ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

পাহাড়ে শান্তিচুক্তির পরও অশান্তি বিরাজমান


নুরুল আলম photo নুরুল আলম
প্রকাশিত: ৬-৭-২০২৩ বিকাল ৫:১২

পার্বত্যাঞ্চলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার পরও এখনো পাহাড়ে অশান্তি বিরাজমান রয়েছে। একের পর এক ঘটে যাচ্ছে খুন গুম হত্যা অপহরণ এর মতো ঘটনা। শান্তিচুক্তির ধারা বাস্তবায়ন হলেও পাহাড়ি সংগঠনগুলো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিহার করেনি। এখনো অস্ত্রে ঝনঝনানিতে পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জীবন যাপন করে যাচ্ছে।

একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ১৯৯৭ সালে অর্জিত হয়েছে শান্তিচুক্তি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত হয় কিভাবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব। বৈঠকগুলোতে উপজাতীয় সংগঠনগুলোর কথা শোনার পরে সেগুলো চিহ্নিত করে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য, সম্প্রীতির জন্য, অস্থিতিশীল পরিবেশকে শান্ত করার জন্য যে আলাপগুলো হয়েছিল। তখনকার জাতীয় কমিটিতে ছিলেন, চিফহুইপ জনাব আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি এখন শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান। পরবর্তীতে তাদের আস্থায় আনতে পারার কারণেই উভয়পক্ষের মধ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি হলো, যেটিকে শান্তি চুক্তি বলা হয়। 

শান্তিচুক্তির অর্জন সম্পর্কে সচেতন মহল বলেন, যদিও পার্বত্য অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, কৃষি ক্ষেত্রে কিংবা শিক্ষা ক্ষেত্রে তেমন কোনো উন্নয়ন ছিলনা। এসব উন্নয়ন হয়েছে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর। সুতরাং শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে পাহাড়ের যে শান্তি থাকার কথা সেই শান্তি এখনো দেখা যায়না। এখনো উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রাত্রযাপন করতে হয় এখানকার অসহায় বাঙ্গালিদের। দিনের পর দিন খুন, গুম, অপহরণ এর স্বীকার হয়ে আসছেন পাহাড়ি-বাঙ্গালিরা। এছাড়াও যেকোনো ব্যবসা বানিজ্য করতে গেলেও উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হয়।

শান্তিচুক্তির মূল লক্ষ্য হলো পার্বত্য অঞ্চলের সকল অধিবাসী যাতে তাদের নিজ নিজ ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি পালনের অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে; ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র আমাদের সবার, এই ভাবনা নিয়ে কাজ করে যাওয়ার জন্যই তো চুক্তি হলো। উচ্চতর শিক্ষার জন্য আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ করা হলো। প্রত্যেকটি উপজেলায় কলেজ হয়েছে। এগুলো তো চুক্তির সাফল্য।

পার্বত্যাঞ্চলের বান্দরবানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের কুকিচিন ন্যাশেনাল ফ্রন্ট নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। স্থানীয়দের উপর নির্যাতন গুম, খুন, অপহরণ এমনকি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বানিজ্যের স্থান থেকে চাঁদা দাবি করছে সংগঠনটি। সম্প্রতি কুকিচিন ন্যাশেনাল ফ্রন্টের সন্ত্রাসীরা সেনা সদস্যদের টার্গেট করে হত্যা করছে। একে একে কয়েকবার এই অর্তকিত হামলা চালায় এই সন্ত্রাসী সংঘঠনটি। অথচ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে নিরলস ভাবে। এসকল হামলা এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সচেতন মহল।

সচেতন মহল আরো বলেন, শান্তিচুক্তির শর্ত অনুযায়ী খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে যেদিন অস্ত্র সমর্পণ হলো সেই দিনই বলা হয়েছে, সমস্ত অস্ত্র জমা হয়ে গেছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। সুতরাং এখন যেগুলো দেখা যায় সেগুলো বৈধ নয়, অবৈধ। সেই অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সরকার যেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে এলাকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করা হয়, সরকারের কাছে এই আবেদন থাকলো।

এমএসএম / এমএসএম

মধুখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে লাল পতাকা অপসারণ ও জোরপূর্বক জমি দখল

রায়গঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ

ওসমান হাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিএনপির বিক্ষোভ

পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিশুস্বর্গের শীত আনন্দ উৎসব

হাদিকে প্রকাশ্য গুলি করার রাজস্থলীতে বিএনপির উদ্যােগে বিক্ষোভ সমাবেশ

ওসমান হাদির উপর গুলি চালানোর প্রতিবাদে বরগুনায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়কের ওপর গুলি: সীমান্তে টহল ও চেকপোস্ট জোরদার

সিলেট ডিসি অফিসের কোটিপতি পিয়ন সোহেল

শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই : জেলা প্রশাসক কাজী মো: সায়েমুজ্জামান

কোম্পানীগঞ্জে উদয় এইড ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষায় ৪৫০ শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তি ও পুরস্কার

বারহাট্টার প্রকৃতিতে জেঁকে বসছে শীত, জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা

টপ সয়েল কাটায় রায়পুর প্রশাসনের অভিযানে ছয় মাসের কারাদণ্ড

‎কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ল্যাবে ইভনিং শিফট চালু