দুর্নীতির বরপুত্র সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামির প্রতিনিধির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ হচ্ছে

পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের দ্বায়িত্ব পালন কালে সীমাহীন দূর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগে অভিযুক্ত ততকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এখন বিএনপির সাথে সমঝোতা করে ধীরে ধীরে খালেদা জিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। আজ ১১ জুন সকাল ১১টায় সৈয়দ আবুল হোসেনের বানিজ্যিক কার্যালয়ে সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় তিনি বিএনপি নেতা সাংবাদিক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহামুদুর রহমানের স্টাফ সৈয়দ আবদালের সাথে একান্ত আলাপে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। রাজধানীর পান্থপথের ইউটিসি ভবনে আজ তার নির্বাচনী আসনের অনেক আওয়ামী লীগের সাবেক নেতারা আসলেও তাদের সাথে কথা বলেনি। সাবেক এই মন্ত্রী সৈয়দ আবদাল আহমেদের সাথে ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করে দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে ওই ভবনের ভিআইপি লিফটে তিনি আবদাল আহমেদকে নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে যায়।
মাদারীপুরের রাজনৈতিক কর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছ সৈয়দ আবুল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে এখন বিএনপি মুখি হচ্ছে। সৈয়দ আবুল হোসেনের কার্যালয়ে অপেক্ষেয়মান মাদারীপুরের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছেন সৈয়দ আবুল হোসেন ব্যবসা বানিজ্য বাদ দিয়ে এখন নিয়মিত বিএনপি নেতাদের সাথে বৈঠক করে। তার গুলশানের বাসা এখন বিএনপির কার্যালয়ে পরিনত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই রাজনৈতিক নেতা। তিনি বলেন সকাল ৮টায় অফিসে এসে ১১/১২টায় বেরিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক ভাবে খালেদা জিয়ার দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সাথে লান্স করে প্রতিদিন। বিএনপির সাথে এমন রাজনৈতিক সখ্যতা কবে থেকে শুরু জানতে চাইলে ওই নেতা বলেন সৈয়দ আবুল হোসেন মূলতঃ এরশাদের লোক, মাঝখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে থাকলেও তিনি দল থেকে বার বার ছিটকে পরছে। অনিয়ম দুর্নীতি তার পিছু ছাড়ছে না। পর পর দুবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে সৈয়দ আবুল হোসেন এখন নিরাশাজনক ভাবে বিএনপি মুখি হচ্ছে। একটাই লক্ষ তাকে আবারও এমপি ও মন্ত্রী হতেই হবে।
বিএনপির আমলা এখন সৈয়দ আবুল হোসেনের কামলা
অনুসন্ধানে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সরকারের শুরুতে ওএসডি হওয়া সরকারের একজন আমলা দীর্ঘদিন ধরে সৈয়দ আবুল হোসেনের চাকুরী করে আসছে। ওএসডি হওয়া গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মান্নানের ডিউটি সৈয়দ আবুল হোসেনের সকল বই পত্র লিখে দেয়া। সৈয়দ আবুল হোসেন সেই নকল লেখা দিয়ে বই প্রকাশ করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়। মোটা মোটা ১০টিরও বেশি বই আছে সৈয়দ আবুল হোসেনের নামে। এর মধ্যে ৪টি বই আছে যেখানে আবুল হোসেনের পরিচিত কিছু লোকের মন্তব্য। লম্বা লম্বা সেই মন্তব্য লেখা আছে- "সৈয়দ আবুল হোসেন পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতি করেনি"।
সৈয়দ আবুল হোসেনের সাথে মুখোমুখি হয়ে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন "আমি কথাই বলবো না"। দুই সৈয়দ অর্থাৎ রাষ্ট্রদোহী মামলার আসামির প্রতিনিধি সৈয়দ আবদাল আহমেদকে নিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেন যখন লিফটে দিকে যাচ্ছিলেন তখন দৈনিক সকালের সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি শামীম আহমদ তার মুখোমুখি হলে তিনি কোন কথার উত্তর দেবেন না বলে জানান। সৈয়দ আবদাল আহমেদের সাথে ঘন্টাব্যাপী বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করলে তার অফিসের একজন নিন্মপদস্থ কর্মচারী বলেন এসব নিয়ে আমরা কিছু বলতে পারবো না।
সৈয়দ আবুল হোসেনের নির্বাচনী আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপের কাছে জানতে চাইলে তিনি সৈয়দ আবুল হোসেনের বিষয়টি নিয়ে বিস্মিত হয়ে বলেন তার রাজনৈতিক এতোটাই দুর্দশা যে এখন বিএনপির দ্বারস্থ হতে হলো। বিএনপি একটা সন্ত্রাসী সংগঠন তাদের সাথে সৈয়দ আবুল হোসেনের বৈঠকে করা যুক্তিসঙ্গত নয় বলেও জানান এই সাংসদ।
এমএসএম / এমএসএম

মান্দায় অবৈধ ইট গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পাবনায় ছাত্র আন্দেলনের সময় দু’ছাত্র হত্যকারী সেই আ.লীগ নেতা সাঈদ চেয়ারম্যানের ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

ধর্ষকের শাস্তি চেয়ে শিবগঞ্জে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা

চিলমারীতে মহাসড়কের পাশে অবৈধ ভাবে চলছে জ্বালানী তেল বিক্রি

পটুয়াখালীতে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী গ্রেফতার

আইনশৃঙ্খলা অবনতির দায় নিয়ে ইউনুস সরকারের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদল নেতার

রাণীশংকৈলে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

শ্রীপুরে চার বছরের শিশুর গায়ে সৎ বাবার গরম ছুরির ছ্যাঁকা

দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে : লুনা

বাউফল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল

কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ
