মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর কারনে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

সাতক্ষীরায় বিজিবি'র সদস্য কর্তৃক মাদকের মিথ্যা মামলায় নিরীহ গরুর গোশত বিক্রেতাকে ফাঁসানোর কারনে ভুক্তভোগীর স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিজিবির খুলনা সেক্টর প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের মোঃ তরিকুল ইসলাম কে ৩৩/সি কোম্পানি কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (জেসিও নং ৯৯৫৬) কর্মস্থল থেকে তুলে নিয়ে গত ১১ জুলাই মাদক(এল.এস.ডি) দিয়ে কলারোয়া থানায় মামলা দেন। ভুক্তভোগী তরিকুলের স্ত্রী ও তার পরিবারের দাবি মিথ্যা মাদক মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
তরিকুল ইসলামের স্ত্রী জোনাকি বেগম এই বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক,ডিজিএফআই মহাপরিচালক,এনএসআই মহাপরিচালক ও খুলনার বিজিবির সেক্টর প্রধানের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় লোকজন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তরিকুল ইসলাম পেশায় একজন গরুরগোশত বিক্রেতা,১১ জুলাই মঙ্গলবার পাইকারী গোশত আনতে স্থানীয় জহিরুলের বাড়িতে যান, সেখানে ৩৩/সি কোম্পানির কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (জেসিও নং ৯৯৫৬) এসে পাশাপাশি চেয়ার নিয়ে বসে গল্প করতে থাকেন।২০-৩০ মিনিট গল্প করার পর বিজিবি সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের মোবাইলে কল আসে, এরপর সে তরিকুলকে বাগানের ভেতর পথ দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিজিবির গাড়ির সামনে নিয়ে আসে। এরপর সিদ্দিকুর রহমান তাকে বলে'তোর এত বড় কলিজা তুই আমার বন্ধু আবু হোরায়রা কে গাঁজা সহ ডিবির পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছিস, আজকে তোর খবর আছে'।এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মৃত মোফাজ্জলের স্ত্রী রাশিদা বেগম,সামছু রহমানের স্ত্রী আবেদা খাতুন, রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার এর স্ত্রী হালিমা খাতুন এগিয়ে এসে বিষয়টি জানতে চাইলে তরিঘরি করে তরিকুল ইসলামকে মোটরসাইকেলে তুলে বিজিবির ক্যাম্পে নিয়ে যায়।এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ৫ নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাবিলা খাতুন কে সাথে নিয়ে ধৃত তরিকুলের স্ত্রী জোনাকি বেগম বিজিবি ক্যাম্পে যান। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় ইতোপূর্বে ২০১৫ সালে খোরশেদ পিতা শামসুর রহমান বাদী হয়ে তরিকুল ইসলামের নামে কলারোয়া থানায় একটি মারামারির মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে সেই মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে খালাস দেন।
লিখিত অভিযোগে জোনাকি বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য ৩৩/সি, কোম্পানি কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার সিদ্দিকুর রহমান, রেজাউল ইসলামের পুত্র আবু হোরায়রা ও শামসুর রহমানের পুত্র মোঃ বিপুল হোসেন কে দায়ী করেন। এবং এসব ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
এ বিষয়ে নায়েব সুবেদার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ( জেসিও নং ৯৯৫৬) এর সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে বলেন,এ বিষয়ে আপনি আমার সাতক্ষীরার বিজিবি অধিনায়কের সাথে কথা বলেন।
এমএসএম / এমএসএম

বাগেরহাট জেলায় সর্বদলীয় অবরোধ কর্মসূচি

রাণীশংকৈলে বালু উত্তোলনের সময় গর্তে পড়ে শিশুর মৃত্যু

লোহাগড়ায় নিখোঁজের চার দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার

পাঁচবিবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে ৩ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

মির্জাগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মুন্সি আকতার হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

পাকশীতে রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের বারো দফা দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা

অনির্বাণের আয়োজনে লেখক ও কবিদের চলনবিল ভ্রমণ ও সাহিত্য আড্ডা

জয়পুরহাটে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী

ভূঞাপুরে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্য আহত

পাঁচবিবিতে উপজেলা স্কাউটের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন

তাড়াশের ২ জন পাচারকারী র্যাব-১২’র অভিযানে মূল্যবান কষ্টি পাথরের তৈরি মূতিসহ গ্রেফতার
Link Copied