ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় শ্রীপুরের চাষিরা


রাশিদুল ইসলাম, শ্রীপুর photo রাশিদুল ইসলাম, শ্রীপুর
প্রকাশিত: ১৬-৭-২০২৩ বিকাল ৫:২৬
মাগুরার শ্রীপুরে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছেন পাটচাষিরা। এরই মধ্যে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। এ বছর পাটের ভালো দাম পেয়ে চাষিরা খুশি হলেও এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ জমির পাটই কেটে জাগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না পর্যাপ্ত পানির অভাবে।
 
কৃষক ও কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এবার আষাঢ় মাসে বৃষ্টি কম হওয়ায় এ অঞ্চলের ডোবা-নালা, খাল-বিলে পানি জমেনি খুব একটা। এ কারণে পাট জাগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনমতো পানি না পেয়ে জমি থেকে পাট কাটতে পারছেন না কৃষক।
 
পাট চাষিরা বলছেন, শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর-ডোবায়সহ বিভিন্ন জায়গায় পানি জমিয়ে পাট জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে করে খরচ অনেক বেশি হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা আছে। পুকুরে মেশিন দিয়ে পানি ভরতে তেল খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ লিটার। একদিন পর পর সেগুলোতে আবার পানি দিতে হয়। আবার পচা পানি পুকুর থেকে সরিয়ে ফেলতে হয়। এভাবে খরচের পাশাপাশি অনেক ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলায় এবারে পাট নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছি।
 
আমলসার ইউনিয়নের বিলনাথুর গ্রামের পাটচাষি মালেক মন্ডল বলেন, এ বছর তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাটের ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে পাট কেটে জাগ দিতে পারছি না।
 
গয়েশপুর ইউনিয়নের পাটচাষি রবিউল ইসলাম বলেন, এ বছর এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। বাড়ির পাশে কাদাপানিতে কোনো রকম চুবিয়ে রেখেছি পাট। জানালেন পাট কেটে ওই জমিতে এখন ধান লাগাতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে পাট কেটে এখানে চুবিয়ে রাখছি। বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি।
 
শ্রীপুর সদর ইউনিয়নের মনছুর জোয়ার্দার বলেন, পাট কেটে সে জমিতে ধান আবাদের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে। কিন্তু পাট কাটতে না পেরে পরবর্তী ফসল আবাদের প্রস্তুতিও নিতে পারছি না।
 
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সব এলাকার অবস্থা প্রায় একই ধরনের। কৃষকরা জানান, এ বছর রোগবালাই খুব একটা না থাকায় পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। আবার পাটের দামও গত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় পাট চাষে লাভের আশা দেখছেন তারা।
 
উপজেলার দারিয়াপুর ও আমলসার  এলাকায় কিছু কিছু জমির পাট এরই মধ্যে কেটে জাগ দিয়ে ঘরে তুলতে পেরেছেন অল্পকিছু কৃষক। তাদেরই একজন জাকিউল আলম বলেন, এবার পাটের ফলন ভালো কিন্তু  দাম মোটামুটি প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা।
 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা জানান, পানিস্বল্পতার কারণে পাট জাগ দেওয়া যাচ্ছে না। এ বছর লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। পাটের ফলন ভালো হয়েছে।পর্যাপ্ত পানি ভালো থাকলে পাটের রঙ ভালো ও ফলন বেশি হয়। তবে পানির অভাবে অন্যত্র জাগ দিতে গেলে কৃষকের খরচ বেড়ে যায়।এবার পাটের দাম ও ভালো আছে।বর্তমানে প্রতিমণ পাট পঁচিশশত টাকা থেকে তিনহাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
তবেআমরা পাট চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।

এমএসএম / এমএসএম

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট

পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা

কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান

আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল

হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা

‎শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি

বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত

গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী

চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ

কটিয়াদীতে পুকুরের পানিতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু