের ভাঙনে পুকুরিয়াতে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতঘর

টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার জনসাধারণ। শঙ্খ নদীর ভাঙনে আতংকে রয়েছে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ। ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের তেচ্ছিপাড়া এলাকায় ভাঙন শুরু হলে আতংকে নির্ঘুমে রাত কাটাচ্ছে ওই এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবার। দ্রুত ভাঙন রোধ করতে না পারলে যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে পুরো এলাকা, এমন আতংক বিরাজ করছে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য স্থানীয় লোকজন প্রতিনিয়ত জোরালো দাবি জানালেও বাঁধ নির্মাণের কাজ যথাযথ হয়নি বলে অনেকের অভিযোগ। তাছাড়া টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় পানিবন্দি হয়ে উপকুলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।
উপজেলার গণ্ডামারা, শীলকূপ, ছনুয়া, শেখেরখীল, পুঁইছড়িসহ উপকুলীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকার লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ওই সব এলাকার কৃষক ও মৎস্য চাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা। উপকুলীয় এলাকার জলকদর খালটির দুই পাশের বাঁধ সংস্কার না হওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। তাছাড়া বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী উপকুলীয় এলাকা ছনুয়া, শেখেরখীল, পুঁঁইছড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ার দৃশ্য নিত্যনৈমিত্তিকে পরিণত হয়েছে। ফলে ওই সব এলাকার রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
পানিবন্দি হয়ে আছে পুরো গণ্ডামারা এলাকার কয়েক হাজার হাজার মানুষ। পানি চলাচলের অধিকাংশ কালভার্ট নষ্ট হয়ে পড়া ও এস আলম পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের জন্য বালু ভরাট করে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে ওই এলাকার রাস্তাঘাটে হাঁটু পরিমাণ জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। পুকুর ও মৎস্য প্রজেক্টসহ ফসলি জমি পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক ফসলি জমি ও মৎস্য চাষি। এমতাবস্থায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং জলকদর খালের দুপাশ থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদপূর্বক খালটি খনন করে উভয় পাশের বাঁধ নির্মাণ করে দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান উপকূলীয় এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
এ ব্যাপারে পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, টানা বর্ষণ ও জোয়ারের স্রোতে শঙ্খ নদীর ভাঙনে মানুষের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পুকুরিয়াতে সরেজমিনে তদন্তকালে তেচ্ছিপাড়া এলাকায় নদীর তীরে অবস্থিত বেশ কয়েকটি বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
স্থানীয় রশিদ আহমদ, ফজল করিম, মীর আহমদ, পারভিন আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি বসতঘর পানিতে ডুবে গেছে। তাই ওই ঘরগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান তারা।
এমএসএম / জামান

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন
