ঢাকা মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নাচোলে খাবার পানির তীব্র সংকটে ৩৯ পরিবার


নাসিম, নাচোল photo নাসিম, নাচোল
প্রকাশিত: ৩১-৭-২০২১ দুপুর ৪:০
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল বরেন্দ্র অঞ্চলের ‍একটি ‍উপজেলা। বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রতি বছর নিচে নামছে। এ কারণে গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির তীব্র সংকটে পড়তে হয় নাচোল উপজেলার অনেক এলাকাবাসীকে। কৃষকদেরও পড়তে হয় সেচ সংকটে। এবার চরম খাবার পানির সংকটে পড়েছে উপজেলার ৩৯টি পরিবার। ওই পরিবারগুলোর পানি সংকট এক-দেড় যুগ ধরে চলে এলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। 
 
পানির সংকটে থাকা ৩৯ পরিবারের অবস্থান নেজামপুর ইউনিয়নের ৩ ও ৪নং ওয়ার্ডে। এরমধ্যে পল্টন পুকুরের পশ্চিমে রেলঘুণ্টি নামক জায়গায় ১০টি, রাওতাড়া গ্রামে ৯টি, দক্ষিণ চণ্ডীপুর ঈদগাহ পাড়ায় ৮টি ও নেজামপুর রেলক্রসিং পার হয়ে সামান্য পশ্চিমে ১২টি পরিবারের বসবাস। বেশিরভাগ পরিবারই নিম্নআয়ের। কারো পক্ষেই নিজ উদ্যোগে মোটরচালিত পাম্প বা টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয়নি। 
 
এই ৩৯ পরিবারের জন্য নেই খাবার পানির ব্যবস্থা। আবার হয়তো যেসব মোটর থেকে খায়, সে জায়গা আয়ত্তের বাইরে বলে অনেক হয়রানি হতে হয়। ইউনিয়নের আরো অনেক জায়গায় খাবার পানির সমস্যা দেখা দিলেও চরম সংকটে রয়েছে এই ৩৯ পরিবারের প্রায় ২৩৫ জন মানুষ। প্রতিদিনই এসব পরিবারের সদস্যদের আধা কিলোমিটার থেকে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। করোনাকালে দলবদ্ধভাবে পানি সংগ্রহ করতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হলেও জীবন বাঁচানোর তাগিদে প্রতিদিনই এভাবে তাদের পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। 
 
সরেজমিন কথা হয় ওই ৩৯ পরিবারের ভুক্তভোগীদের সাথে। তারা জানান, এই ৩৯ পরিবারের পানির সংকট কারো এক যুগ, কারো দেড় যুগ, কারো ১৫-২০ বছর পার হতে চলেছে। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো মোটর বা টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়নি সমস্যা সমাধানে। তারা আরো জানান, এই সময়কালে ওয়ার্ড মেম্বার থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছেও বারবার যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ আমাদের পানি সংকটের সমাধানে এগিয়ে আসেননি।
 
রাওতাড়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের স্ত্রী মোসা. হাবিবা বেগম জানান, আমাদের বসবাস প্রায় দুই ২০ বছর, গ্রামে কয়েকটি মোটর থাকলেও আমাদের এখানে ৯টি ঘর মসজিদের মোটর থেকে পানি খেয়ে থাকি। এতে অনেকে অনেক কথা বলে থাকেন। ইতোমধ্যে মসজিদের মোটর কয়েকবার নষ্ট হলে পানি সংগ্রহে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাদের।
 
দক্ষিণ চণ্ডীপুর ঈদগাহ পাড়ার মনোয়ারা বেগম বলেন, এই পাড়ায় আমরা ৮টি পরিবার এক যুগ হলো পানির সংকটে আছি। আমরা গ্রামের শেষ মাথায় অনেকখানি হেঁটে মসজিদের মোটর থেকে পানি খেয়ে থাকি। নেজামপুর রেলক্রসিং পশ্চিমপাড়ার রহিমের স্ত্রী মোসা. দুলভ বেগম জানান, আমরা প্রথমত টিউবওয়েল থেকে পানি খেতাম। এখন নষ্ট হয়ে গেছে। ভালো করেও আর পানি পাই না। অনেক দিন যাব‍ৎ কষ্ট করে অন্যের মোটর থেকে পানি এনে খাচ্ছি।
 
রেলঘুণ্টি পাড়ার মো. সইবুরের স্ত্রী মোসা. উজলেফা বেগম জানান, ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিদিনই আমাদের পানি সংগ্রহ করতে হয়। আমরা গরিব মানুষ, তাই নিজ খরচে মোটর বসাতেও পারছি না। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলেন, আমাদের মতো গরিব মানুষের কষ্ট দেখার কেউ নেই। 
 
এ বিষয়ে কথা হয় নেজামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার তাজ উদ্দিন ফটিকের সাথে। ৩৯টি পরিবারের খাবার পানি সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। 
 
৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখন তো আমাদের সময় শেষ। বরাদ্দ নেই, সামনে আবার মেম্বার হলে সমস্যাগুলো সমাধান করব।
 
নেজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক জানান, আমার কাছে এলেও স্মরণ নেই। তবে তারা এখন যোগাযোগ করলে সামনে বরাদ্দ পেলে বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করব।
 
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের জানান, আমার কাছে কেউ কোনোদিন আসেনি। আমার সাথে দেখা করলে সামনে বাজেট এলে বিষয়গুলো সমাধান করার ব্যবস্থা নেব।

এমএসএম / জামান

চুরি করে আনা প্রাইভেট কারে ছিল বিপুল পরিমান মাদক

বিগত সরকারের শাসনামলের ১৫ বছর আতঙ্কের ভিতর কাটিয়েছিঃ অভি

ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা খোকন গ্রেফতার

মেডিক্যাল চান্স পাওয়া পাবনার শিক্ষার্থী মেঘলার সব দায়িত্ব নিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক

উলিপুরে নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

গলাচিপায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

মান্দায় ভারতীয় জাল রুপিসহ আ.লীগ নেতা আটক

সিলেটে ২ দিনে ১ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ

চন্দনাইশে আটককৃত পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ভুরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসায় ভোগান্তি বন্ধে মানব বন্ধন

আপনারা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে না পারলে, যারা পারবে তাদের পথ সুগম করেন: দুদু

খানসামায় নদীর বালু হরিলুট করছে ইউপি সদস্য