ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

টুং টাং শব্দে মুখরিত রাণীশংকৈলের কামার পাড়া


মাসুদ রানা লেমন, রাণীশংকৈল photo মাসুদ রানা লেমন, রাণীশংকৈল
প্রকাশিত: ২৬-৬-২০২৩ দুপুর ৩:৩

আর মাত্র তিন দিন পরেই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলের কামারপট্টিতে বেড়েছে ব্যস্ততা। অধিকাংশ দোকানের ভেতর থেকে ভেসে আসা হাতুড়ি দিয়ে লোহা পেটানোর টুং টাং শব্দে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে।

রোজার ঈদের এক মাস পর থেকেই কামাররা কোরবানির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। আগে ১২ ঘণ্টা কাজ করলেও কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসায় এখন টানা ১৪-১৫ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে তাদের। মাঝে শুধু খাওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছেন তারা। ক্রেতাদের চাহিদানুসারে সরবারহ স্বাভাবিক রাখতেই তাদের এ অক্লান্ত পরিশ্রম। 

কামারপট্টিতে প্রতিটি দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে কোরবানির পশু জবাই ও গোশত কাটার বিভিন্ন আকারের দা, বটি, ছুরি, চাপাতি, কুড়াল। অনেকে আবার দোকানের সামনে বসে এসব সরঞ্জাম ধারালো করতে শান দেওয়ার কাজ করছেন। দোকানের পাশ দিয়ে কেউ গেলেই ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করছেন, কী লাগবে ? টুকটাক যেসব ক্রেতা আসছেন তাদেরকে চাহিদা অনুযায়ী সরঞ্জাম দেখাচ্ছেন, দামাদামি করছেন। সবমিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কামার ও বিক্রেতারা। সোমবার (২৬ জুন) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন কামারশালায় দেখা যায়, কারিগররা উত্তপ্ত লোহাকে পিটিয়ে নির্দিষ্ট রূপ ‍দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময় পর ঠান্ডা করে ধারালো করছেন।

প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলেও জানায় এই উপজেলার কামাররা। সারা বছর কমবেশি লোহার কাজ করলেও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বৃদ্ধি পায় কামারদের কর্মব্যস্ততা। ভোর থেকে শুরু করে গভীররাত অবধি চলছে তাদের রকমারি কর্মযজ্ঞ।

ক্রেতারা বলেন “আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে দা,বটি, চাকু ও ছুরির প্রয়োজন। এজন্য বাজারে দা, বটি ও ছুরি কিনতে এসেছি । তবে গতবছরের চেয়ে এবার দাম খানিকটা বেশি।”

লোহার তৈরী জিনিপত্র পাইকারী বিক্রেতারা বলেন, “সারাবছরই তারা দা, বটি, চাকু, ছুরি বিক্রি করি। তবে কোরবানির মৌসুমেই এসব সরঞ্জামের কেনা-বেচার ধুম পড়ে। এবারও ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়লা ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় কামারদের কাছ থেকে বেশি দামে এসব জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। যার ফলে কিছুটা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাণীশংকৈল পৌর শহরের হাটখোলা এলাকার কামার মো. বাবুল হোসেন বলেন, বাপ-চাচার ঐতিহ্য সূত্রে অনেক বছর ধরে এই কাজ করে আসছি। বছরের অন্য দিনগুলোতে তেমন কাজ থাকে না। কিন্তু কোরবানির ঈদ এলে কাজের চাপ বেড়ে যায় প্রতিবছর।

কামাররা দৈনিক সকালের সময়কে জানায়, দা আকৃতি ও লোহাভেদে ২০০- ৫০০ টাকা, ছুরি ১০০-৪০০ টাকা, চাকু প্রতিটি সর্বোচ্চ ৫০-৫০০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি প্রতিটি ৫০০-৮০০ টাকা এবং পুরানো দা, বটি, ছুড়ি শান দিতে বা লবণ-পানি দিতে ৫০-১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।

এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে দাড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত হেলপার

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কুষ্টিয়ায় মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত

রায়পুরে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদে ধীরগতি

জমির জন্য বৃদ্ধ দম্পতিকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

শ্রীপুর পৌর শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আত্রাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানকে সংসদীয় ৫ আসনে উপহার দিতে মীর হেলাল উদ্দিনের বিকল্প নাই -গিয়াস উদ্দীন

১৪৫ কোটি টাকার ফেরিঘাটে নেই ফেরি, সরকারের নতুন চিন্তা

জলবায়ু পরিবর্তনের ছোবল: স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সন্দ্বীপে কর্মশালা

টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি সংযোগ খাল কচুরিপানায় বন্ধ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী