সাতক্ষীরায় গরুর গোস্ত বিক্রেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

সাতক্ষীরায় মাদকের ‘মিথ্যা’ মামলায় গরুর গোস্ত বিক্রেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে। ব্যাটালিয়ানের ৩৩/সি কোম্পানি কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (জেসিও নং ৯৯৫৬) এর বিরুদ্ধে কাকডাঙ্গা গ্রামের মোঃ তরিকুল ইসলাম (৪২) পিতা- মোঃ আব্দুর রশিদ,কে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
তরিকুল ইসলামের স্ত্রী জোনাকি বেগম বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন,গত ১১ জুলাই কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কেঁড়াগাছি গ্রামের গরুর গোস্ত বিক্রেতা জহিরুলের বাড়ি হতে তরিকুল কে ৩৩/সি কোম্পানির কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (জেসিও নং ৯৯৫৬) তুলে নিয়ে মাদকদ্রব্যএল.এস.ডি বিক্রেতা দেখিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেন।
স্থানীয় ৫ নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য মোসাম্মৎ সাবিলা খাতুন দৈনিক সকালের সময় কে বলেন,তরিকুল ইসলাম একজন গরুর গোশত বিক্রেতা। ঘটনার দিন বিজিবির নায়েব সুবেদার সিদ্দিকুর রহমান পথ দেখানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে তরিকুল ইসলাম কে মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করলে আমি স্ব-শরীরে ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাই।তখন ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান আমাকে মাদক পাওয়ার বিষয়টি জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কলাগাছি গ্রামের, মৃত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী রাশিদা বেগম,তুলি খাতুন,মোঃ সামছু রহমানের স্ত্রী মোছাম্মৎ আবেদা খাতুন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার এর স্ত্রী হালিমা খাতুন সহ অনেকেই বলছেন ঘটনাস্থলে বিজিবি সদস্যরা তরিকুল ইসলামকে তল্লাশি করে সাথে কোন মাদক পায়নি।তাকে ঘটনার দিন জহিরুলের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মাদক মামলার আসামি করা হয়।
তরিকুলের স্ত্রী জোনাকি আক্তার আরো বলেন, আমার স্বামী তরিকুল ইসলাম একজন সহজ সরল ব্যক্তি,কলারোয়া এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ সকল স্থানীয় বাসিন্দারাই জানেন যে আমার স্বামী তরিকুল জহিরুলের কাছ থেকে পাইকারি দামে প্রতিদিন ১০-১২ কেজি গরুর গোস্ত কিনে এলাকায় খুচরা বিক্রি করে।প্রতিদিনের মতো গত১১জুলাই মঙ্গলবার সকালে আমার স্বামী তরিকুল ইসলাম, জহিরুলের বাড়িতে গরুর গোশত আনতে যায়, বিজিবি সিদ্দিকুর রহমান আমার স্বামীকে সন্ত্রাসী কায়দায় ক্যাম্পে তুলে নিয়ে যায় ও অমানুষিক নির্যাতনের পর মাদক দিয়ে আমার স্বামীকে থানায় দিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তরিকুল ইসলাম (৪২) এর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে,তবে তার সাথে যদি মাদক না পেয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে বিজিবির বাহিনী প্রধান কে জানাতে হবে,এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা আলাদা একটি বাহিনী বিজিবি আলাদা একটি বাহিনী।আমরা এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
নায়েব সুবেদার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ( জেসিও নং ৯৯৫৬) এর সাথে এই বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগে মাদক আইনে চারটি মামলা রয়েছে।তবে তরিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে একটি মারামারি মামলা হয়, সেই মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেয়।
জোনাকি আক্তার তার স্বামীর মুক্তি ও মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এমএসএম / এমএসএম

সীমান্তবর্তী চার জেলার থানার সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত

মনোহরদীর রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষামূলক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ত্রিশালে খুচরা সার বিক্রেতাদের আইডি কার্ড বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

অভয়নগরে বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ইজিবাইক চালকের মৃত্যু

রাজশাহীতে সড়ক ও জনপথের কর্মচারী ইউনিয়নের মানববন্ধন

দোহারে তরুণদের মিলনমেলা: অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিজ্ঞা

গোপালগঞ্জে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাভারে দখলবাজির সঙ্গে রাজনৈতিক পরিচয় জড়ানোর অভিযোগ।

লাকসামে অস্তিত্ব সংকটে খেজুর গাছ রস সংগ্রহে ব্যাস্ত গাছিরা

থানার ভেতরে চাঁদা দাবি, না দেওয়ায় সাইনবোর্ড ভাংচুর ও হত্যার হুমকি

৩১ দফা বাস্তবায়নে তাড়াশে লিফলেট বিতরণ ও শো ডাউন

রায়গঞ্জে খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
