এসআই’র বিচক্ষণতায় খুনি ধরা
স্ত্রীকে হত্যা করে দুর্ঘটনার নাটক
স্ত্রী নীনা খানকে হত্যা করে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিচ্ছিলেন গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। তিনি অনেকটা সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু রামপুরা থানার এসআই মমিনুর রহমানের বিচক্ষণতায় তিনি পার পাননি। এখন তিনি কারাগারে আছেন।
জানা গেছে, রাজধানীর পূর্ব হাজীপাড়ায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন গিয়াস উদ্দিন ও স্ত্রী নীনা খান। কিছুদিন আগে সকালের নাস্তা শেষে গিয়াস উদ্দিন খিলক্ষেত যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। এক পর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন স্ত্রী নীনা খানের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন। তিনি গ্যাসের চুলার চাকতি (পাত্র বসানোর অংশ) দিয়ে স্ত্রীর মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করতে থাকেন। এতে মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। কিছুক্ষণ পর মারা যান তিনি। এই হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য নীনা খানের মুখমণ্ডল গ্যাসের চুলায় পুড়িয়ে দেন। সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে নাটক সাজিয়ে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাকে নিয়ে যান। ডাক্তার পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেন- হাসপাতালে নেওয়ার অনেক পূর্বে নীনা খান মারা গেছে।
আপাতত দৃষ্টিতে দুর্ঘটনা মনে হলেও সন্দেহ হয় রামপুরা থানার এসআই মমিনুর রহমানের। তিনি তদন্ত শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি গিয়াস উদ্দিনকে আটক করেন। শুরু করেন জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদে গিয়াস স্ত্রী নীনা খানকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। পরে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। মামলা নং ০৯। তারিখ ০৯-৬-২০২৩।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১২ বছর আগে নীনা খানের (৪৩) সঙ্গে গিয়াস উদ্দিনের বিয়ে হয়। টুকিটাকি বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হত। ইতিপূর্বেও আসামি গিয়াস উদ্দিন তার স্ত্রীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। নীনার পরিবার বিষয়টিকে মিমাংসা করে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ গিয়াস উদ্দিন অঙ্গিকার করেছিলে- আর কখনও মারামারি করবেন না। গিয়াস উদ্দিন অন্য মেয়েদের নিয়ে ঘোরাফেরা করতেন। প্রতিবাদ করলে নীনার ওপর নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ। সহ্য করতে না পেরে পরিবারকে বিষয়টি জানাতেন নীনা।
সূত্র জানায়, গিয়াস উদ্দিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি স্ত্রী হত্যার আদ্যোপান্ত আদালতকে বলেছেন। বর্তমানে আসামি জেল-হাজতে আছেন। রামপুরা থানার পূর্ব হাজীপাড়া ৪৮/৬/এ বিসমিল্লাহ টাওয়ারের ২য় ফ্লাটে থাকতেন তারা। ওই ফ্ল্যাটটি নীনা খানের বলে দাবি করেছেন তার স্বজনরা। তিনি চাকরির টাকায় ফ্লাট ও জমি কিনেছেন এবং ব্যাংকে টাকা আছে। সব সম্পদ গ্রাস করার জন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দুর্ঘটনার নাটক সাজাতে চেয়েছিলের গিয়াস উদ্দিন।
এসআই মমিনুর বলেন, তিনি অপমৃত্যু মামলাটি তদন্ত করছিলেন। কিন্তু আলামত এবং পারিপাশ্বিক অবস্থা দেখে তার সন্দেহ হয়। তার মনে হচ্ছিল নীনা খানকে হত্যা করা হয়েছে। গিয়াস উদ্দিনের কথা অসংলগ্ন ছিল। তার মনে হচ্ছিল এটি হত্যাকাণ্ড; দুর্ঘটনা নয়। তিনি গিয়াস উদ্দিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রথমে তিনি স্বীকার করেননি। একপর্যায়ে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতে তিনি নীনা খানকে হত্যার কথা স্বীকার জবানবন্দী দেন।
এমএসএম / এমএসএম
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার