পাওয়ানা টাকা চাওয়াতে শ্রমিককে একবস্ত্রে দেশে ফেরত হুন্ডি তৌহিদ

দীর্ঘ ৫ বছর যাবত ওমান প্রবাসে তৌহিদুল আলম (প্রঃ হুন্ডি সাদেক) নামের এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর শ্রমিক চাকরি করে বেতন বাবত পাওয়ানা টাকা চাওয়াতে গলাধাক্কা দিয়ে দোকান থেকে বের করে দেয়ার পর ভিসা ক্যানসেল করে মোঃ তফসির নামের এক শ্রমিককে ওমান থেকে একবস্ত্রে দেশে পাঠিয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ওমানে থাকা এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওয়ানা টাকা চাওয়াতে দোকান কর্মচারীকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার পর ভিসা ক্যানসেল করে একবস্ত্রে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মর্মে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
ভুক্তভোগী(শ্রমিক) তফসিরের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সেলিমুর রহমানের পুত্র তৌহিদুল আলম নামের এক লোক ওমানে হামিরিয়াতে থাকে।সেই সুবাদে কুতুবদিয়ার মৃত্যু মওলানা নুরুল আলমের ছেলে তফসির নামের এক যুবককে লেবার (শ্রমিক) ভিসার মাধ্যমে তার দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতে বিগত ১৩ মে ২০১৮ সালে ওমান প্রবাসে নিয়ে যায় অভিযুক্ত তৌহিদ।আর হামিরিয়াতে হুন্ডি সাদেক নামে বেশ পরিচিত তৌহিদ।সে ওমান প্রবাসে থেকে দীর্ঘদিন জমজমাট হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।এরই মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে তার দোকানে মাসিক বেতনে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলো শ্রমিক তফসির।
শ্রমিকরতফসির বলেন,অভিযুক্ত তৌহিদুল আলম আমার আপন মামাতো ভাই এবং তার বাবা সেলিমুর রহমান আমার আপন মামা হয়,ওমানের হামিরিয়া এলাকায় তৌহিদ হুন্ডি ব্যবসা করে,সেই সুবাদে (হুন্ডি সাদেক)বেশ পরিচিত।দীর্ঘ ৫ বছর যাবত তার ওই দোকানের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলাম।এতে আমার সর্বমোট বেতন বাবত ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৬শ টাকা তার কাছ পাওয়ানা হই।উক্ত টাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে তার বাবা সেলিমুর রহমান (আমার মামা)'র মাধ্যমে আমার মা'র কাছে আমার বেতন বাবত সর্বমোট ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করিলেও আমার বেতনের পাওয়ানা বাবত আরো ৯ লাখ ৪ হাজার ৬০০ টাকা অদ্যবদি পর্যন্ত তৌহিদুল আলম ওরফে হুন্ডি (সাদেক)পরিশোধ করেনাই।তাই আমি তার কাছ থেকে পাওয়ানা টাকা দাবি করাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে একাধিক বার শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে।এরই মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে অভিযুক্ত তৌহিদ তার এক শালককে ওই দোকানের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কিছু দিন পর সে আমাকে তার দোকান থেকে বের করে দিয়েছে,এমনকি তার বাসায় পর্যন্ত আমাকে ঢুকতে দেয়নাই।
এছাড়াও (কফিল)কে আমার বিরুদ্ধে ভূল বুঝিয়ে দিয়ে গত ২ জানুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখে কফিল আমাকে ডাকা পাঠিয়েছে বলে আমাকে ধরে কফিল (মালিক)'র কাছে নিয়ে যায় অভিযুক্ত তৌহিদ।এতে আমি কিছু বুঝে না উঠতেই তৌহিদ এবং আমার কফিলসহ গাড়ীতে করে আমাকে বিমান বন্দরে নিয়ে যায়,ওই তারিখেই আমার ভিসা (ক্যানসেল)করে আমার মোবাইলসহ ছিনিয়ে নিয়ে একবস্ত্রে এমনকি আমাকে দেশে ফেরত পাঠানোর পর আমার পাওয়ানা টাকা পরিশোধ করার পরিবর্ত আমি তাদের দোকান থেকে টাকা আত্মসাৎ করে চলে এসেছি মর্মে উল্টো মিথ্যা অভিযোগ করেছে।এতে আমি ও আমার পরিবারের হয়রানীর কোন অন্ত নেই।
দেশে ফেরত আসার পর ছোট মামা আতিক এবং চাচাতো মামা শাহাজাহান ও খালোকে অবহিত করিলে অভিযুক্ত সেলিমুর রহমানকে নিয়ে বৈঠক করে,এতে বৈঠকের ১০ দিনের মধ্যে তফসির নামের ওই শ্রমিকের পাওয়ানা টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়।ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক টাকা পরিশোধ করার আশ্বাস দিলেও পরে ওই পাওয়ানা টাকা পরিশোধের পরিবর্তে দোকান থেকে টাকা আত্মসাৎ করে দেশে চলে আসছে বলে মিথ্যা অযুহাতে উল্টো অভিযোগ করে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে বলেও জানান অসহায় তফসির।এধরনের মিথ্যা হয়রানি থেকে বাঁচতে এবং অভিযুক্ত তৌহিদের কাছ থেকে ওই শ্রমিকের পারিশ্রমিক বাবত পাওয়ানা টাকা উদ্ধারের জন্যে সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে গত শনিবার কুতুবদিয়া থানায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি দায়ের করে তফসীর।
অভিযুক্ত তৌহিদের চাচা আতিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন,তৌহিদ আমার ভাইপোত এবং তফসির আমার ভাগিনা হয়।তফসির ওমানে তৌহিদের দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত,তৌহিদ সেখানে হুন্ডি ব্যবসা করতো, আর সে বিভিন্ন সময় ওইসব টাকা পাঠাইতো তৌহিদের বাবা এবং বিভিন্নজনকে দেওয়ার জন্যে কিন্তু কিসের টাকা সেটা আমিও জানতামনা,পরে জানতে পারি যে, ওইসব হুন্ডির টাকা।যাইহোক তৌহিদের দোকানে চাকরি করতো তফসির।মাসিক বেতনের টাকা থেকে প্রতিমাসে তফসিরের মা'র কাছে বাংলা ৬/৭ হাজার করে পাঠাইতো তৌহিদ,অবশিষ্ট টাকা তফসিরের ভবিষ্যতের জমা রাখার কথা বলে আটকে রাখতো তৌহিদ।ওইসব টাকা পরে এক সাথে দিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দিলেও টাকা না দিয়ে ভিসা ক্যানসেল করে দেশে পাঠানোর পর পাওয়ানা পরিশোধ করার পরিবর্তে উল্টো তাফসীরে বিরুদ্ধে অভিযোগ করে হয়রানি করে যাচ্ছে তৌহিদ।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিমুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,তফসীর আমার ছেলে তৌহিদের দোকানে চাকরি করতো কিন্তু সে কোন হিসেব না দিয়ে দোকান থেকে দেশে চলে আসছে। কিসের হিসেব? জানতে চাইলে প্রথমে আমতা আমতা করে,পরে তার ছেলে তৌহিদের হুন্ডি ব্যবসার কথা অস্বীকার করলেও তার ছেলে ওমানে বিকাশ এবং কার্গো মালামালের ব্যবসা করতো ওইসব হিসাব বলে এড়িয়ে যায় সেলিমুর।এরপর পরই প্রতিবেদকের মোবাইলে হঠাৎ সংবাদকর্মী পরিচয়ে একজন ফোন দিয়ে প্রতিবেদককে বলেন যে, তাফসীরের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত ৩ টি অভিযোগ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ করা হবে মর্মেও হুমকি দেন ওই সাংবাদিক।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ
