নাচোলে খাবার পানির তীব্র সংকটে ৩৯ পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল বরেন্দ্র অঞ্চলের একটি উপজেলা। বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর নিচে নামছে। এ কারণে গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির তীব্র সংকটে পড়তে হয় নাচোল উপজেলার অনেক এলাকাবাসীকে। কৃষকদেরও পড়তে হয় সেচ সংকটে। এবার চরম খাবার পানির সংকটে পড়েছে উপজেলার ৩৯টি পরিবার। ওই পরিবারগুলোর পানি সংকট এক-দেড় যুগ ধরে চলে এলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
পানির সংকটে থাকা ৩৯ পরিবারের অবস্থান নেজামপুর ইউনিয়নের ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডে। এরমধ্যে পল্টন পুকুরের পশ্চিমে রেলঘুণ্টি নামক জায়গায় ১০টি, রাওতাড়া গ্রামে ৯টি, দক্ষিণ চণ্ডীপুর ঈদগাহ পাড়ায় ৮টি ও নেজামপুর রেলক্রসিং পার হয়ে সামান্য পশ্চিমে ১২টি পরিবারের বসবাস। বেশিরভাগ পরিবারই নিম্নআয়ের। কারো পক্ষেই নিজ উদ্যোগে মোটরচালিত পাম্প বা টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয়নি।
এই ৩৯ পরিবারের জন্য নেই খাবার পানির ব্যবস্থা। আবার হয়তো যেসব মোটর থেকে খায়, সে জায়গা আয়ত্তের বাইরে বলে অনেক হয়রানি হতে হয়। ইউনিয়নের আরো অনেক জায়গায় খাবার পানির সমস্যা দেখা দিলেও চরম সংকটে রয়েছে এই ৩৯ পরিবারের প্রায় ২৩৫ জন মানুষ। প্রতিদিনই এসব পরিবারের সদস্যদের আধা কিলোমিটার থেকে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। করোনাকালে দলবদ্ধভাবে পানি সংগ্রহ করতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হলেও জীবন বাঁচানোর তাগিদে প্রতিদিনই এভাবে তাদের পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
সরেজমিন কথা হয় ওই ৩৯ পরিবারের ভুক্তভোগীদের সাথে। তারা জানান, এই ৩৯ পরিবারের পানির সংকট কারো এক যুগ, কারো দেড় যুগ, কারো ১৫-২০ বছর পার হতে চলেছে। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো মোটর বা টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়নি সমস্যা সমাধানে। তারা আরো জানান, এই সময়কালে ওয়ার্ড মেম্বার থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছেও বারবার যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ আমাদের পানি সংকটের সমাধানে এগিয়ে আসেননি।
রাওতাড়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের স্ত্রী মোসা. হাবিবা বেগম জানান, আমাদের বসবাস প্রায় দুই ২০ বছর, গ্রামে কয়েকটি মোটর থাকলেও আমাদের এখানে ৯টি ঘর মসজিদের মোটর থেকে পানি খেয়ে থাকি। এতে অনেকে অনেক কথা বলে থাকেন। ইতোমধ্যে মসজিদের মোটর কয়েকবার নষ্ট হলে পানি সংগ্রহে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাদের।
দক্ষিণ চণ্ডীপুর ঈদগাহ পাড়ার মনোয়ারা বেগম বলেন, এই পাড়ায় আমরা ৮টি পরিবার এক যুগ হলো পানির সংকটে আছি। আমরা গ্রামের শেষ মাথায় অনেকখানি হেঁটে মসজিদের মোটর থেকে পানি খেয়ে থাকি। নেজামপুর রেলক্রসিং পশ্চিমপাড়ার রহিমের স্ত্রী মোসা. দুলভ বেগম জানান, আমরা প্রথমত টিউবওয়েল থেকে পানি খেতাম। এখন নষ্ট হয়ে গেছে। ভালো করেও আর পানি পাই না। অনেক দিন যাবৎ কষ্ট করে অন্যের মোটর থেকে পানি এনে খাচ্ছি।
রেলঘুণ্টি পাড়ার মো. সইবুরের স্ত্রী মোসা. উজলেফা বেগম জানান, ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিদিনই আমাদের পানি সংগ্রহ করতে হয়। আমরা গরিব মানুষ, তাই নিজ খরচে মোটর বসাতেও পারছি না। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলেন, আমাদের মতো গরিব মানুষের কষ্ট দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে কথা হয় নেজামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার তাজ উদ্দিন ফটিকের সাথে। ৩৯টি পরিবারের খাবার পানি সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখন তো আমাদের সময় শেষ। বরাদ্দ নেই, সামনে আবার মেম্বার হলে সমস্যাগুলো সমাধান করব।
নেজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক জানান, আমার কাছে এলেও স্মরণ নেই। তবে তারা এখন যোগাযোগ করলে সামনে বরাদ্দ পেলে বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করব।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের জানান, আমার কাছে কেউ কোনোদিন আসেনি। আমার সাথে দেখা করলে সামনে বাজেট এলে বিষয়গুলো সমাধান করার ব্যবস্থা নেব।
এমএসএম / জামান

কালীগঞ্জে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) জশনে জুলুছ উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা

সুবর্ণচরে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৩১ দফা জাতির একটি মহাসংস্কারক: ব্যারিস্টার ইউসুফ

নেত্রকোণায় তামাক আইন শক্তিশালী করার দাবিতে অবস্থান ও মানববন্ধন

গোদাগাড়ী থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী ঢাকা থেকে উদ্ধার,মূলহোতাসহ ২ জন গ্রেফতার

মগধরা স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন অধ্যক্ষ এস এম আবুল হাশেম

নির্দেশনার ৪ দিন পরেও উত্তরাঞ্চলে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু

কোটালীপাড়ায় বিএনপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী

মানিকগঞ্জে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত-২

মধুখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সংবর্ধনা

বালিয়াকান্দিতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

জুড়ীতে রাবারড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি'র নির্বাচন
Link Copied